বাংলারজমিন
নোয়াখালী সওজের ৪ কোটি টাকার প্রকল্পে অনিয়ম
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২০ মে ২০১৯, সোমবার, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলাবাজার থেকে ছোটধলী পর্যন্ত ১৫০০ মিটার রাস্তা পাকাকরণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কাজে নানা অনিয়ম চললেও কার্যপ্রদানকারি বিভাগ রয়েছে নির্বাক আবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিয়মিত মনিটরিং না করায় কাজ বাস্তবায়নে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে স্থানীয়রা অভিযোগ করলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়ম মেনেই কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাফাই গাইছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে। স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, রাস্তার সিলকোট হয়েছে নিম্নমানের এবং দিচ্ছে কম থিকনেস, ব্যবহৃত হয়েছে নিম্নমানের বিটুমিন। গত সোমবার দুপুরে সিলকোটের (পিচের) কাজ করার প্রায় ১ ঘণ্টা পর পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়েই সড়কের পিচ উঠায় স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে এলাকাবাসীর অভিযোগের মুখে ঠিকাদারের লোকজন পুনরায় পিচ উঠে যাওয়া স্থানে পিচ ঢালাই করে। তবে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে বেজায় শঙ্কা থাকছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, নতুন সড়কের এখনই যদি এ অবস্থা হয় তাহলে সামনের বর্ষায় কী অবস্থা হবে। এত সব অনিয়মের পরও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নীরবতায় এলাকাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে কাজটি বাস্তবায়নের আশা প্রকাশ করেন। নোয়াখালী সওজের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ১৫০০ মিটার সড়কের এ কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাজু এন্টারপ্রাইজ। মেসার্স রাজু এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. ছিদ্দিক উল্যাহ ভুট্টোর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি ৮০ ভাগ মানসম্পন্ন কাজ করেছেন। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি তিনি নাকচ করে দেন। এ বিষয়ে নোয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মানবজমিনকে জানান, ঠিকাদার সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের কাজ করলে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা মানসম্পন্ন কাজ বুঝে নেব।