দেশ বিদেশ
পা হারানো রাসেলকে বাকি টাকা দিতে গ্রিনলাইনকে কড়া হুঁশিয়ারি
স্টাফ রিপোর্টার
১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
গ্রিনলাইন পরিবহনের বাস চাপায় পা হারানো প্রাইভেট কার চালক রাসেল সরকারকে আগামী ২২শে মের মধ্যে বাকি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে গত ১০ এপ্রিল আদালতে রাসেলের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দিয়েছিল গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষ। আদালত বাকি টাকা দিতে এক মাস সময় দেয়। গতকাল বিষয়টি শুনানির জন্য উঠে। তবে, এ দিন রাসেলকে কোনো টাকা না দেয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আদালত বলেন, বাকি ৪৫ লাখ টাকা এক মাসের মধ্যে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু আপনারা খালি হাতে চলে এসেছেন। এটা কি হয়? আপনাদের ব্যবসা তো বন্ধ হয়নি। আমরা কি রিসিভার নিয়োগ দিয়ে দেবো? আদেশ বাস্তবায়ন করে আসতেন। আদেশ যদি বাস্তবায়ন না করেন, তবে কী করতে হয় তা আমরা জানি। এ ছাড়া চিকিৎসার খরচও দেবেন। আর আমরা আপনাদের সমস্যা দেখছি। সামনে উচ্চ আদালতের ভ্যাকেশন আছে। এর আগেই আদেশ বাস্তবায়ন করুন। ২২ মে তারিখ রাখলাম। যদি পার্ট হয় (আংশিক) তাও দেন।
রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার শামসুল হক রেজা ও উম্মে কুলসুম স্মৃতি। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। গ্রীনলাইনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ওয়াজি উল্লাহ। আইনজীবী ওয়াজি উল্লাহ বলেন, আমরা সময় চেয়েছি। তখন আদালত বলেন, একবার চাইলেন, সময় তো দিলাম। চার আনা পয়সাও পরিশোধ করেননি। আপনাদের (গ্রিনলাইন) কি ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে? আমরা কি রিসিভার নিয়োগ দিয়ে দিবো? একেবারে খালি হাতে চলে আসলেন। এটা কি করে হয়! সামনে কোর্টের অবকাশ (ভ্যাকেশন) আছে। তার আগে আদেশ পালন(কমপ্লাই) করেন। ২২শে মে তারিখ রাখলাম। চিকিৎসার খরচতো দিবেনই। যদি পার্ট হয় (আংশিক) তাও দেন।
গত বছরের ২৮শে এপ্রিল রাজধানীর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের ধোলাই পাড়এলাকায় গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একটি প্রাইভেটকারকে চাপা দেয়। এ সময় প্রাইভেটকার চালক গাইবান্ধার পলাশ বাড়ির বাসিন্দা রাসেল সরকারের (২৩) সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে রাসেলের পায়ের ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেয় চালক কবির মিয়া। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর রাসেলের বাম পা কেটে ফেলতে হয়। ডানপায়েও গুরুতর জখম হয় তার।ওই দিনই চালক কবিরকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করে রাসেলের বড় ভাই আরিফ। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। গত ১৪ জানুয়ারি বিচারিক আদালত থেকে জামিন পান চালক কবির।
রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার শামসুল হক রেজা ও উম্মে কুলসুম স্মৃতি। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। গ্রীনলাইনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ওয়াজি উল্লাহ। আইনজীবী ওয়াজি উল্লাহ বলেন, আমরা সময় চেয়েছি। তখন আদালত বলেন, একবার চাইলেন, সময় তো দিলাম। চার আনা পয়সাও পরিশোধ করেননি। আপনাদের (গ্রিনলাইন) কি ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে? আমরা কি রিসিভার নিয়োগ দিয়ে দিবো? একেবারে খালি হাতে চলে আসলেন। এটা কি করে হয়! সামনে কোর্টের অবকাশ (ভ্যাকেশন) আছে। তার আগে আদেশ পালন(কমপ্লাই) করেন। ২২শে মে তারিখ রাখলাম। চিকিৎসার খরচতো দিবেনই। যদি পার্ট হয় (আংশিক) তাও দেন।
গত বছরের ২৮শে এপ্রিল রাজধানীর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের ধোলাই পাড়এলাকায় গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একটি প্রাইভেটকারকে চাপা দেয়। এ সময় প্রাইভেটকার চালক গাইবান্ধার পলাশ বাড়ির বাসিন্দা রাসেল সরকারের (২৩) সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে রাসেলের পায়ের ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেয় চালক কবির মিয়া। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর রাসেলের বাম পা কেটে ফেলতে হয়। ডানপায়েও গুরুতর জখম হয় তার।ওই দিনই চালক কবিরকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করে রাসেলের বড় ভাই আরিফ। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। গত ১৪ জানুয়ারি বিচারিক আদালত থেকে জামিন পান চালক কবির।