বাংলারজমিন

আতঙ্কের নাম হরিণখোলা বেড়িবাঁধ

রিয়াছাদ আলী, কয়রা (খুলনা) থেকে

১৫ মে ২০১৯, বুধবার, ৯:১০ পূর্বাহ্ন

দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছে না খুলনার কয়রাবাসীর। গত কয়েক দিন আগে কপোতাক্ষ নদের পাড়ে হরিণখোলা বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর পর ফণীর আঘাতে দুর্ভোগে আরো বেড়ে গেছে। শুধু হরিণখোলা নয় অব্যাহত ভাঙনের কারণে কয়রা সদর ইউনিয়নের গোবরা, ঘাটাখালী, হরিণখোলা ও গোবরা পূর্বচক গ্রামের বাসিন্দারা রয়েছেন আতঙ্কে। ভাঙন রোধে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেয়া হলে নদীর তীরবর্তী জনপদের বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়েছে ১৩-১৪/২-নং পোল্ডারের গোবরা, ঘাটাখালী ও হরিণখোলার বেড়িবাঁধ। সম্প্রতি নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ধসে যাচ্ছে নদীর পাড়ের মাটি। অধিকাংশ জায়গায় বাঁধের গোড়ায় মাটি না থাকায় সংকীর্ণ ও খাড়া হয়ে গেছে বেড়িবাঁধের রাস্তা। দুর্বল বাঁধ ভেঙে যে কোনো মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে এ অঞ্চলের জনপদ। গত শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে হরিণখোলা বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। তাৎক্ষণিক দিনে রাতে এলাকাবাসী বাঁধ রক্ষায় কাজ করলেও ভাঙন আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছে এলাকবাসী। বাঁধ রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী জনসাধারণ। ঘাটাখালী ও হরিণখোলা গ্রামের মোস্তাফিজুর, আবুল হোসেন, ইমান আলীসহ অনেকেই বলেন, হরিণখেলা বেড়িবাঁধের গোড়ার মাটিতে ধস বেড়েই চলেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল গফ্‌ফার ঢালী বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় হঠাৎ করে হরিণখোলার বেড়িবাঁধের গোড়ার মাটি ধসে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমাদী সেকশন কর্মকর্তা মশিউল আলম বলেন, কয়রা এলাকার ওয়াপদা বেড়িবাধের স্পর্শকাতর স্থানগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি উল্লেখপূর্বক প্রতিবেদন তৈরি করে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ পেলেই সল্প সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়বাঁধ সংস্কার করা হবে। ইতিমধ্যে হরিনখোলা বাধে টেন্ডার হয়েছে। দ্রুত কজ শুরু করা হবে। কয়রা সদর ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা নাজমুছ ছাদাত বলেন, জরুরিভিত্তিতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া না নেয়া হলে কয়রা সদরের দরিদ্র মানুষ বসতবাড়িসহ ফসলি জমি হারিয়ে আরো নিঃস্ব হয়ে পড়বে। ইতিপূর্বে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন শুরু হলেই ভাঙন রোধের নামে সরকারি অর্থ লুটপাটের তোড়জোড় শুরু হয়। যা শুধুই অপচয় মাত্র। স্থানীয়দের দাবি, নদীভাঙন রোধে -েটকসই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status