বিশ্বজমিন
ইস্যু যখন পাকিস্তান
মানবজমিন ডেস্ক
২৪ মে ২০১৯, শুক্রবার, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
ডিসেম্বরে তিনটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়া এবং বেকারত্বের কারণে ক্ষোভ বাড়ছিল। এসব কারণে মোদির ওপর চাপ ছিল ভীষণ। সেই চাপকে মাথায় নিয়েই তিনি শুরু করেন নির্বাচনী প্রচারণা। কিন্তু সহসাই সেই প্রচারণা রূপ নেয় পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে। ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মিরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতের কমপক্ষে ৪০ জন আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য নিহত হওয়ার পর ঘটনাটি যেন জাতীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা এনে দেয়। মোদি ওই ঘটনার পর পাকিস্তানে বিমান হামলার নির্দেশ দেন। ভারত দাবি করে, তারা পাকিস্তানের ভিতরে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে। এটা ছিল ভারতের কঠোর জবাব। আর ভোটের রাজনীতিতে এর সুবিধা পেয়েছে উগ্র ডানপন্থি বিজেপি। এমনটা বলছেন বিশ্লেষকরা। পাকিস্তান যখন স্বেচ্ছায় ভারতের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনার ইঙ্গিত দেয় তখন ভারতের সামরিক শক্তিমত্তা বড় করে দেখা হয়। ভাবা হয়, পাকিস্তান ভারতের কাছে নত হয়েছে। বিশেষ করে যখন পাকিস্তানের কাছে আটক ভারতীয় যুদ্ধবিমানের ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্তমানকে যখন ফেরত দিতে রাজি হয় ইমরান খানের সরকার, তখন বিষয়টিকে তাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অথবা পাকিস্তান দুর্বল হয়ে গেছে বলে ধরে নেয় ভারতের বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হন ইমরান খান। তিনি যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তির পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য তার প্রশংসা করেন আন্তর্জাতিক বোদ্ধামহল। এ ছাড়া বিজেপি নরেন্দ্র মোদির ‘স্টার পাওয়ার’কে পুঁজি হিসেবে পেয়েছে। তিনি ক্ষিপ্ত একজন প্রচারকও। তা ছাড়া দলটির আছে আর্থিক সঙ্গতিও।
এ মাসে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সূত্রগুলো বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণায় কংগ্রেসের চেয়ে ফেসবুক ও গুগলে ৬ গুণ বেশি অর্থ খরচ করেছে বিজেপি। আর সার্বিকভাবে ২০ গুন বেশি অর্থ খরচ করেছে তারা। উত্তর প্রদেশ হলো জনবহুল রাজ্য। সেখান থেকে ভারতের পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি এমপি নির্বাচিত হয়ে আসেন। এখানে রয়েছে ৮০টি আসন। তার মধ্যে বিজেপি এগিয়ে আছে ৬০ আসনে। সেখানে গ্রামীণ জীবনের উন্নয়নের প্রচারণাকে ব্যবহার করেছে বিজেপি। অযোধ্যার বাইরে ধান ও গম চাষ করেন রাঘুবর দাস (৫৫)। তিনি বলেন, পাকিস্তানে বিমান হামলার পর রাজ্যের অন্যন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো ম্লান হয়ে গেছে। কৃষকরা সব কিছু ভুলে জাতি হিসেবে বিজেপিকে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার ভাষায়, মনে রাখবেন এসব কৃষক বিজেপিকে ভোট দেন নি। তারা ভোট দিয়েছেন মোদিকে। সবাই একজন দৃঢ়চেতা নেতাকে ভালবাসেন।
এ মাসে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সূত্রগুলো বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণায় কংগ্রেসের চেয়ে ফেসবুক ও গুগলে ৬ গুণ বেশি অর্থ খরচ করেছে বিজেপি। আর সার্বিকভাবে ২০ গুন বেশি অর্থ খরচ করেছে তারা। উত্তর প্রদেশ হলো জনবহুল রাজ্য। সেখান থেকে ভারতের পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি এমপি নির্বাচিত হয়ে আসেন। এখানে রয়েছে ৮০টি আসন। তার মধ্যে বিজেপি এগিয়ে আছে ৬০ আসনে। সেখানে গ্রামীণ জীবনের উন্নয়নের প্রচারণাকে ব্যবহার করেছে বিজেপি। অযোধ্যার বাইরে ধান ও গম চাষ করেন রাঘুবর দাস (৫৫)। তিনি বলেন, পাকিস্তানে বিমান হামলার পর রাজ্যের অন্যন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো ম্লান হয়ে গেছে। কৃষকরা সব কিছু ভুলে জাতি হিসেবে বিজেপিকে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার ভাষায়, মনে রাখবেন এসব কৃষক বিজেপিকে ভোট দেন নি। তারা ভোট দিয়েছেন মোদিকে। সবাই একজন দৃঢ়চেতা নেতাকে ভালবাসেন।