বাংলারজমিন
টাঙ্গাইলে পুলিশি নির্যাতনে ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ, ৮ পুলিশ প্রত্যাহার
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
২৬ মে ২০১৯, রবিবার, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পুলিশের নির্যাতনে হাকিম (৫০) নামের এক মাংস ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার রাতে সড়কে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় এসআই আবু তাহের ও এএসআই আশরাফুল ইসলাম সহ ৮ পুলিশ সদস্যকে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকালে উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের ঝাওয়াইল বাজারের পাশের একটি জমিতে তাস খেলারত কয়েকজন ব্যক্তিকে দেখে অভিযান চালায় গোপালপুর থানা পুলিশ। এসময় চারজনকে আটক করলে নিহত হাকিম দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তাকেও আটক করে বুট দিয়ে লাথি মেরে গাড়িতে তুলে পুলিশ। কিছুদূর যাওয়ার পরে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে অন্য আটককৃতদের নিয়ে থানায় চলে আসে তারা। পরে স্থানীয়রা হাকিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হারুন অর রশিদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের দাবি জুয়ার আসর থেকে পালানোর সময় আহত হয় হাকিম। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। তবে পরিবারের দাবি আটকের পর নির্যাতনের কারণেই তার মৃৃত্যু হয়েছে। নিহত হাকিমের মেরুদণ্ডের হাড়ের পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হারুন অর রশিদ। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য এসআই আবু তাহের ও এএসআই আশরাফুল আলমসহ অন্য পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে হাসপাতালের মূল ফটকে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। সন্ধ্যার পর থেকেই টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে তারা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। হাসপাতালের ভেতরেই অবরুদ্ধ করে রাখা হয় ওসিসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্যকে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে রোকন নামে এক পুলিশ ও ৫ বিক্ষোভকারী আহত হয়। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির, পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার ও এসআই আবু তাহের ও এএসআই আশরাফুল ইসলামসহ ৮ পুলিশ সদস্যকে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। নিহত হাকিমের লাশ ওই রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। তদন্তের স্বার্থে ৮ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকালে উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের ঝাওয়াইল বাজারের পাশের একটি জমিতে তাস খেলারত কয়েকজন ব্যক্তিকে দেখে অভিযান চালায় গোপালপুর থানা পুলিশ। এসময় চারজনকে আটক করলে নিহত হাকিম দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তাকেও আটক করে বুট দিয়ে লাথি মেরে গাড়িতে তুলে পুলিশ। কিছুদূর যাওয়ার পরে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে অন্য আটককৃতদের নিয়ে থানায় চলে আসে তারা। পরে স্থানীয়রা হাকিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হারুন অর রশিদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের দাবি জুয়ার আসর থেকে পালানোর সময় আহত হয় হাকিম। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। তবে পরিবারের দাবি আটকের পর নির্যাতনের কারণেই তার মৃৃত্যু হয়েছে। নিহত হাকিমের মেরুদণ্ডের হাড়ের পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হারুন অর রশিদ। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য এসআই আবু তাহের ও এএসআই আশরাফুল আলমসহ অন্য পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে হাসপাতালের মূল ফটকে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। সন্ধ্যার পর থেকেই টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে তারা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। হাসপাতালের ভেতরেই অবরুদ্ধ করে রাখা হয় ওসিসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্যকে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে রোকন নামে এক পুলিশ ও ৫ বিক্ষোভকারী আহত হয়। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির, পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার ও এসআই আবু তাহের ও এএসআই আশরাফুল ইসলামসহ ৮ পুলিশ সদস্যকে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। নিহত হাকিমের লাশ ওই রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। তদন্তের স্বার্থে ৮ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।