বাংলাদেশ কর্নার
এবার মিশন নিউজিল্যান্ড
ইশতিয়াক পারভেজ, ইংল্যান্ড থেকে
৪ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছেন নজর নিচে রেখেই উড়তে চান আকাশে। হালকাভাবে কোনো দলকেই নিতে চান না। এমনকি নিজেদের ফেবারিট মানতেও রাজি নয় টাইগার অধিনায়ক। কিন্তু বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে টাইগাররা। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ২১ রানে। তুলে নিয়ে স্বপ্নের এক জয়। ওভাল স্টেডিয়ামকে দর্শকদের ভাসিয়েছেন খুশির আনন্দে। এবার সেই স্টেডিয়ামে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশনে দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। দারুণ শুরুর পর আত্মবিশ্বাসী হলে ভীষণভাবে সতর্ক সহ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সামনের ম্যাচগুলোতে করণীয় তিনি বলেন, ‘কেবল শুরু হলো। আরও ৮টি ম্যাচ আছে। অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি আমাদের হতে হবে। কারণ এই ম্যাচের পর সব দলই আরও সতর্ক হয়ে আমাদের সঙ্গে ভালো খেলতে চাইবে। আমাদেরও তাই আরও প্রস্তুতি নিতে হবে, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের সেই চেষ্টা থাকবে। কিন্তু অন্য দলগুলো আমাদের নিয়ে আরও সতর্ক থাকবে।’ আর অধিনায়ক মাশরাফিতো ঈদ মাথা থেকে ফেলে শুধু ম্যাচ নিয়ে ভাবছেন। তাই কাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরো একটি উৎসব দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট পাগল টাইাগর ভক্তরা। ২০১৭-তে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে হারিয়েছিল বাংলাদেশ দল। তাই আত্মবিশ্বাসটা এবারও কম নয়। তার উপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এমন দারুণ শুরুও দলকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাবে। তাই নিউজিল্যান্ড থাকবে যেমনই হোক থাকবে সতর্ক। সেই বাড়তি সর্তকতা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘একদিক থেকে এটা ভালো যে প্রতিপক্ষ সতর্ক থাকা মানে নার্ভাসও থাকতে পারে। টেনশন কাজ করতে পারে। আবার, আরেক দিক থেকে খুব ফোকাসডও থাকবে ওরা। অনেক সময় হয় যে ফোকাস একটু কম থাকলে হয়তো আমরা সেটা কাজে লাগালাম। কিন্তু এখানে এখন সবাই খুব ফোকাসড থাকবে। সেখানে আমাদের ভালো করতে হবে।’
অন্যদিকে অধিনায়ক মাশরাফি টিম পারফরম্যান্সের সঙ্গে যে ভাগ্য লাগে সেটি জানিয়েছেন অকপটে। তিনি বলেন, ‘আমার জায়গায় অন্য কোনো অধিনায়ক থাকলে জয়কে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করতে পারতেন। তবে আমি ভাগ্যে বিশ্বাসী। আমাদের মতো পরিকল্পনা অন্য দলগুলোও করে। কিন্তু সবার পরিকল্পনা কাজে আসে না। সুতরাং সেখানে ভাগ্য সহায় হতে হয়। আপনি যদি টুর্নামেন্টে সেরা ফলাফল চান, অবশ্যই সঠিক সময়ে ভাগ্য সহায় হতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘যদি ধরেন পুরো ম্যাচে যে বলগুলো ঘুরেছে, সব চেয়ে ভাগ্য প্রসূত ঘূর্ণি ছিল ফাফ ডু প্লেসির বোল্ড হওয়ার বলে। আমি ওইটাই বলতে চেয়েছি, এই ধরনের টুর্নামেন্টে শুধু ভালো খেললে হবে না; ভাগ্যও সহায় হতে হবে।’
তার মানে টাইগার অধিনায়কের কথাতেই স্পষ্ট যে, ভাগ্য টিম পারফরম্যান্সের সঙ্গে সঙ্গে আছে। ভাগ্য সুযোগ দিলে সেটিও কাজে লাগাতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো শুরু করলেও তামিম ও সৌম্য আউট হয়েছেন সেট হয়ে। সৌম্যতো ফিফটিই হাতছাড়া করেছেন ৮ রানের জন্য। একইভাবে সাকিব ও মুশফিকুর রহীম জুটির রেকর্ড গড়লেও সেঞ্চুরি আক্ষেপ নিয়ে আউট হয়েছে। সুযোগ ছিল তাদের সেঞ্চুরি করার। কিন্তু হয়নি। তারা সেঞ্চুরি করতে পারলে বাংলাদেশের স্কোর ৩৩০ নয় আরো বেশি হতো। তবে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে রেকর্ড রান দিয়েই মিশন শুরু করেছে টাইগাররা। কিন্তু দলের ব্যাটসম্যানদের সেট হয়েও আউট হওয়ার বিষয়টিও চিন্তার কারণ বলে জানা নিয়েছেন মাঠে আসা বেশ কয়েকজন দর্শক।
অন্যদিকে বোলাররাও দারুণ করেছেন। বিশেষ করে শুরু থেকেই চেপে ধরেছে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। শেষ পর্যন্ত দারুণ ভাবে চাপে রেখেছেন মোস্তাফিজ, সাইফুদ্দিন, সাকিব, মিরাজরা। তাই অধিনায়কের প্রশংসাও ঝরেছে বোলারদের নিয়ে। তিনি বলেন, ‘স্পিনাররাও বড় ভূমিকা রেখেছে। যথনই তাদের বল দেয়া হয়েছে, তারা ভালো করেছে। সব মিলিয়ে দারুণ ম্যাচ ছিল। স্পিনাররা ভালো করেছে, মোস্তাফিজ ও সাইফ শেষটা দারুণ করেছে।’
অন্যদিকে অধিনায়ক মাশরাফি টিম পারফরম্যান্সের সঙ্গে যে ভাগ্য লাগে সেটি জানিয়েছেন অকপটে। তিনি বলেন, ‘আমার জায়গায় অন্য কোনো অধিনায়ক থাকলে জয়কে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করতে পারতেন। তবে আমি ভাগ্যে বিশ্বাসী। আমাদের মতো পরিকল্পনা অন্য দলগুলোও করে। কিন্তু সবার পরিকল্পনা কাজে আসে না। সুতরাং সেখানে ভাগ্য সহায় হতে হয়। আপনি যদি টুর্নামেন্টে সেরা ফলাফল চান, অবশ্যই সঠিক সময়ে ভাগ্য সহায় হতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘যদি ধরেন পুরো ম্যাচে যে বলগুলো ঘুরেছে, সব চেয়ে ভাগ্য প্রসূত ঘূর্ণি ছিল ফাফ ডু প্লেসির বোল্ড হওয়ার বলে। আমি ওইটাই বলতে চেয়েছি, এই ধরনের টুর্নামেন্টে শুধু ভালো খেললে হবে না; ভাগ্যও সহায় হতে হবে।’
তার মানে টাইগার অধিনায়কের কথাতেই স্পষ্ট যে, ভাগ্য টিম পারফরম্যান্সের সঙ্গে সঙ্গে আছে। ভাগ্য সুযোগ দিলে সেটিও কাজে লাগাতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো শুরু করলেও তামিম ও সৌম্য আউট হয়েছেন সেট হয়ে। সৌম্যতো ফিফটিই হাতছাড়া করেছেন ৮ রানের জন্য। একইভাবে সাকিব ও মুশফিকুর রহীম জুটির রেকর্ড গড়লেও সেঞ্চুরি আক্ষেপ নিয়ে আউট হয়েছে। সুযোগ ছিল তাদের সেঞ্চুরি করার। কিন্তু হয়নি। তারা সেঞ্চুরি করতে পারলে বাংলাদেশের স্কোর ৩৩০ নয় আরো বেশি হতো। তবে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে রেকর্ড রান দিয়েই মিশন শুরু করেছে টাইগাররা। কিন্তু দলের ব্যাটসম্যানদের সেট হয়েও আউট হওয়ার বিষয়টিও চিন্তার কারণ বলে জানা নিয়েছেন মাঠে আসা বেশ কয়েকজন দর্শক।
অন্যদিকে বোলাররাও দারুণ করেছেন। বিশেষ করে শুরু থেকেই চেপে ধরেছে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। শেষ পর্যন্ত দারুণ ভাবে চাপে রেখেছেন মোস্তাফিজ, সাইফুদ্দিন, সাকিব, মিরাজরা। তাই অধিনায়কের প্রশংসাও ঝরেছে বোলারদের নিয়ে। তিনি বলেন, ‘স্পিনাররাও বড় ভূমিকা রেখেছে। যথনই তাদের বল দেয়া হয়েছে, তারা ভালো করেছে। সব মিলিয়ে দারুণ ম্যাচ ছিল। স্পিনাররা ভালো করেছে, মোস্তাফিজ ও সাইফ শেষটা দারুণ করেছে।’