বাংলারজমিন
আলী বারবার ফিরে আসে!
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৬ মে ২০১৯, রবিবার, ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
রুস্তম আলী প্রকাশ জাহাঙ্গীর (৪৭)। গত শুক্রবার ইফতারের পর চট্টগ্রাম মহানগরীর তিনপোল এলাকা থেকে রুস্তম আলীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (দক্ষিণ জোন)। জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে এ সময় ৬১ আসনের ৫০টি টিকিট উদ্ধার করা হয়। এর আগে ২০১৮ সালের ৯ই জুলাই চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি এলাকার গোলাম হোসেন অ্যান্ড সন্স নামে একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে এই একই লোককে গ্রেপ্তার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ২৬৭টি আসনের ১৮৭টি টিকিট উদ্ধার করা হয়। এর আগে ২০১৭ সালের ১৩ই আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশের হাতে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ধরা পড়ে এই সেই রুস্তম আলী প্রকাশ জাহাঙ্গীর। প্রতিবছর ধরা পড়ে জেলে গেলেও এই রুস্তম আলী আবার ফিরে আসে রেলের টিকিট কালেবাজারীতে। নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. কামরুজ্জামান শনিবার সকালে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ভাই কি বলব, আলী বার বার ফিরে আসে। তিনি জানান, এক ব্যক্তি বারবার ধরা পড়ে আবার জামিনে ফিরে এসে লিপ্ত হয় টিকেট কালোবাজারিতে। অবশ্যই এ জন্য রুস্তম আলী একা দায়ী নয়; টিকিট কাউন্টারে কর্তব্যরত কয়েকজন ব্যক্তি এবং রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এই সিন্ডিকেটে জড়িত। এমন তথ্য দিয়েছে রুস্তম আলী প্রকাশ জাহাঙ্গীর। সে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের পূর্ব মিঠানালা এলাকার ছেরাজুল হকের ছেলে। ওই সময় আলীর সঙ্গে নোয়াখালী সেনবাগ থানার বাবুপুর শ্রীপুরের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. মাহবুবুল হক (৪৫) নামে আরেকজনকেও আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, চট্টগ্রামে রেলের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে মো. হেলাল, চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের কর্মকর্তা সাদেক, মিজান ও সাইমনসহ আরও কয়েকজন জড়িত। যারা বিভিন্ন কৌশলে কাউন্টার থেকে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করে। বিশেষ করে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সময় তারা বিপুল সংখ্যক টিকিট কালোবাজারীর সাথে যুক্ত।
.তিনি বলেন, ঈদের আগের এই সময়টায় চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ট্রেনের একটি টিকিট যেন সোনার হরিণ! টিকেট কালোবাজারীর কারনে হাজার হাজার ট্রেনযাত্রী জিম্মি হয়ে পড়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষকে। বিভিন্ন কারণে ট্রেনে চলাচল নিরাপদ হওয়ায় ঈদকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন এলাকায় যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। এই সুযোগের অপব্যবহার করে স্টেশন এলাকার কালোবাজারি চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে কালোবাজারিদের কাছ থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে ট্রেনের টিকিট। পুলিশের হাতে বিভিন্ন সময়ে আটক কালোবাজারিদের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের বুকিং ক্লার্ক এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) কিছু সদস্য টিকিট কালোবাজারির নেপথ্যে সক্রিয়। এদের হাত ধরেই কালোবাজারিদের কাছে যাচ্ছে ট্রেনের টিকিট।
এ সময় লোক দেখানো অভিযান চালায় পুলিশ। দু’একজনকে আটক করেই নামমাত্র কিছু টিকিট উদ্ধার করে অভিযানের ইতি টানে। টিকেট কালোবাজারী নিয়ে পুরো বছর পুলিশের কোন তৎপরতা তেমন দেখা যায় না বলে অভিমত যাত্রী সাধারণের।
.তিনি বলেন, ঈদের আগের এই সময়টায় চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ট্রেনের একটি টিকিট যেন সোনার হরিণ! টিকেট কালোবাজারীর কারনে হাজার হাজার ট্রেনযাত্রী জিম্মি হয়ে পড়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষকে। বিভিন্ন কারণে ট্রেনে চলাচল নিরাপদ হওয়ায় ঈদকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন এলাকায় যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। এই সুযোগের অপব্যবহার করে স্টেশন এলাকার কালোবাজারি চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে কালোবাজারিদের কাছ থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে ট্রেনের টিকিট। পুলিশের হাতে বিভিন্ন সময়ে আটক কালোবাজারিদের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের বুকিং ক্লার্ক এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) কিছু সদস্য টিকিট কালোবাজারির নেপথ্যে সক্রিয়। এদের হাত ধরেই কালোবাজারিদের কাছে যাচ্ছে ট্রেনের টিকিট।
এ সময় লোক দেখানো অভিযান চালায় পুলিশ। দু’একজনকে আটক করেই নামমাত্র কিছু টিকিট উদ্ধার করে অভিযানের ইতি টানে। টিকেট কালোবাজারী নিয়ে পুরো বছর পুলিশের কোন তৎপরতা তেমন দেখা যায় না বলে অভিমত যাত্রী সাধারণের।