বাংলারজমিন
দিনাজপুরে প্রতিমণ ধান বিক্রি করে মিলছে একজন শ্রমিক!
শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর থেকে
১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:০১ পূর্বাহ্ন
উত্তরের শস্যভাণ্ডার দিনাজপুরে ধানের ভালো ফলন পেয়েও ভালো নেই কৃষক। উৎপাদিত ধান নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছে। ৭৬ কেজি’র প্রতিবস্তা ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০ টাকায়। অন্যদিকে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। এতে প্রতিমণ ধান বিক্রি করে একজন শ্রমিক মিলছে। ধান পেকে জমিতে ঝরে পড়লেও অনেক কৃষক ধান কেটে তুলছে না ঘরে। এর কারণ হিসেবে বলছে, প্রতিবিঘা জমির ধান কেটে উৎপাদন খরচতো উঠছে না বরং ক্ষতি হচ্ছে আড়াই থেকে তিন জাহার টাকা। এমনটাই অভিযোগ কৃষকের।
দিনাজপুরে এবার ইরি-বোরো মৌসুমে এক লাখ ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ। কিন্তু উৎপাদন হয়েছে,অনেকে বেশি। ৭ লাখ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও হবে প্রায় আট লাখ টন এমনটাই জানিয়েছেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. তৌহিদুল ইকবাল। ধানের উৎপাদন বাড়লেও এ ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
চলতি মৌসুমে বোরোর ভালো ফলন পেলেও ধানের ভালো দাম না পাওয়ায় দিনাজপুরে কৃষকের মুখের হাসি ম্লান হয়ে গেছে। কৃষক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে।কষ্টার্র্র্র্র্র্জি ধান ঘরে তুলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। গতবারের চেয়ে এবার ধানের বস্তাপ্রতি ৩ থেকে ৪শ’ টাকা কম পাচ্ছে কৃষক। বিরল উপজেলার পুরিয়া গ্রামের কৃষক মতিউর রহমান জানালেন, তিনি এবার প্রায় দেড়শ’ একর জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন। ধানের ভালো ফলনও পেয়েছেন। কিন্তু ধান পাকলেও জমি থেকে ঘরে তুলছেন না ধান। কয়েক বিঘা জমির ধান কেটে তিনি তা হাটে বিক্রি করে লোকসান খেয়েছেন। তারপর শ্রমিক সংকটের কারণে একমণ ধান বিক্রি করেও মিলছে না একজন শ্রমিক। বিশেষ করে রোজা ও আসন্ন ঈদে মৌসুমি দোকান, সেমাইর কারখানায় অনেকে কাজে যোগ দেয়ায় শ্রমিক সংকট চরমে উঠেছে। বাজারে ধান উঠলেও অনেক কৃষক ধান মাড়াই না করে উঠোনেই ফেলে রেখেছে ধান। ধান লাগানো, পরিচর্যা, কাটা ও মাড়ায়ে এবার ধানে খরচ হয়েছে বেশি। কৃষক বলছে, সার-ডিজেল, কিটনাশকের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ধানের উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে। তারপর বেড়েছে, শ্রমবাজারের দামও। কিন্তু, সে হিসেবে দাম নেই ধানের। গত বছর ৭৬ কেজি’র প্রতিবস্তা ধান যেখানে বিক্রি হয়েছে একহাজার ৩শ থেকে পনেরশ’ টাকায়, এবার সেই ধান এক হাজার থেকে এগারশ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে কৃষক পড়েছে বিপাকে। ধান ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম জানালেন, মঙ্গলবার সকালে বিরল উপজেলার ধুকুরঝাড়ি আর কালিয়াগঞ্জ হাট থেকে তিনি এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ৮০ টাকা দরে প্রতিবস্তা ধান কিনেছেন। একদিকে উৎপাদন খরচ বেশি, অন্যদিকে বিক্রির বেলায় দাম কম। উৎপাদক কৃষকরা ধানসহ অন্যান্য ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। তাদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত বা সহজ করে দেয়ার জন্য কোনো ব্যবস্থা বা পদক্ষেপই ফলপ্রসূ হচ্ছে না। মাঝে মধ্যস্বত্বভোগীদের পোয়াবারো। সেদিকে কর্তৃপক্ষের কোনো খেয়াল নেই। এমনটাই অভিযোগ কৃষকের। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামীতে ধান চাষের প্রতি আগ্রহ হারাবে কৃষক এমনটাই জানালেন কৃষিবিদরা।
