বাংলারজমিন
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি
নিখোঁজ বিশ্বনাথের দুই তরুণ
আক্তার আহমদ শাহেদ, বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে
১৫ মে ২০১৯, বুধবার, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির পর থেকে সিলেটের বিশ্বনাথের ২ যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্বনাথের শিমুলতলা গ্রামের মৃত হাজী আর্শদ আলী মাস্টার ও সুফিয়া দম্পতির বড় ছেলে দিলাল মিয়া (৩২)। আর অন্যজন হলেন, রেদওয়ানুল ইসলাম খোকন (২৪)। বিশ্বনাথ উপজেলার নওধার মাঝপাড়া গ্রামের ইলিয়াস আলীর পুত্র। ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির পর থেকে তাদের স্বজনরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
সরেজমিন শিমুলতলা গ্রামের দিলাল মিয়ার বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, দিলাল মিয়ার বাবা আর্শদ আলীর দু’টি পরিবার একসঙ্গে বসবাস করছেন। প্রথম পক্ষের ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছেন। আর ২য় বিয়ের পর স্ত্রী সুফিয়া বেগমের গর্ভে জন্ম নেন আরও ৪ জন। ২ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে বড় হলেন নিখোঁজ দিলাল মিয়া। পরিবারের কর্তা শানুর মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে সাড়ে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে নওধার গ্রামের চমক আলীর ছেলে দালাল রফিক মিয়ার মাধ্যমে লিবিয়া পাঠান দিলালকে। এরপর প্রতিদিনই মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। সর্বশেষ প্রথম রমজান মঙ্গলবার বিকেলে দিলাল মোবাইল ফোনে তার সাথে কথা বলেন। এসময় দিলাল দোয়া চেয়ে বলেন, ভাই আগামীকাল আমাকে অন্যদের সঙ্গে ইতালিতে পাঠাবে। ৮৫ জনের মধ্যে ২০ জনকে ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে। এরপর থেকে দীর্ঘ সাতদিনের মধ্যে আর কোন খোঁজ মিলেনি, ফোনও করেনি। দিলালের মা সুফিয়া বেগম ছেলের জন্যে কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া করার পর তার ছেলে বিশ্বনাথ বাজারে নাইস টেইলার্সে দর্জির কাজ করতো। লিবিয়া যাবার পর গত ১৫ দিন আগে তার সাথে কথা বলেছেন দিলাল। এরপর আর কোন কথা হয়নি। বর্তমানে সে কোথায় আছে কেমন আছে তিনি জানেন না। একইভাবে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির পর থেকে নওধার মাঝপাড়া গ্রামের ইলিয়াস আলীর পুত্র রেদওয়ানুল ইসলাম খোকনের পরিবারও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। জহিরুল ইসলাম রিপন জানান, গত ৭ই মে তার ভাই খোকন তার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছেন। এসময় ইতালিতে যাবার জন্য রওনা দিবেন জানিয়ে খোকন বলেন, কোন চিন্তা করবেন না সবাইকে দোয়া করতে বলবেন। এরপর থেকে তার সঙ্গেও আর কোন কথা হয়নি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম ও এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা জানান, দিলাল ও খোকন নামে দু’জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন।
সরেজমিন শিমুলতলা গ্রামের দিলাল মিয়ার বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, দিলাল মিয়ার বাবা আর্শদ আলীর দু’টি পরিবার একসঙ্গে বসবাস করছেন। প্রথম পক্ষের ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছেন। আর ২য় বিয়ের পর স্ত্রী সুফিয়া বেগমের গর্ভে জন্ম নেন আরও ৪ জন। ২ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে বড় হলেন নিখোঁজ দিলাল মিয়া। পরিবারের কর্তা শানুর মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে সাড়ে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে নওধার গ্রামের চমক আলীর ছেলে দালাল রফিক মিয়ার মাধ্যমে লিবিয়া পাঠান দিলালকে। এরপর প্রতিদিনই মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। সর্বশেষ প্রথম রমজান মঙ্গলবার বিকেলে দিলাল মোবাইল ফোনে তার সাথে কথা বলেন। এসময় দিলাল দোয়া চেয়ে বলেন, ভাই আগামীকাল আমাকে অন্যদের সঙ্গে ইতালিতে পাঠাবে। ৮৫ জনের মধ্যে ২০ জনকে ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে। এরপর থেকে দীর্ঘ সাতদিনের মধ্যে আর কোন খোঁজ মিলেনি, ফোনও করেনি। দিলালের মা সুফিয়া বেগম ছেলের জন্যে কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া করার পর তার ছেলে বিশ্বনাথ বাজারে নাইস টেইলার্সে দর্জির কাজ করতো। লিবিয়া যাবার পর গত ১৫ দিন আগে তার সাথে কথা বলেছেন দিলাল। এরপর আর কোন কথা হয়নি। বর্তমানে সে কোথায় আছে কেমন আছে তিনি জানেন না। একইভাবে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির পর থেকে নওধার মাঝপাড়া গ্রামের ইলিয়াস আলীর পুত্র রেদওয়ানুল ইসলাম খোকনের পরিবারও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। জহিরুল ইসলাম রিপন জানান, গত ৭ই মে তার ভাই খোকন তার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছেন। এসময় ইতালিতে যাবার জন্য রওনা দিবেন জানিয়ে খোকন বলেন, কোন চিন্তা করবেন না সবাইকে দোয়া করতে বলবেন। এরপর থেকে তার সঙ্গেও আর কোন কথা হয়নি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম ও এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা জানান, দিলাল ও খোকন নামে দু’জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন।