বিশ্বজমিন

দ্রুতই ভারতীয়দের চেয়ে ধনী হবেন বাংলাদেশীরা, বলছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড

মানবজমিন ডেস্ক

১৪ মে ২০১৯, মঙ্গলবার, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন

আসছে ২০২০-এর দশক হবে এশিয়ান দশক। ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখবে যেসব দেশ, তাদের মধ্যে এই মহাদেশেরই আধিপত্য। এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার ও ফিলিপাইন এই ধারা ধরে রাখবে। বৈশ্বিক ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের থিমেটিক রিসার্চের প্রধান মাধুর ঝা ও বৈশ্বিক প্রধান অর্থনীতিবিদ ডেভিড ম্যান-এর গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতে এ খবর দিয়েছে ব্লুমবার্গ। খবরে বলা হয়, এশিয়ার এই দেশগুলো ছাড়া আফ্রিকার ইথিওপিয়া ও আইভরিকোস্ট ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ধারায় পৌঁছাতে পারে বলে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির অর্থ প্রতি ১০ বছরে জিডিপির আকার দ্বিগুণ হওয়া। ফলে মাথাপিছু আয়ও বৃদ্ধি পাবে। আর এই দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ভিয়েতনাম। স্ট্যান্ডার্ড চ্যার্টার্ড ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ভিয়েতনামের মাথাপিছু আয় ২৫০০ ডলার। ২০৩০ সালে তা গিয়ে দাঁড়াবে ১০৪০০ ডলারে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে ফিলিপাইন। বর্তমানে ৩১০০ ডলার দেশটির মাথাপিছু আয়। ২০৩০ সালে এই আয় ৬৯০০ ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আর ভারতকে টপকে দ্বিতীয় অবস্থানেই রয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে ভারতের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও, ২০৩০ সাল নাগাদ ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। বর্তমানে ভারতের মাথাপিছু আয় ১৯০০ ডলার, আর বাংলাদেশের ১৬০০। তবে ১০ বছর পর বাংলাদেশের হবে ৫৭০০ ডলার, আর ভারতের ৫৪০০।

আগামী ১০ বছর পর গোটা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশের বসবাসই হবে দক্ষিণ এশিয়ায়। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বলছে, জনতাত্ত্বিক মুনাফা বা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড (জনসংখ্যায় তরুণদের আধিক্য)-এর কারণে লাভবান হবে ভারত। অপরদিকে বাংলাদেশ যদি স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ বাড়ায়, তাহলে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

২০১০ সালে যখন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড প্রথমবারের মতো ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির দেশগুলোর তালিকা করা শুরু করে, তখন সেখানে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোর সংখ্যা ছিল প্রায় সমান। তালিকায় ছিল চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া, তাঞ্জানিয়া, উগান্ডা ও মোজাম্বিক। তবে প্রায় ৪ দশক ধরে এই তালিকায় ধারাবাহিকভাবে থাকলেও, এখন বাদ পড়েছে চীন। এই তালিকায় এখন চীনের অনুপস্থিতি দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিতে মন্দার দিকটি ফুটিয়ে তুলছে। এছাড়া ক্রমেই উচ্চ মাথাপিছু আয়ের দেশ হওয়ায় চীনের পক্ষে আগের সেই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা বেশি কঠিন। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের অনুমান, আসছে দশকে ৫.৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন। সাব-সাহারান দেশগুলোর সম্ভাবনাও মিইয়ে গেছে। বিশ্লেষকরা এজন্য দেশগুলোর সংস্কার কার্যক্রমে ধীরগতিকে দায়ী করছে। ঝা ও ম্যান লিখেছেন, দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সর্বরোগের ওষুধ নয়। এর ফলে আয় বৈষম্য, অপরাধ ও দূষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও, এর ইতিবাচক দিকই বেশি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status