বিশ্বজমিন
ক্রিস গেইলের হুঙ্কার
মানবজমিন ডেস্ক
২৬ মে ২০১৯, রবিবার, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
এবার বিশ্বকাপে বোলারদের হুঙ্কার দিলেন ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেইল। তার স্বপ্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এবার চ্যাম্পিয়ন করা। এটাই তার এবারের একমাত্র লক্ষ্য। এমন স্বপ্ন তিনি দেখতেই পারেন। কারণ, যখন তার ব্যাটে আগুন ঝরে তখন বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। সে নজির তিনি ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখিয়েছেন ওভালে। তখন অস্ট্রেলিয়ার পেসার ব্রেট লি’কে নাকানি চুবানি খাইয়েছিলেন গেইল। বলের পরে বলে তিনি ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন যখন, তখন দর্শকদের মুখ হা করে ছিল। ওভালের দর্শকরা কখনও সেই দৃশ্য দেখেন নি আগে।
ক্রিস গেইল মানে এক বিস্ময়কর ক্রিকেটার। শান্ত মাথায়, অত্যন্ত স্থির ব্রেনে তিনি বলের ওপর নিউটনের থার্ড ল প্রয়োগ করেন। কথাটা মনে হয় একটু বাড়িয়ে বলা যায়, তিনি সমান ও বিপরীতমুখি বলই শুধু প্রয়োগ করেন বলের ওপর তা-ই নয়। সেই বল বা শক্তি বোলারের দিক থেকে ছুটে আসা গতির বহুগুন। আর তাই ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটলে আকাশ দিয়ে উড়ে যায় বল। ফিল্ডার তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেন সেই দৃশ্য। আর মেতে ওঠে পুরো স্টেডিয়াম। টেলিভিশন সেটের সামনে কখন চায়ের কাপ ঠা-া হয়ে যাচ্ছে তা বুঝতেই পারেন না দর্শক।
ওয়ান ডে ক্রিকেটে ২৮৯ ইনিংস খেলেছেন ক্রিকেটের এই বিস্ময়। তার সংগ্রহ ১০১৫১ রান। সেঞ্চুরি করেছেন ২৫টি। তার রানের গড় ৩৮.১৬। ফেব্রুয়ারি মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চারটি ওয়ান ডে খেলেছেন তিনি। তাতে ৪২৪ রান করেছেন। যার মধ্যে ছিল ৩৯টি ছয়। গড় ১০৬। এই সব রেকর্ডের মালিক তিনি। ক্রিস গেইলের বয়স ৪০ ছুই ছুই করছে। বলা যায়, বয়সটা অনেকই হয়েছে। কিন্তু তাতে তার উদ্দীপনায় কোনো কমতি নেই। তিনি এখনও নিজেকে পরিচয় দেন ‘ইউনিভার্স বস’ নামে। তাই যখন প্রচ- শক্তি দিয়ে বল উড়িয়ে দেন বোলার বা ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে তখন সেই দৃশ্য বড় উপভোগ করেন তিনি নিজেও। বোলারদের সামান্যতম সুযোগ দিতে চান না তিনি। তাই তাকে দেখে প্রকাশ্যে কোনো বোলার কথা না বললেও, মনে মনে অনেক বোলারই ভয় পান। এ নিয়ে ক্রিস গেইল নিজেই খোলাখুলিই বলেন, বোলাররা স্বীকার না করলেও তঁকে ভয় পান। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘ইউনিভার্স বস’ বলেছেন, ‘তরুণরা এখন দারুণভাবে উঠে আসছে। ফলে আগের মতো ব্যাপারটা সহজ নয়। তা ছাড়া আগে আমার গতিও বেশি ছিল।’
আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, ৩১ মে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে সম্ভবত এটাই শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে ক্রিস গেইলের। যদি তাই হয় তা হলে বিশ্বকাপ শুরুর আগে কি উদ্বেগ বাড়ছে ‘ইউনিভার্স বস’-এর? গেইলের হুঙ্কার, ‘দুশ্চিন্তায় তো রয়েছে বোলাররা। ইউনিভার্স বসের কী ক্ষমতা সেটা ওরা খুব ভাল জানে। আমি নিশ্চিত ওদের মনের মধ্যে থাকবে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে খেলতে হচ্ছে।’ এখানেই শেষ নয়। তিনি যোগ করেছেন, ‘তবে ক্যামেরার সামনে কেউ ওদের প্রশ্ন করলে বলবে, আমাকে ভয় পায় না। কিন্তু ক্যামেরার পিছনে বলবে, এই সেই ব্যাটসম্যান।’
জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে লড়াই যে সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন, তাও জানিয়েছেন গেইল। অতীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের সঙ্গে সংঘাতের জেরে বেশ কিছু ম্যাচ না খেলা গেইল বলেছেন, ‘আমি সব সময়ই জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে খেলতে আনন্দ পাই। কারণ, অনেক সময় এগুলো আমাকে তাঁতিয়ে দেয়। আমি এই চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসি। দর্শকরা সব সময় আমার ছয় দেখতে চান।’
