সৌদি আরবে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের সঙ্গে উত্তেজনাকে সামনে রেখে সৌদি আরবের কাছে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্র বিক্রির এ বিষয়টি ক্লিয়ার করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি আরবের প্রতিপক্ষ ইরানের হুমকি উল্লেখ করে ট্রাম্প এই ক্লিয়ারেন্স দিয়েছেন কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে। এক্ষেত্রে তিনি ব্যবহার করেছেন ফেডারেল ল। এই আইনটির ব্যবহার বিরল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের সঙ্গে চলমান যে উত্তেজনা তা জাতীয় পর্যায়ে জরুরি অবস্থার মতো। তবে তিনি এই অস্ত্র বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছে কেউ কেউ। তাদের আশঙ্কা, এসব অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে। কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে এ অস্ত্র বিক্রির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেছেন কিছু ডেমোক্রেট। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে নানা রকম যুদ্ধ উপকরণ, বিভিন্ন রকম বোমা। উল্লেখ্য, অস্ত্র শুধু সৌদি আরবের কাছেই বিক্রি হবে এমন না। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানের কাছেও অস্ত্র বিক্রির কথা রয়েছে।

শুক্রবার অস্ত্র বিক্রির এ কথা কংগ্রেসে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। মার্কিন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রকাশ পেয়েছে একটি চিঠি। তাতে তিনি বলেছেন, ‘ইরানের ক্ষতিকর কর্মকান্ডের’ জন্য অবিলম্বে অস্ত্র বিক্রি প্রয়োজন হয়েছে। ইরানের কর্মকাণ্ডে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির মৌলিক হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের ভিতরে এবং বিদেশে আমেরিকানদের জন্যও তা হুমকি। মাইক পম্পেও বলেছেন, পারস্য উপসাগরে এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের দুঃসাহসিকতার ওপর নির্ভর করে এই অস্ত্রের চালান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাঠানো হবে।

কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এর বিরোধিতা করেছেন বিরোধী পক্ষ। ডেমোক্রেটিক সিনেটর রবার্ট মেন্ডেজ, যিনি ফরেন রিলেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান, তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কর্তৃত্ববাদীদের পক্ষ নিয়েছেন।