দেশ বিদেশ

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্থাপিত হলো একখণ্ড বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ মিনার

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে

২০ মে ২০১৯, সোমবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন

মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতি অম্লান করে রাখার উদ্দেশ্যে স্থাপন করা হয়েছে  বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক নবনির্মিত স্থাপনা। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কমপাউন্ডে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক এই স্থাপনার ফলক উন্মোচন করে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দীন। পরে মেয়র এ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আটশত বর্গফুট জায়গায় নিয়ে এই স্থাপনা করা হয়েছে। এই স্মৃতিসৌধ সকল দেশ প্রেমিক নাগরিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়  ও সাফল্যের যুগলবন্দি রচনা করা হয়েছে। সাতটি ত্রিভুজ আকৃতি মিনারের শিখর দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের সাতটি পর্যায়ের প্রতিটি এক ভাবব্যঞ্জনাতে প্রবাহিত হচ্ছে। এই সাতটি পর্যায়ের প্রতিটি সূচিত হয় বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন এর মাধ্যমে। পরবর্তীতে চুয়ান্ন, ছাপান্ন, বাষট্রি, ছেষট্রি ও উনসত্তরের গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দিয়ে অগ্রসর হয়ে একাত্তরের স্বশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ এর মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। এছাড়াও এই স্থাপনায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ভাষণ এবং বঙ্গবন্ধু জন্ম ও শাহাদাত বরণের ইতিহাস সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এই স্থাপনার মূল পরিকল্পিনা ও বাস্তবায়নে মূল দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যক্ষ প্রকৌশলী নুরুল কবির। ঢাকা স্মৃতিসৌধের আদলে ছোট আকারে একখণ্ড বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশে  মিনার স্থাপিত করা হয়েছে। এই স্মৃতিসৌধের উচ্চতা রয়েছে ১৬ ফুট।  ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায়  মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ  এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। তার ত্যাগ আন্দোলন সংগ্রামের ফল আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। মেয়র আরো বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি পৃথিবীর মানচিত্রে  বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। এর পেছনে রয়েছে ৩০ লাখ শহীদদের আত্মদান, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর বেদনা। এদের আত্মত্যাগের বিনিময়ের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়েছে। মহান এই দিনের স্মরণে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ। এই স্মৃতিসৌধের সম্মান মর্যাদা রক্ষায় ইনস্টিটিউট শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদেরকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান মেয়র। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আবদুর রহমান। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক অধ্যক্ষ নুরুল কবীর, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ এম মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম চেম্বারে সাবেক পরিচালক  মাহফুজুল হক শাহ। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগীয় প্রধান স্বপন কুমার নাথ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগ সভাপতি একরামুল কবীর, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরমান চৌধুরী প্রমুখ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আই এমসি’র সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রাক্তণ ছাত্র দেওয়ান মাকসুদ, ইঞ্জিনিয়ার এম.এ রশিদ, মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনসহ ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status