দেশ বিদেশ
খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরে বিএনপির খুশি হওয়ার কথা
স্টাফ রিপোর্টার
১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তরে দলের নেতাদের খুশি হওয়ার কথা। গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেয়ার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে তো বারবার বলা হচ্ছিল যে, খালেদা জিয়াকে পুরনো একটি বিল্ডিংয়ে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে রাখা হয়েছিল। যদিও তাকে সেখানে রাখার জন্য ভবনকে নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছিল। সেটিকে মর্ডানাইজ করা হয়েছিল। সমস্ত সুযোগ-সুবিধা সেখানে দেয়া হয়েছিল। এরপর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল একটি পুরনো ভবনে নির্জন কারাগারে তাকে রাখা হচ্ছে, যেখানে অন্য কোনো বন্দি নেই। তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জ কারাগারে তো অন্য সব বন্দিকে অনেক আগেই স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে নতুন ভবন, সেটি একেবারে আধুনিক ভবন। সেখানে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা আছে। এতে তো বিএনপির খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু দেখলাম রিজভী আহমেদ এটি নিয়েও একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এখন (খালেদা জিয়াকে) কোথায় রাখলে যে তারা খুশি হবেন বুঝতে পারছি না। সেখানে যেহেতু পুরনো কারাগারকে জাদুঘরে রুপান্তর করা হবে। সেজন্য এখান থেকে স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এখন এটি আর রেগুলার কারাগার নয়। কেরানীগঞ্জের কারাগার হচ্ছে একটি রেগুলার কারাগার। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনেক দিন ধরে বলে আসছেন বাংলাদেশ অকার্যকর রাষ্ট্র হয়ে যাচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম যেটি বলেছেন...আসলে বিএনপিটাই অকার্যকর হয়ে গেছে। রাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। রাষ্ট্র এগিয়ে যাচ্ছে, বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের নেতৃত্বে অকার্যকর হয়ে গেছে। এটি যদি উনি বলতেন তাহলে সঠিক হতো। বরিশালে হেনরী স্বপন নামের একজন সাংবাদিক ও কবিকে তথ্য প্রযুক্তি আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে-এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিষয়টা শুনেছি, ইনসাইডটা পুরোপুরি জানি না। বিষয়টি পুরোপুরি না জেনে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কসহ নানাবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত-বাংলাদশের যৌথ প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি ছবি নির্মিত হতে যাচ্ছে। সেই ছবির পরিচালক হচ্ছেন বিখ্যাত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। সেটি নিয়ে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভীর নেতৃত্বে তথ্য সচিবসহ সেখানে গিয়েছিলেন। সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে।