অনলাইন

উচ্চ মজুরি কর্মসংস্থানে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে: বিজিএমইএ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

১৪ মে ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

উচ্চহারে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে তৈরি পোশাক খাতে কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)। ওয়ার্কার রাইট কনসোর্টিয়ামের (ডব্লিউআরসি) সাম্প্রতিক ‘ব্যানিং হোপ : বাংলাদেশ গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স, সিকিং আ ডলার অ্যান আওয়ার ফেইস মাস ফায়ারিং, ভায়োলেন্স অ্যান্ড ফরস অ্যারেস্টস’ শিরোনামের প্রতিবেদনের প্রতিবাদে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

৫টি কেস স্টাডি নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ডব্লিউআরসি। এই কেসগুলো নিয়ে তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে। প্রতিবাদপত্রে দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে বিজিএমইএ মজুরি বিতর্ক ও নির্বাচনপূর্ব সহিংসতা।
বিজিএমইএ বলছে, ডব্লিউআরসির প্রতিবেদনে মজুরিসংক্রান্ত বিষয়গুলোর বেশিরভাগই বিতর্কিত। সরকার গঠিত ন্যূনতম মজুুরি বোর্ড সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে চূড়ান্তভাবে নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণের বিষয়ে সুপারিশ করেছে।
ডব্লিউআরসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন ন্যূনতম মজুরি শ্রমিকদের প্রত্যাশা ও লিভিং ওয়েজের তুলনায় অপর্যাপ্ত। বিশ্বে লিভিং ওয়েজ নিয়ে কোনো গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা না থাকলেও প্রতিবেদনে এমন অনেক বিষয় উপেক্ষা করা হয়েছে যেগুলো বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না। এর প্রতিবাদে বিজিএমইএ জানায়, ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে যেকোনো দেশে গুরুত্ব দেয়া হয় সেখানকার জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং আয়ের স্তরে। ডব্লিউআরসির প্রতিবেদনে শ্রমিকদের চাহিদা এবং জীবনযাত্রার ব্যয় হিসাবে নেয়া হলেও উৎপাদনশীলতার হার, বিশাল কর্মসংস্থানকে অক্ষুণœ রেখে উৎপাদন কর্মকা- পরিচালনা, জনগণের গড়পড়তা অবস্থান ও আয় একই রকম গুরুত্ব নিয়ে বিবেচনা করা হয়নি। এ ছাড়া মূল্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কখনোই এ ধরনের প্রতিবেদনগুলোতে উঠে আসে না। সার্বিক বিবেচনায় মনে রাখা জরুরি, উচ্চহারে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হলে তা কর্মসংস্থানের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।

ডব্লিউআরসির প্রতিবেদনে বলা নির্বাচনপূর্ব সহিংসতা প্রসঙ্গে বিজিএমইএ বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী প্রস্তুতি নেয়ার সময় ন্যূনতম মজুরি নিয়ে শ্রমিকদের বিক্ষোভ হয়। নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতির স্পর্শকাতর হওয়ায় বিক্ষোভ সৃষ্টির মাধ্যমে এখাতকে শঙ্কার দিকে ঠেলে দেয়া খুবই সহজ। ডব্লিউআরসির প্রতিবেদনে এই স্পর্শকাতর বিষয়টি উঠে আসেনি। প্রতিবেদনে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ধর্মঘটের কারণে সাড়ে ৭ হাজার থেকে ১১ হাজার ৬০০ শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে বলা হলেও তা যাচাইয়েরা উপযুক্ত সূত্র নেই।

ডব্লিউআরসির প্রতিবেদনে মাহমুদ ফ্যাশনসের দায়ের করা এক মামলায় ভুলে আতাউর ও সবুজ, সেবল্টের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার, অবন্তী কালার টেক্সের ১ হাজার ২০০ কর্মী বরখাস্তের বিষয়ে বিজিএমইএ জানায়, মামলাটি প্রত্যাহারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আর অবন্তী কালার টেক্সের কর্মী ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্র যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করছে বিজিএমইএ। এছাড়া ডব্লিউআরসির বলা অন্য বিশেষ কেসগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোর কাছে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ চেয়েছে বিজিএমইএ। কারখানাগুলোতে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে তা সংশোধনে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছে সংগঠনটি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status