প্রথম পাতা
২৭ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে ৫ লাশ উদ্ধার
কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৪ মে ২০১৯, মঙ্গলবার, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত ২৭ বাংলাদেশির পরিচয় মোটামুটি ভাবে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে ওই ট্র্যাজেডি নিয়ে কাজ করা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার রাতে এই তথ্য জানানো হয়। তারা ৫টি লাশ পাওয়ার কথাও জানিয়েছে। তবে ওই ৫ লাশ বাংলাদেশি নাগরিকদের কি-না তা খোলাসা করা হয়নি। রেডক্রিসেন্টের বিজ্ঞপ্তিতে নিহতদের তালিকায় এক নাম একাধিকবার থাকায় খানিকটা বিভ্রান্তি রয়ে গেছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিবেচনায় দূতাবাস আরও তথ্য তালাশ করছে। ত্রিপলী মিশন এ নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। ঢাকা থেকেও বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে মনিটরিং করা হচ্ছে। ফলে হতাহতদের বিষয়ে নিশ্চিতভাবে তথ্য পেতে কিছুটা সময় লাগছে। রেড ক্রিসেন্টের বিজ্ঞপ্তি মতে, নিহতরা হলেন- নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার জয়াগ গ্রামের নাসির, ঢাকার টঙ্গীর কামরান, সিলেটের জিল্লুর রহমান, কিশোরগঞ্জ জেলার জালাল উদ্দিন, সুনামগঞ্জের মাহবুব, মাদারীপুর জেলার সজিব, সিলেট বিয়ানীবাজারের রফিক ও রিপন, শরীয়তপুরের পারভেজ, কামরুন আহমেদ মারুফ, মৌলভীবাজার কুলাউড়ার শামিম, কিশোরগঞ্জ জেলার আল-আমিন, ফেন্সুগঞ্জ সিলেটের লিমন আহমেদ, আব্দুল আজিজ ও আহমেদ, সিলেট দক্ষিণ সুরমার জিল্লুর, বাইল্যাহার মৌলভীবাজারের ফাহা, সিলেট ফেন্সুগঞ্জের আয়াত, হাউড়তোলা সিলেটের আমাজল, সিলেটের কাসিম আহমেদ, সিলেট বিশ্বনাথের খোকন, রুবেল, সিলেটের মনির, বিশ্বনাথ সিলেটের বেলাল, সুনামগঞ্জের মাহবুব, নাদিম, সিলেট গোলাপগঞ্জের মারুফ।
বিজ্ঞপ্তিতে এ-ও বলা হয়, নৌকাডুবি থেকে বেঁচে যাওয়া শিশির বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে ফোনে জানান, বেঁচে যাওয়া ৬ জনের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার নরিয়া থানার চারুগা গ্রামে। তারা হলেন, রাজিব, উত্তম, পারভেজ, রনি, সুমন ও জুম্মান। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পারিবারিক যোগাযোগ পুন:স্থাপন (আরএফএল) বিভাগের দায়িত্বরত পরিচালক ইমাম জাফর শিকার বলেন, তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের প্রাদেশিক প্রধান ডা: মাঙ্গি সিলাম এর মাধ্যমে জীবিত ৪ বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য মতে ২৭ জন বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে- এ পর্যন্ত ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত ৫ মৃতদেহ (সোমবার সকাল পর্যন্ত) দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নেভি ক্যাম্পে রয়েছে। তিনি বলেন, বেঁচে যাওয়া ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি, ১ জন মিশরীয় ও ১ জন মরক্কোর নাগরিক রয়েছে। এদিকে, নৌকা ডুবিতে নিহত ও জীবিত বাংলাদেশিদের তথ্য আদান প্রদানের জন্য চালু করা হয়েছে দু’টি হট লাইন নম্বর : ৮৮-০২-৪৯৩৫৪২৪৬ ও ০১৮১১৪৫৮৫২১। ৪৯৩৫৪২৪৬ এই নম্বরটি অফিস চলাকালিন প্রতিনি সকাল ৯ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এবং ০১৮১১৪৫৮৫২১ নম্বরটি ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জাতীয় সদর দপ্তর, ৬৮৪-৬৮৬, বড় মগবাজার অথবা ৬৪টি জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে আহত ও নিহতের স্বজনরা সরাসরি যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ ও রেড ক্রিসেন্টের সেবা নিতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে এ-ও বলা হয়, নৌকাডুবি থেকে বেঁচে যাওয়া শিশির বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে ফোনে জানান, বেঁচে যাওয়া ৬ জনের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার নরিয়া থানার চারুগা গ্রামে। তারা হলেন, রাজিব, উত্তম, পারভেজ, রনি, সুমন ও জুম্মান। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পারিবারিক যোগাযোগ পুন:স্থাপন (আরএফএল) বিভাগের দায়িত্বরত পরিচালক ইমাম জাফর শিকার বলেন, তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের প্রাদেশিক প্রধান ডা: মাঙ্গি সিলাম এর মাধ্যমে জীবিত ৪ বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য মতে ২৭ জন বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে- এ পর্যন্ত ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত ৫ মৃতদেহ (সোমবার সকাল পর্যন্ত) দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নেভি ক্যাম্পে রয়েছে। তিনি বলেন, বেঁচে যাওয়া ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি, ১ জন মিশরীয় ও ১ জন মরক্কোর নাগরিক রয়েছে। এদিকে, নৌকা ডুবিতে নিহত ও জীবিত বাংলাদেশিদের তথ্য আদান প্রদানের জন্য চালু করা হয়েছে দু’টি হট লাইন নম্বর : ৮৮-০২-৪৯৩৫৪২৪৬ ও ০১৮১১৪৫৮৫২১। ৪৯৩৫৪২৪৬ এই নম্বরটি অফিস চলাকালিন প্রতিনি সকাল ৯ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এবং ০১৮১১৪৫৮৫২১ নম্বরটি ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জাতীয় সদর দপ্তর, ৬৮৪-৬৮৬, বড় মগবাজার অথবা ৬৪টি জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে আহত ও নিহতের স্বজনরা সরাসরি যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ ও রেড ক্রিসেন্টের সেবা নিতে পারবেন।