দেশ বিদেশ
কৃষক ক্ষেতে আগুন দিচ্ছে সরকার নির্বিকার: দুদু
স্টাফ রিপোর্টার
২০ মে ২০১৯, সোমবার, ৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
ধানেরন্যায্য মূল্য না পেয়ে কৃষক তার ক্ষেতে আগুন দিলেও সরকার নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কৃষকদলের উদ্যোগে ধানসহ সকল প্রকার ফসলের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বলেন, বাংলাদেশে এখন ভয়ঙ্কর শাসন চলছে। যে শাসনে এদেশের কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষ, ছাত্র-যুব-নারী কেউ নিরাপদ নয়। কারো পক্ষেই স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। গত এক শতাব্দীতে লক্ষ্য করলে দেখবেন কৃষক তার উৎপাদিত ধানে আগুন দিয়েছে এরকম ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এই সরকারের আমলে ঘটেছে। কি ভয়ঙ্কর! কৃষক তার ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ক্ষেতে আগুন দিচ্ছে আর সরকার নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, কৃষিমন্ত্রীর বাড়ি টাঙ্গাইল। সেই টাঙ্গাইলের কৃষক নিজের ধান ক্ষেতে আগুন দিয়েছে। কৃষিমন্ত্রী কিছু করেননি। প্রধানমন্ত্রীও কিছুই করেননি। কারণ হলো, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত না। এরা অবৈধ সরকার বলেই জনগণের কাছে, কৃষকদের কাছে তারা কোনো কৈফিয়ত দিতে চায় না। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এই স্বৈরতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্রের সরকারকে বুঝিয়ে দিতে হবে বাংলাদেশের জন্ম মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। লাখ লাখ শহীদ হয়েছে, মা বোন ইজ্জত দিয়েছে স্বাধীনতার জন্য। গণতন্ত্রের প্রশ্নে এই দেশে লুটপাট দুর্নীতি একনায়কতন্ত্র স্বৈরতন্ত্র টিকবে না। কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশে লুটপাট করবে। শেয়ার বাজার ও ব্যাংকে তারা লুটপাট করবে। কৃষক তাদের ধানের ন্যায্যমূল্য পাবে না। উপকরণ কিনতে গেলে তিনগুণ দাম দিয়ে কিনতে হবে। এভাবে তো চলতে পারে না। এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য দেবে, দশ টাকা সের চাল খাওয়াবে। কিন্তু এখন বাস্তবে কি দেখছি? শিক্ষিত যুবকরা বেকার হয়ে আছে, কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। দশ টাকা সের চাল খাওয়ানোর কথা বললেও এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে চাল কিনে খেতে হচ্ছে। দুদু বলেন, কৃষকের জন্য সবচাইতে বেশি কাজ করেছেন শহীদ জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও বিএনপি। এই জন্য খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে সরকার। যাতে তিনি কৃষকদের পক্ষে কথা না বলতে পারেন এবং আন্দোলন করতে না পারেন। এ সময় শামসুজ্জামান দুদ কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সারা দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে হাট ও উপজেলা পর্যায়ে সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ২১, ২২, ২৩ ও ২৪শে মে সারা দেশের সকল ইউনিয়ন হাটে ঘাটে মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ। ২৫শে মে শনিবার সকল উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ২৬শে মে রোববার সারা দেশের প্রত্যেকটি জেলায় জেলা প্রশাসক বরাবর কৃষকদের ধানের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিমের সভাপতিত্বে এবং সদস্য এসকে সাদীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, জামাল উদ্দিন খান মিলন, সদস্য আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, মাইনুল ইসলাম, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, খলিলুর রহমান ইব্রাহিম, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিমের সভাপতিত্বে এবং সদস্য এসকে সাদীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, জামাল উদ্দিন খান মিলন, সদস্য আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, মাইনুল ইসলাম, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, খলিলুর রহমান ইব্রাহিম, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।