বাংলারজমিন
পাকুন্দিয়ায় কাপড়ের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৬ মে ২০১৯, রবিবার, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় হোসেন্দি বাজারের মা-বাবা বস্ত্রালয় নামের একটি কাপড়ের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই কাপড়ের দোকানে দুর্ধর্ষ এ চুরির ঘটনাটি ঘটে। দোকানের সার্টারের তালা ভেঙে দোকানের ভেতরে ঢুকে আনুমানিক ৭/৮ লাখ টাকার কাপড় ও নগদ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায় চোরেরা। ঘটনার পর খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দোকানের মালিক বিল্লাল হোসেন জানান, শনিবার সকালে দোকানে গিয়ে তার দোকানের সার্টারের তিনটি তালা খোলা দেখতে পান। পরে সার্টার খুলে দেখেন থাই গ্লাসের দরজাটিও ভাঙা। দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন কিছু কাপড় এলোমেলো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে এবং বেশির ভাগ কাপড়ই চুরি হয়ে গেছে। ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকাও চুরি হয়ে গেছে। তা দেখে তিনি সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে দোকানের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় আশেপাশের দোকানের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠান।
তিনি আরো জানান, প্রায় ১২ বছর ধরে হোসেন্দি বাজারে মা-বাবা বস্ত্রালয় নামে কাপড়ের দোকানটিতে তিনি ব্যবসা করে আসছেন। স্ত্রী-সন্তান, ভাইবোনসহ পরিবারের সকলেই এই ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে অগ্রণী ব্যাংক থেকে নতুন করে আরো ৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দোকানের জন্য মালামাল ক্রয় করেছেন। দোকানে চুরি হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। এ কথা বলে তিনি বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন।
পাকুন্দিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো জানান, প্রায় ১২ বছর ধরে হোসেন্দি বাজারে মা-বাবা বস্ত্রালয় নামে কাপড়ের দোকানটিতে তিনি ব্যবসা করে আসছেন। স্ত্রী-সন্তান, ভাইবোনসহ পরিবারের সকলেই এই ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে অগ্রণী ব্যাংক থেকে নতুন করে আরো ৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দোকানের জন্য মালামাল ক্রয় করেছেন। দোকানে চুরি হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। এ কথা বলে তিনি বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন।
পাকুন্দিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।