দেশ বিদেশ
নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা
অধ্যক্ষ ফের দুই দিনের রিমান্ডে
ফেনী প্রতিনিধি
২৩ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার আগে শ্লীলতাহানির ঘটনায় তার মায়ের দায়ের করা মামলায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম) মো. জাকির হোসাইন এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ বুরে্যা অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, দুপুরে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তার সাত দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময় আদালতে সিরাজ উদ-দৌলার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। পরে শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
মো. শাহ আলম আরো জানায়, গত ২৭শে মার্চ সকালে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ ওই মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় নুসরাতের মা সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই মাদরাসার অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।
গত ৬ই এপ্রিল সকালে নুসরাত জাহান রাফি আলিমের আরবি (প্রথম পত্র) পরীক্ষা দিতে মাদরাসায় গেলে দুর্বৃত্তরা কৌশলে তাকে মাদরাসার সাইক্লোন সেন্টারের ছাদে নিয়ে যায়। পরে তাকে বোরকা পরা দুর্বৃত্তরা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। এ সময় নুসরাত মামলা প্রত্যাহারে অস্বীকৃতি জানালে দুর্বৃত্তরা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ দিন পর গত ১০ই এপ্রিল রাতে মারা যায়। পরদিন ১১ই এপ্রিল বিকালে তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান গত ৮ই এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজাহার নামীয় ৮ জনসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। এদের মধ্যে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১২ জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
নুসরাতের মায়ের দায়ের করা শ্লীলতাহানির মামলা ও নুসরাতের ভাইয়ের দায়ের করা হত্যার ঘটনায় করা মামলা দুটি ফেনীর পিবিআই তদন্ত করছে।
মো. শাহ আলম আরো জানায়, গত ২৭শে মার্চ সকালে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ ওই মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় নুসরাতের মা সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই মাদরাসার অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।
গত ৬ই এপ্রিল সকালে নুসরাত জাহান রাফি আলিমের আরবি (প্রথম পত্র) পরীক্ষা দিতে মাদরাসায় গেলে দুর্বৃত্তরা কৌশলে তাকে মাদরাসার সাইক্লোন সেন্টারের ছাদে নিয়ে যায়। পরে তাকে বোরকা পরা দুর্বৃত্তরা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। এ সময় নুসরাত মামলা প্রত্যাহারে অস্বীকৃতি জানালে দুর্বৃত্তরা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ দিন পর গত ১০ই এপ্রিল রাতে মারা যায়। পরদিন ১১ই এপ্রিল বিকালে তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান গত ৮ই এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজাহার নামীয় ৮ জনসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। এদের মধ্যে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১২ জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
নুসরাতের মায়ের দায়ের করা শ্লীলতাহানির মামলা ও নুসরাতের ভাইয়ের দায়ের করা হত্যার ঘটনায় করা মামলা দুটি ফেনীর পিবিআই তদন্ত করছে।