বাংলারজমিন
পাবনায় দগ্ধ গৃহবধূ মারা গেছেন
স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা থেকে
১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:১৮ পূর্বাহ্ন
শ্বশুর বাড়ির আগুনে দগ্ধ শরীর নিয়ে ৫দিন ধরে মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটফট করে, বাঁচার জন্য যুদ্ধ করে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন পাবনার আমিনপুর থানার তালিমনগর গ্রামের গৃহবধূ ফজিয়া খাতুন। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত ফজিয়া খাতুন তালিমনগর গ্রামের ছুরমান মণ্ডলের স্ত্রী। গতকাল আমিনপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম মঈনুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ছুরমান মণ্ডল কয়েক বছর ধরে মালয়েশিয়া থাকেন। সেখান থেকে তিনি প্রতি মাসে তার বোন সামেলা খাতুনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান। ননদ সামেলা খাতুন প্রতি মাসে মাত্র ৩ হাজার টাকা করে দেন তার ভাবি ফজিয়া খাতুনকে। কিন্তু অল্প টাকায় সংসার চালানো সম্ভব না হওয়ায় শাশুড়ি-ননদ, ভাসুর ও জায়ের সঙ্গে কলহ দেখা দেয় প্রবাসী স্বামীর স্ত্রী ফজিয়া খাতুনের। এ নিয়ে গেল ৯ই মে ভোরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাশুড়ি, ননদ ও ভাসুরের বউ মিলে ফজিয়া খাতুনের শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মারা যান গৃহবধূ ফজিয়া খাতুন।