দেশ বিদেশ
মিরপুরে পাঁচতলা থেকে ছুড়ে ফেলে নবজাতককে হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার
২৭ মে ২০১৯, সোমবার, ১০:০০ পূর্বাহ্ন
মিরপুর রূপনগরের একটি ভবনের পঞ্চমতলা থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতককে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়। এতে শিশুটির মৃত্যু হয়। গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর স্থানীয় থানা পুলিশ আশপাশের ভবন তল্লাশি করে হত্যাকারী কিশোরী মাকে গ্রেপ্তার করেছে। মা কিশোরীর বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। এ ঘটনায় রূপনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ৪ জনের মধ্যে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে কিশোরী মাকে। ঘটনার পর শনিবার রাতে কিশোরী মাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর বেরিয়ে আসে মূল রহস্য। রূপনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিমল চন্দ্র গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়েটি নিজের বয়স ১৮ বলেছে। তবে বাবা-মায়ের দাবি তার বয়স ১৭ বছর ৬ মাস। এ বছর মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, থানায় জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানায়, তার মা দুই বিয়ে করেছে। সে মায়ের প্রথম স্বামীর সন্তান। ওই বাসায় মা ও সৎ বাবা শাহ্ আলমের সঙ্গে থাকতো। শাহ্ আলমের ছোট ভাই বিল্লাল হোসেন বিদেশ থাকেন। সমপ্রতি দেশে ফিরে কয়েক মাসের জন্য রূপনগরের এই বাসায় ছিলেন। সেই সময় তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কারণে গর্ভবতী হয় সে।
এরপর মা-বাবা তাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেয়। শুক্রবার ভোররাতে মেয়েটির প্রসব বেদনা ওঠে। সকাল সাড়ে ১১টায় টয়লেটে গিয়ে সে নিজেই সন্তান প্রসব করে। নবজাতকটি পৃথিবীতে আসার ৩০ মিনিট পর অর্থাৎ ১২টার সময় তাকে টয়লেটের ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। কিশোরীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য পুলিশি হেফাজত থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এসআই পরিমল জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় মেয়ের মা, সৎবাবা শাহ্ আলম ও বিল্লাল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। শাহ্ আলমকে গ্রেপ্তার করা হলেও তার মা বর্তমানে গর্ভবতী এবং দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে একটি ছোট ছেলে থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তবে তিনি নজরদারিতে থাকবেন। নিহত নবজাতকের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এরপর মা-বাবা তাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেয়। শুক্রবার ভোররাতে মেয়েটির প্রসব বেদনা ওঠে। সকাল সাড়ে ১১টায় টয়লেটে গিয়ে সে নিজেই সন্তান প্রসব করে। নবজাতকটি পৃথিবীতে আসার ৩০ মিনিট পর অর্থাৎ ১২টার সময় তাকে টয়লেটের ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। কিশোরীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য পুলিশি হেফাজত থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এসআই পরিমল জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় মেয়ের মা, সৎবাবা শাহ্ আলম ও বিল্লাল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। শাহ্ আলমকে গ্রেপ্তার করা হলেও তার মা বর্তমানে গর্ভবতী এবং দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে একটি ছোট ছেলে থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তবে তিনি নজরদারিতে থাকবেন। নিহত নবজাতকের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।