দেশ বিদেশ
কাটুয়া গণধর্ষণ
৩ জনের যাবজ্জীবন
মানবজমিন ডেস্ক
১১ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
কাটুয়ায় মাত্র আট বছর বয়সী এক মুসলিম শিশুকন্যাকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে ৮ ব্যক্তির মধ্যে ছয় জনকে অভিযুক্ত করেছে আদালত। বিশেষ দ্রুত বিচার আদালত সোমবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের এ ঘটনায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করে। তাদের মধ্যে তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরো তিন জনকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। ধর্ষিত ওই শিশুকন্যা মুসলিম যাযাবর গোত্রের। তার লাশ ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে কাটুয়া শহরের কাছে একটি জঙ্গলে পাওয়া যায়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আটক করা হয় আট ব্যক্তিকে। কিন্তু গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করতে থাকে হিন্দুত্ববাদী ডানপন্থি গ্রুপগুলো ও আইনজীবীরা। ফলে ওই পরিস্থিতি তখন মিডিয়াজুড়ে সংবাদ শিরোনাম হয়। আটক ব্যক্তিরা সবাই নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করে। দোষী সাব্যস্ত একজনের ছেলেকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে সরকারি একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশের চার কর্মকর্তা ও এক কিশোর। ভারতের কিশোর আইনের অধীনে ওই কিশোরের বিচার হবে। সোমবার এ মামলার রায় শুনতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন না ওই শিশুর পরিবারের কেউ। ওদিকে নিহত শিশুর মা অভিযুক্ত সরকারি সাবেক কর্মকর্তা সঞ্জী রাম ও পুলিশ কর্মকর্তা দীপক খাজুরিয়াকে মূল হোতা আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, এখনো আমার মেয়ের মুখ আমাকে তাড়া করে ফেরে। এই বেদনা আমাকে এক মুহূর্তের জন্য ভুলতে দেয় না। যখন আমার চারপাশে তার বয়সী শিশুদের খেলতে দেখি, তখন হৃদয় ভেঙে যায়। তার পরিবারের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী বলেছেন, সাংবিধানিক শক্তির বিজয় হয়েছে। ধর্মমত নির্বিশেষে পুরো দেশ এই মামলায় লড়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে সরকারি একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশের চার কর্মকর্তা ও এক কিশোর। ভারতের কিশোর আইনের অধীনে ওই কিশোরের বিচার হবে। সোমবার এ মামলার রায় শুনতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন না ওই শিশুর পরিবারের কেউ। ওদিকে নিহত শিশুর মা অভিযুক্ত সরকারি সাবেক কর্মকর্তা সঞ্জী রাম ও পুলিশ কর্মকর্তা দীপক খাজুরিয়াকে মূল হোতা আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, এখনো আমার মেয়ের মুখ আমাকে তাড়া করে ফেরে। এই বেদনা আমাকে এক মুহূর্তের জন্য ভুলতে দেয় না। যখন আমার চারপাশে তার বয়সী শিশুদের খেলতে দেখি, তখন হৃদয় ভেঙে যায়। তার পরিবারের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী বলেছেন, সাংবিধানিক শক্তির বিজয় হয়েছে। ধর্মমত নির্বিশেষে পুরো দেশ এই মামলায় লড়েছে।