ইংল্যান্ডের মাটিতেই প্রথম দুটো বিশ্বকাপে (১৯৭৫ ও ১৯৭৯) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন বাঁ-হাতি কিংবদন্তি ক্লাইভ লয়েড। বোলারদের আতঙ্ক ছিলেন তিনি। গেইলও বাঁ-হাতি। জামাইকান তারকা কি পারবেন পূর্বসূরির পথে হেঁটে ৪০ বছর পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করতে? আত্মবিশ্বাসী গেইলের জবাব, ‘প্রমাণ করার কিছু নেই। বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই একমাত্র লক্ষ্য।’
ক্রিস গেইল মানে এক বিস্ময়কর ক্রিকেটার। শান্ত মাথায়, অত্যন্ত স্থির ব্রেনে তিনি বলের ওপর নিউটনের থার্ড ল প্রয়োগ করেন। কথাটা মনে হয় একটু বাড়িয়ে বলা যায়, তিনি সমান ও বিপরীতমুখি বলই শুধু প্রয়োগ করেন বলের ওপর তা-ই নয়। সেই বল বা শক্তি বোলারের দিক থেকে ছুটে আসা গতির বহুগুন। আর তাই ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটলে আকাশ দিয়ে উড়ে যায় বল। ফিল্ডার তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেন সেই দৃশ্য। আর মেতে ওঠে পুরো স্টেডিয়াম। টেলিভিশন সেটের সামনে কখন চায়ের কাপ ঠা-া হয়ে যাচ্ছে তা বুঝতেই পারেন না দর্শক।
ওয়ান ডে ক্রিকেটে ২৮৯ ইনিংস খেলেছেন ক্রিকেটের এই বিস্ময়। তার সংগ্রহ ১০১৫১ রান। সেঞ্চুরি করেছেন ২৫টি। তার রানের গড় ৩৮.১৬। ফেব্রুয়ারি মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চারটি ওয়ান ডে খেলেছেন তিনি। তাতে ৪২৪ রান করেছেন। যার মধ্যে ছিল ৩৯টি ছয়। গড় ১০৬। এই সব রেকর্ডের মালিক তিনি। ক্রিস গেইলের বয়স ৪০ ছুই ছুই করছে। বলা যায়, বয়সটা অনেকই হয়েছে। কিন্তু তাতে তার উদ্দীপনায় কোনো কমতি নেই। তিনি এখনও নিজেকে পরিচয় দেন ‘ইউনিভার্স বস’ নামে। তাই যখন প্রচ- শক্তি দিয়ে বল উড়িয়ে দেন বোলার বা ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে তখন সেই দৃশ্য বড় উপভোগ করেন তিনি নিজেও। বোলারদের সামান্যতম সুযোগ দিতে চান না তিনি। তাই তাকে দেখে প্রকাশ্যে কোনো বোলার কথা না বললেও, মনে মনে অনেক বোলারই ভয় পান। এ নিয়ে ক্রিস গেইল নিজেই খোলাখুলিই বলেন, বোলাররা স্বীকার না করলেও তঁকে ভয় পান। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘ইউনিভার্স বস’ বলেছেন, ‘তরুণরা এখন দারুণভাবে উঠে আসছে। ফলে আগের মতো ব্যাপারটা সহজ নয়। তা ছাড়া আগে আমার গতিও বেশি ছিল।’
আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, ৩১ মে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে সম্ভবত এটাই শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে ক্রিস গেইলের। যদি তাই হয় তা হলে বিশ্বকাপ শুরুর আগে কি উদ্বেগ বাড়ছে ‘ইউনিভার্স বস’-এর? গেইলের হুঙ্কার, ‘দুশ্চিন্তায় তো রয়েছে বোলাররা। ইউনিভার্স বসের কী ক্ষমতা সেটা ওরা খুব ভাল জানে। আমি নিশ্চিত ওদের মনের মধ্যে থাকবে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে খেলতে হচ্ছে।’ এখানেই শেষ নয়। তিনি যোগ করেছেন, ‘তবে ক্যামেরার সামনে কেউ ওদের প্রশ্ন করলে বলবে, আমাকে ভয় পায় না। কিন্তু ক্যামেরার পিছনে বলবে, এই সেই ব্যাটসম্যান।’
জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে লড়াই যে সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন, তাও জানিয়েছেন গেইল। অতীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের সঙ্গে সংঘাতের জেরে বেশ কিছু ম্যাচ না খেলা গেইল বলেছেন, ‘আমি সব সময়ই জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে খেলতে আনন্দ পাই। কারণ, অনেক সময় এগুলো আমাকে তাঁতিয়ে দেয়। আমি এই চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসি। দর্শকরা সব সময় আমার ছয় দেখতে চান।’
ইংল্যান্ডের মাটিতেই প্রথম দুটো বিশ্বকাপে (১৯৭৫ ও ১৯৭৯) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন বাঁ-হাতি কিংবদন্তি ক্লাইভ লয়েড। বোলারদের আতঙ্ক ছিলেন তিনি। গেইলও বাঁ-হাতি। জামাইকান তারকা কি পারবেন পূর্বসূরির পথে হেঁটে ৪০ বছর পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করতে? আত্মবিশ্বাসী গেইলের জবাব, ‘প্রমাণ করার কিছু নেই। বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই একমাত্র লক্ষ্য।’