শেষের পাতা
ভাড়া নিয়ে তর্ক বাসযাত্রীকে ‘চাকায় পিষে হত্যা’
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
১০ জুন ২০১৯, সোমবার, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
বাস ভাড়া নিয়ে বাক-বিতণ্ডার জের ধরে এক যাত্রীকে বাসচাপা দিয়েছে চালক। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ঈদে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফিরে আসা যাত্রী সালাউদ্দিন আহমেদ (৩৫)। নিহত সালাউদ্দিন ঢাকার আলুবাজারের মৃত শাহাবউদ্দিনের ছেলে। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকার আতাউর রহমান আতা মেম্বারের বাড়িতে স্ত্রীসহ ভাড়া থেকে স্থানীয় স্কটেক্স অ্যাপারিয়াল কারখানার গাড়িচালক হিসেবে কাজ করতেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার সদর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্ত্রী পারুল আক্তারের অভিযোগ, সে ও তার স্বামী সালাউদ্দিন ঈদের ছুটিতে ময়মনসিংহে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান গত পরশু। গতকাল তারা ময়মনসিংহ থেকে আলম এশিয়া পরিবহনের বাসযোগে কর্মস্থল গাজীপুরে ফিরছিলেন। পথে তার স্বামীর সঙ্গে ভাড়া নিয়ে পরিবহনের সহকারীর বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বাসের ভেতরেই সালউদ্দিনকে মারধর করে পরিবহনের সহকারী এবং লাথি মেরে তাকে ফেলে দেবে বলে হুমকি দেয়। ভয় পেয়ে সালাউদ্দিন তার ভাই জামালকে টেলিফোনে বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়াতে বলেন। পরে জামাল আরো ৫-৬ জন লোক নিয়ে বাঘের বাজারে দাঁড়িয়ে থাকেন। সালাউদ্দিন ও তার স্ত্রীকে বহনকারী আলম এশিয়ার দ্রুতগামী বাসটি স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা স্বজনরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধাক্কা দিয়ে সালাউদ্দিনকে বাস থেকে ফেলে দেয়। কিন্তু তার স্ত্রীকে নিয়ে বাস চলে যেতে থাকে। স্ত্রীকে না নামিয়ে বাস চলে যেতে থাকলে সালাউদ্দিন দৌড়ে বাসটির সামনে গিয়ে গতিরোধের চেষ্টা করেন। এ সময় চালক বাসটি সালাউদ্দিনের ওপর উঠিয়ে দেয় এবং দ্রুত বাসটি নিয়ে সটকে পড়েন।
পারুল আক্তার জানান- তার স্বামী যখন গাড়ি থেকে নেমে যান, সে সময় চালকের সহকারীরা তাকে নামতে বাধা দেন। পরে তাকে নিয়েই গাড়িটি চলতে শুরু করে, এ সময় সে কান্নাকাটি শুরু করলে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে নিয়ে বাসের গতি কমিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানা পুলিশের সহায়তায় বাসটি আটক করা হয়। তবে, চালক ও তার সহকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি। এই ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী পারুল আক্তারের অভিযোগ, সে ও তার স্বামী সালাউদ্দিন ঈদের ছুটিতে ময়মনসিংহে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান গত পরশু। গতকাল তারা ময়মনসিংহ থেকে আলম এশিয়া পরিবহনের বাসযোগে কর্মস্থল গাজীপুরে ফিরছিলেন। পথে তার স্বামীর সঙ্গে ভাড়া নিয়ে পরিবহনের সহকারীর বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বাসের ভেতরেই সালউদ্দিনকে মারধর করে পরিবহনের সহকারী এবং লাথি মেরে তাকে ফেলে দেবে বলে হুমকি দেয়। ভয় পেয়ে সালাউদ্দিন তার ভাই জামালকে টেলিফোনে বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়াতে বলেন। পরে জামাল আরো ৫-৬ জন লোক নিয়ে বাঘের বাজারে দাঁড়িয়ে থাকেন। সালাউদ্দিন ও তার স্ত্রীকে বহনকারী আলম এশিয়ার দ্রুতগামী বাসটি স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা স্বজনরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধাক্কা দিয়ে সালাউদ্দিনকে বাস থেকে ফেলে দেয়। কিন্তু তার স্ত্রীকে নিয়ে বাস চলে যেতে থাকে। স্ত্রীকে না নামিয়ে বাস চলে যেতে থাকলে সালাউদ্দিন দৌড়ে বাসটির সামনে গিয়ে গতিরোধের চেষ্টা করেন। এ সময় চালক বাসটি সালাউদ্দিনের ওপর উঠিয়ে দেয় এবং দ্রুত বাসটি নিয়ে সটকে পড়েন।
পারুল আক্তার জানান- তার স্বামী যখন গাড়ি থেকে নেমে যান, সে সময় চালকের সহকারীরা তাকে নামতে বাধা দেন। পরে তাকে নিয়েই গাড়িটি চলতে শুরু করে, এ সময় সে কান্নাকাটি শুরু করলে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে নিয়ে বাসের গতি কমিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানা পুলিশের সহায়তায় বাসটি আটক করা হয়। তবে, চালক ও তার সহকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি। এই ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে।