শেষের পাতা
সেমিনারে তথ্য
দেশে বাল্যবিবাহের হার ৫৯ শতাংশ
স্টাফ রিপোর্টার
২৬ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার ৫৯ শতাংশ। ১৫ থেকে ১৯ বছরের কিশোরীদের ৩১ শতাংশ গর্ভবতী হন। ৪৩ শতাংশ কিশোরী মা গর্ভজনিত সমস্যার কারণে মৃত্যুবরণ করছে। কৈশোরকালীন প্রজনন হার প্রতি হাজারে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের মধ্যে ৭৮ জন। গতকাল রাজধানীর মিরপুরে ওজিএসবি হাসপাতালের সভাকক্ষে ‘কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য ও জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষণ’ বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় বিশেষজ্ঞরা এই তথ্য জানিয়েছেন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন এমসিএইচ-সার্ভিসেস ইউনিটের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমসিএইচ-সার্ভিসেস ইউনিটের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (এএন্ডআরএইচ) ডা. মো. জয়নাল হক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের কিশোর-কিশোরী এবং এ সময়কে কৌশোরকাল বলে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশের বেশি কিশোর-কিশোরী। অর্থাৎ ১৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৩ কোটি ৬০ লাখ কিশোর-কিশোরী। তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ এবং কৈশোর মাতৃত্ব বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা। কিশোরীদের মধ্যে বাল্য বিবাহের হার ৫৯ শতাংশ। কিশোর-কিশোরীদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ (৩০ শতাংশ) রক্ত স্বল্পতায় ভোগেন। বিবিএস’র তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী বিবাহিত কিশোরীদের ৪২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ যথাক্রমে সারাজীবন ও বিগত ১২ মাসে শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ১৫ থেকে ১৯ বছরের বিবাহিত কিশোরীদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার অপুরনীয় চাহিদা হচ্ছে ১৭ শতাংশ।
কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবায় তথ্য ও পরামর্শের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বয়ঃসন্ধিকালীন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন সম্পর্কে পরামর্শ, খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত পরামর্শ, বাল্য বিবাহ ও প্রজনন স্বাস্থ্য সংক্রান্তসহ নয়টি বিষয় তুলে ধরেন। সেবাসমূহ-যৌন ও প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসা এবং মাসিক সংক্রান্ত সমস্যা ও ব্যবস্থাসহ সাতটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন। পরিবার পরিকল্পনা ঢাকা বিভাগের পরিচালক এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ব্রজ গোপাল ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার, ঢাকা বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ঈমাম, পরিচালক (এমসিএইচ) ও লাইন ডাইরেক্টর ডা. মোহাম্মদ শরীফ প্রমুখ।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশের বেশি কিশোর-কিশোরী। অর্থাৎ ১৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৩ কোটি ৬০ লাখ কিশোর-কিশোরী। তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ এবং কৈশোর মাতৃত্ব বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা। কিশোরীদের মধ্যে বাল্য বিবাহের হার ৫৯ শতাংশ। কিশোর-কিশোরীদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ (৩০ শতাংশ) রক্ত স্বল্পতায় ভোগেন। বিবিএস’র তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী বিবাহিত কিশোরীদের ৪২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ যথাক্রমে সারাজীবন ও বিগত ১২ মাসে শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ১৫ থেকে ১৯ বছরের বিবাহিত কিশোরীদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার অপুরনীয় চাহিদা হচ্ছে ১৭ শতাংশ।
কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবায় তথ্য ও পরামর্শের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বয়ঃসন্ধিকালীন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন সম্পর্কে পরামর্শ, খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত পরামর্শ, বাল্য বিবাহ ও প্রজনন স্বাস্থ্য সংক্রান্তসহ নয়টি বিষয় তুলে ধরেন। সেবাসমূহ-যৌন ও প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসা এবং মাসিক সংক্রান্ত সমস্যা ও ব্যবস্থাসহ সাতটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন। পরিবার পরিকল্পনা ঢাকা বিভাগের পরিচালক এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ব্রজ গোপাল ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার, ঢাকা বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ঈমাম, পরিচালক (এমসিএইচ) ও লাইন ডাইরেক্টর ডা. মোহাম্মদ শরীফ প্রমুখ।