বিশ্বজমিন
রয়টার্সের রিপোর্ট
রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে ভারতীয় মুসলিমরা যা বলেন
মানবজমিন ডেস্ক
২৪ মে ২০১৯, শুক্রবার, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
ভারতে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি ভূমিধস জয় পেয়েছে। এমন অবস্থায় হাল ছেড়ে দিচ্ছেন ভারতীয় মুসলিমদের অনেকেই। ফলে তারা এখন অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ এলাকায় হিন্দুদের দাবি অনুযায়ী, রাম মন্দির স্থাপনের দাবিতেও সায় দিচ্ছেন। এমনটাই জানাচ্ছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০১৪ সালের নির্বাচনেও বড় জয় পেয়েছিল বিজেপি। তবে এবারের জয় সেটাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এ জয়ের ফলে বাবরি মসজিদ এলাকায় রাম মন্দির নির্মাণের দাবি আরও জোরদার হবে। অনেক হিন্দুই বিশ্বাস করেন, ১৯৯২ সালে ভেঙ্গে ফেলা বাবরি মসজিদের নিচেই আছে রাম মন্দির। তারা এর পক্ষে প্রমাণও দেখান যে, ১৫২৮ সালে বাবরি মসজিদ নির্মাণের পূর্বে ওই স্থানে রাম মন্দির ছিল। এ দাবিকে কেন্দ্র করে ১৯৯২ সালে কট্টর হিন্দুরা বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে ও পুনরায় এখানে রাম মন্দির নির্মাণের দাবি তোলে। এর ফলে দেশজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক দাঙ্গা, যাতে নিহত হন কমপক্ষে ২০০০ মানুষ।
রয়টার্স অযোধ্যার অনেক মুসলমানের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের বেশির ভাগই বলেছেন, সেখানে হিন্দু দেবতার মন্দির স্থাপন হলে তাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে কারো কারো মধ্যে বিষয়টি নিয়ে এক ধরণের অস্বস্তি দেখা গেছে। ভেঙ্গে ফেলা বাবরি মসজিদ এলাকায় মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতা ৬৫ বছর বয়স্ক হাজী মাহবুব আহমেদ রয়টার্সকে বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানাই এবং তার কাছে আবেদন জানাই যাতে আমাদের আর দুর্ভোগ পোহাতে না হয়। এখানে মন্দির বানানো হোক। আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি চাই। তিনি আরও বলেন, অযোধ্যার মুসলিমরা শান্তির জন্য মন্দির নির্মাণের বিরোধিতা করবে না। এ সময় আরও কিছু মুসলিম তার কথায় সায় দেন।
অযোধ্যার প্রধান ইমাম আশরাফ জালাল রয়টার্সকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি যখন পুনরায় বড় রকমের জয় নিয়ে ফিরে এসেছেন এখন তার এই ইস্যুটি সমাধান করা দরকার। এটি আমাদের হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বড় ব্যবধান সৃষ্টি করেছে। উন্নয়ন ও শান্তির স্বার্থে আমরা এখানে মন্দির নির্মাণকে সমর্থন করি। গত বছর বেশ কয়েকজন হিন্দু সন্ন্যাসী ও লাখ লাখ বিজেপির সমর্থক অযোধ্যা ও দিল্লীতে রাম মন্দির নির্মাণের দাবিতে সমাবেশ করে। হিন্দু দলগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা এ সপ্তাহে আবারও মোদিকে হিন্দু মন্দির নির্মাণের জন্য চাপ দেবেন।
উত্তরাঞ্চলীয় শহর নাগপুর হচ্ছে আরএসএসের ঘাঁটি। সেখানকার মুসলিমদের মুখেও একই রকম কথা শোনা গেছে। তারাও জানিয়েছেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করা হলে তাদের কোনো সমস্যা নেই। নাগপুরে ওয়াশিম শেখ নামের এক মুসলিম বলেছেন, বিজেপি আবারও জিতেছে এ নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। তবে দলটিকে অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে রাম মন্দির ইস্যুটি সমাধান করতে হবে। আবার অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সনাল ল বোর্ডের সভাপতি ও আইনজীবী জাফারিয়াব জ্বিলানি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যা রায় দেবেন তাই তিনি মেনে নেবেন।