দিনাজপুরে এবার ইরি-বোরো মৌসুমে এক লাখ ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ। কিন্তু উৎপাদন হয়েছে,অনেকে বেশি। ৭ লাখ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও হবে প্রায় আট লাখ টন এমনটাই জানিয়েছেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. তৌহিদুল ইকবাল। ধানের উৎপাদন বাড়লেও এ ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
চলতি মৌসুমে বোরোর ভালো ফলন পেলেও ধানের ভালো দাম না পাওয়ায় দিনাজপুরে কৃষকের মুখের হাসি ম্লান হয়ে গেছে। কৃষক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে।কষ্টার্র্র্র্র্র্জি ধান ঘরে তুলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। গতবারের চেয়ে এবার ধানের বস্তাপ্রতি ৩ থেকে ৪শ’ টাকা কম পাচ্ছে কৃষক। বিরল উপজেলার পুরিয়া গ্রামের কৃষক মতিউর রহমান জানালেন, তিনি এবার প্রায় দেড়শ’ একর জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন। ধানের ভালো ফলনও পেয়েছেন। কিন্তু ধান পাকলেও জমি থেকে ঘরে তুলছেন না ধান। কয়েক বিঘা জমির ধান কেটে তিনি তা হাটে বিক্রি করে লোকসান খেয়েছেন। তারপর শ্রমিক সংকটের কারণে একমণ ধান বিক্রি করেও মিলছে না একজন শ্রমিক। বিশেষ করে রোজা ও আসন্ন ঈদে মৌসুমি দোকান, সেমাইর কারখানায় অনেকে কাজে যোগ দেয়ায় শ্রমিক সংকট চরমে উঠেছে। বাজারে ধান উঠলেও অনেক কৃষক ধান মাড়াই না করে উঠোনেই ফেলে রেখেছে ধান। ধান লাগানো, পরিচর্যা, কাটা ও মাড়ায়ে এবার ধানে খরচ হয়েছে বেশি। কৃষক বলছে, সার-ডিজেল, কিটনাশকের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ধানের উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে। তারপর বেড়েছে, শ্রমবাজারের দামও। কিন্তু, সে হিসেবে দাম নেই ধানের। গত বছর ৭৬ কেজি’র প্রতিবস্তা ধান যেখানে বিক্রি হয়েছে একহাজার ৩শ থেকে পনেরশ’ টাকায়, এবার সেই ধান এক হাজার থেকে এগারশ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে কৃষক পড়েছে বিপাকে। ধান ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম জানালেন, মঙ্গলবার সকালে বিরল উপজেলার ধুকুরঝাড়ি আর কালিয়াগঞ্জ হাট থেকে তিনি এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ৮০ টাকা দরে প্রতিবস্তা ধান কিনেছেন। একদিকে উৎপাদন খরচ বেশি, অন্যদিকে বিক্রির বেলায় দাম কম। উৎপাদক কৃষকরা ধানসহ অন্যান্য ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। তাদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত বা সহজ করে দেয়ার জন্য কোনো ব্যবস্থা বা পদক্ষেপই ফলপ্রসূ হচ্ছে না। মাঝে মধ্যস্বত্বভোগীদের পোয়াবারো। সেদিকে কর্তৃপক্ষের কোনো খেয়াল নেই। এমনটাই অভিযোগ কৃষকের। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামীতে ধান চাষের প্রতি আগ্রহ হারাবে কৃষক এমনটাই জানালেন কৃষিবিদরা।