বাংলাদেশ কর্নার

বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের মুখোমুখি পরিসংখ্যান

৮ জুন ২০১৯, শনিবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন

ইংল্যান্ড ১৬: ৪ বাংলাদেশ
ওয়ানডেতে ২০ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। জয়ের পাল্লা ক্রিকেটের জনকদের দিকেই ভারী। ১৬টিতেই জিতেছে তারা। বাংলাদেশ জিতেছে ৪টি ম্যাচ। ২০০০ সালে প্রথম সাক্ষাতের পর ২০১০ সালের ৮ই জুলাই পর্যন্ত টানা ১২ ম্যাচ জিতেছিল ইংলিশরা।  ১০ই জুলাই ব্রিস্টলে ইংলিশদের ৫ রানে হারিয়ে প্রথমবার জয়ের স্বাদ নেয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ২: ১ ইংল্যান্ড
ওয়ানডে পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও বিশ্বকাপে কিন্তু টাইগারদেরই আধিপত্য। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৩ বার দেখা হয়েছে দুদলের। ইংল্যান্ড একটি ও বাংলাদেশ জিতেছে ২টিতে। ২০০৭ বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্বে প্রথম সাক্ষাত তাদের। ব্রিজটাউনে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে ৪ উইকেটের জয় কুড়ায় ইংল্যান্ড।  পরের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে আবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ড অলআউট হয় ২২৫ রানে। ওই লক্ষ্যটা ২ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় বাংলাদেশ। আর গত বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডকে ১৫ রানে হারায় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। অ্যাডিলেডে বাংলাদেশের ২৭০ রানের জবাবে ইংল্যান্ড থামে ২৬০ রানে। ঐতিহাসিক ওই জয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে টাইগাররা।
সবচেয়ে বড় জয়
২০০৫ সালে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড গিয়েছিল বাংলাদেশ। ওভালে ওই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ১৯০ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। মার্কাস ট্রেসকোথিক-অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের ওপেনিং জুটিতে ভর করে ১০ উইকেটের জয় তুলে নেয় ইংলিশরা। দুদলের মুখোমুখি পরিসংখ্যানে উইকেটের ব্যবধানে ওটাই সবচেয়ে বড় জয়। রানের ব্যবধানে বড় জয়টি ওই সিরিজেরই তৃতীয় ম্যাচে পায় ইংল্যান্ড। ৩৯১ রানের পাহাড় গড়েছিল তারা। জবাবে মোহাম্মদ আশরাফুলের ৫২ বলে ৯৪ রানের ঝড়ো ইনিংসেও বাংলাদেশ তুলতে পেরেছিল মোটে ২২১ রান।
সবচেয়ে ছোট জয়
রান ও উইকেটের ব্যবধানে সবচেয়ে ছোট জয়টি বাংলাদেশের। ২০১০ সালে ব্রিস্টলে ৫ রানে জিতেছিল টাইগাররা। উইকেটের ব্যবধানে সবচেয়ে ছোট জয়টি ২০১১ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ২ উইকেটে।
সর্বোচ্চ/সর্বনিম্ন দলীয়
২০০৫ সালে নর্টিহামে ৩৯১/৪ তুলেছিল ইংল্যান্ড। দুদলের মধ্যকার সর্বোচ্চ দলীয়। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় ৩০৫/৬। ওভালে গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে এই স্কোর গড়ে মাশরাফির দল। তবে লক্ষ্যটা ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় ইংল্যান্ড। ২০০৩ সালে ঢাকায় বাংলাদেশের ১৩৪/৯ স্কোরটি দুদলের মধ্যে সর্বনিম্ন। ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন স্কোর ২০৪, চট্টগ্রামে ২০১৬ সালে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। ওই ম্যাচে ৩৪ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।
সর্বাধিক রান/উইকেট
সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রস। ৮ ম্যাচে ৮৭.১৪ গড়ে ৬১০ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে তামিম ইকবাল। ১৩ ম্যাচে ৩৬.০৭ গড়ে ৪৬৯ রান করেছেন তামিম। ৪৪১ রান নিয়ে এরপর রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় স্থানে থাকা ইমরুল কায়েসের রান ৪৩৯। সর্বাধিক উইকেট শিকারি প্রথম দুজনই বাংলাদেশি। বর্তমান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ১৩ ম্যাচে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। আর সাকিব আল হাসানের ১৩ ম্যাচে শিকার ১৪ উইকেট।
সর্বাধিক সেঞ্চুরি/ফিফটি
তামিম ইকবাল ও অ্যান্ড্রু স্ট্রট- উভয়ের ২টি করে সেঞ্চুরি রয়েছে। আর সর্বাধিক ফিফটি স্ট্রসের। বাংলাদেশের পক্ষে মুশফিকুর রহিম ৪টি ৫০ প্লাস ইনিংস খেলেছেন।
সর্বোচ্চ স্কোর/সেরা বোলিং ফিগার
অ্যান্ড্রু স্ট্রসের ১৫৪। বাংলাদেশের পক্ষে তামিম ইকবালের ১২৪। সেরা বোলিং ফিগার পল কলিংউডের। ২০০৫ সালে নটিংহামে ১০ ওভারে এক মেডেনসহ ৩১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক কলিংউড। আর ২০১৬ সালে ঢাকায় ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার মাশরাফি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status