২০১৪ সালের নির্বাচনেও বড় জয় পেয়েছিল বিজেপি। তবে এবারের জয় সেটাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এ জয়ের ফলে বাবরি মসজিদ এলাকায় রাম মন্দির নির্মাণের দাবি আরও জোরদার হবে। অনেক হিন্দুই বিশ্বাস করেন, ১৯৯২ সালে ভেঙ্গে ফেলা বাবরি মসজিদের নিচেই আছে রাম মন্দির। তারা এর পক্ষে প্রমাণও দেখান যে, ১৫২৮ সালে বাবরি মসজিদ নির্মাণের পূর্বে ওই স্থানে রাম মন্দির ছিল। এ দাবিকে কেন্দ্র করে ১৯৯২ সালে কট্টর হিন্দুরা বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে ও পুনরায় এখানে রাম মন্দির নির্মাণের দাবি তোলে। এর ফলে দেশজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক দাঙ্গা, যাতে নিহত হন কমপক্ষে ২০০০ মানুষ।
রয়টার্স অযোধ্যার অনেক মুসলমানের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের বেশির ভাগই বলেছেন, সেখানে হিন্দু দেবতার মন্দির স্থাপন হলে তাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে কারো কারো মধ্যে বিষয়টি নিয়ে এক ধরণের অস্বস্তি দেখা গেছে। ভেঙ্গে ফেলা বাবরি মসজিদ এলাকায় মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতা ৬৫ বছর বয়স্ক হাজী মাহবুব আহমেদ রয়টার্সকে বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানাই এবং তার কাছে আবেদন জানাই যাতে আমাদের আর দুর্ভোগ পোহাতে না হয়। এখানে মন্দির বানানো হোক। আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি চাই। তিনি আরও বলেন, অযোধ্যার মুসলিমরা শান্তির জন্য মন্দির নির্মাণের বিরোধিতা করবে না। এ সময় আরও কিছু মুসলিম তার কথায় সায় দেন।
অযোধ্যার প্রধান ইমাম আশরাফ জালাল রয়টার্সকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি যখন পুনরায় বড় রকমের জয় নিয়ে ফিরে এসেছেন এখন তার এই ইস্যুটি সমাধান করা দরকার। এটি আমাদের হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বড় ব্যবধান সৃষ্টি করেছে। উন্নয়ন ও শান্তির স্বার্থে আমরা এখানে মন্দির নির্মাণকে সমর্থন করি। গত বছর বেশ কয়েকজন হিন্দু সন্ন্যাসী ও লাখ লাখ বিজেপির সমর্থক অযোধ্যা ও দিল্লীতে রাম মন্দির নির্মাণের দাবিতে সমাবেশ করে। হিন্দু দলগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা এ সপ্তাহে আবারও মোদিকে হিন্দু মন্দির নির্মাণের জন্য চাপ দেবেন।
উত্তরাঞ্চলীয় শহর নাগপুর হচ্ছে আরএসএসের ঘাঁটি। সেখানকার মুসলিমদের মুখেও একই রকম কথা শোনা গেছে। তারাও জানিয়েছেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করা হলে তাদের কোনো সমস্যা নেই। নাগপুরে ওয়াশিম শেখ নামের এক মুসলিম বলেছেন, বিজেপি আবারও জিতেছে এ নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। তবে দলটিকে অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে রাম মন্দির ইস্যুটি সমাধান করতে হবে। আবার অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সনাল ল বোর্ডের সভাপতি ও আইনজীবী জাফারিয়াব জ্বিলানি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যা রায় দেবেন তাই তিনি মেনে নেবেন।