দেশ বিদেশ
হবিগঞ্জে বিএনপির নতুন কমিটি
হাসিম আহ্বায়ক, গউছ যুগ্ম আহ্বায়ক
স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে
২৬ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। গত বুধবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত পত্রে মোহাম্মদ আবুল হাসিমকে আহ্বায়ক, আলহাজ জি.কে গউছসহ ১১ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৩৪ জন সদস্য করা হয়েছে। এর আগে গত ৬ই এপ্রিল জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্যরা হলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক শাম্মী আক্তার, শেখ সুজাত মিয়া, মিজানুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট নুরুল ইসলাম, ইসলাম তরফদার তনু, হাজী এনামুল হক, ডা. আবদাল, এডভোকেট এনামুল হক সেলিম, এড. কামাল উদ্দিন সেলিম ও আব্বাস উদ্দিন। কমিটির সদস্যরা হলেন- এডভোকেট শামসু মিয়া চৌধুরী, গোলাম মোস্তফা রফিক, শাহ মোজাম্মেল হক নান্টু, এম জি মুহিত, আব্দুল হান্না ফরিদ, গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল, আকদ্দছ মিয়া বাবুল, এড. আমিনুল ইসলাম, মো. গোলাম ফারুক, মুজিবুল হোসেন মারুফ, আবু সালেহ মো. শফিকুল রহমান, ফরহাদ হোসেন বকুল, মোহাম্মদ গোলাপ খান, সামছুল ইসলাম মতিন, আজিজুর রহমান কাজল, শেখ বশির আহমেদ, ছাবির আহমেদ চৌধুরী, মুজিবুর রহমান সেফু, ফরিদ আহমেদ অলি, নাজিম উদ্দিন সামছু, আলাউদ্দিন রনি, আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আব্দাল, এড. মুনিরুল ইসলাম, মহিবুল ইসলাম শাহীন, পারভেজ চৌধুরী, এড. আব্দুল হাই, সৈয়দ তোফায়েল ইসলাম কামাল, মো. আব্দুল মান্নান, সাজন ইসলাম, তাজুল ইসলাম ফরিদ, এড. আব্দুল কাদের, সামছুল আলম ও মুখলিছুর রহমান। এদিকে দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সৈয়দ ফয়সলকে রাখা হয়নি নতুন কমিটিতে। স্থান পাননি মাধবপুর থানা বিএনপির কাণ্ডারি টানা দুবারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহানও। হবিগঞ্জের রাজনীতিতে প্রভাবশালী ওই পরিবারের কাউকে না রাখায় নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বিগত আন্দোলন সংগ্রামে দেখা যায়নি এমন নেতারাও কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। নিষ্ক্রিয় নেতাদের নতুন কমিটিতে রাখায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে। দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, এড. আমিনুল ইসলাম নতুন কমিটির সদস্য তালিকায় স্থান পেয়েছেন। অথচ বিগত সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে তাকে দেখা যায়নি। তার স্ত্রী সুফিয়া আক্তার হেলেন দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গত উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় পৌর মহিলা দলের আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আমিনুল ইসলামও স্ত্রীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অথচ যারা বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন তাদের নতুন কমিটিতে রাখা হয়নি।