বাংলারজমিন
ঈদের আগেই মেঘনা ও গোমতী সেতু খুলে দেয়া হচ্ছে
মোক্তার হোসেন, দাউদকান্দি (কুমিল্লা) থেকে
১৫ মে ২০১৯, বুধবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
দেশের অর্থনীতির প্রাণ হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নতুন নির্মিত দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু আগামী ২৫শে মে খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে সড়ক বিভাগের সূত্রে জানা যায়। তার আগে গত ১৬ই মার্চ উদ্বোধন করা হয়েছে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু। তিনটি সেতুই চার লেনের। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ঈদুল ফিতর। ঈদ উপলক্ষে আর কিছুদিন পর রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এই পথে বিপুল যাত্রীর বাড়িযাত্রা শুরু হবে। সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীরা বলছেন, নতুন দু’টি সেতু চালু হলে যানজটের তীব্রতা কমবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াতে কমে যাবে প্রায় দেড় ঘণ্টা। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এই তিন সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু নির্মাণ করা হয়েছে বিদ্যমান সেতুর কাছে। পুরনো তিনটি সেতুই দুইলেনের। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তিন সেতু নির্মাণের জন্য নেয়া প্রকল্পে সব মিলিয়ে ব্যয় হচ্ছে আট হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। তার মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) দিয়েছে ছয় হাজার ৪২৯ কোটি টাকা। বাকি অর্থের জোগান দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চার লেন চালুর পরও তিনটি সেতু সরু হওয়ায় তীব্র যানজট রয়েই যায়। এ যানজট কমাতে নতুন এ তিনটি সেতু নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। সওজ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় মেঘনা সেতুর দৈর্ঘ্য ৯৩০ মিটার। আর দ্বিতীয় গোমতী সেতুর দৈর্ঘ্য এক হাজার ৪১০ মিটার। মেঘনা ও গোমতী সেতু নির্মাণ করেছে যৌথভাবে জাপানি প্রতিষ্ঠান ওবায়শি করপোরেশন, সিমিজু করপোরেশন জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। সরজমিন দেখা গেছে, নির্মিত মেঘনা ও গোমতী সেতুতে বাতি লাগানো ও সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দু’টি সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তার কাছে এজন্য সময় চাওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও এর মধ্যে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে, তিনি আগামী ১৫ই মে দেশে ফিরবেন। তিনিও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে চাইছেন। ওবায়দুল কাদেরের অনুপস্থিতিতে আগে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ওবায়দুল কাদের সুস্থ হয়ে ফিরলে তাকে নিয়ে নতুন সেতু পরিদর্শনে যাবেন তিনি।