দেশ বিদেশ
সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষিতার অভিযোগ
হয়েছে ধর্ষণ, পুলিশ মামলায় লিখেছে ধর্ষণচেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে
২৪ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার, ৯:১৯ পূর্বাহ্ন
বরিশালের হিজলায় মাদরাসাপড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক বখাটের বিরুদ্ধে। সংবাদ সম্মেলন করে নির্যাতিত ওই কিশোরী ও তারা বাবা অভিযোগ করেন, বখাটে যুবক সজীব গাজীকে আটক তো নয়ই বরং থানায় ধর্ষণের মামলা করতে গেলে পুলিশ ধর্ষণ নয়, ধর্ষণচেষ্টা হয়েছে বলে মামলা নেয়। পরে আদালতে আরেকটি মামলা করে নির্যাতিতা। মঙ্গলবার সকালে বরিশাল প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন হিজলার মেমানিয়া গ্রামের একতা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও তার বাবা। ছাত্রী লিখিত বক্তব্যে বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী নুরুল হক গাজীর পুত্র বখাটে সজীব গাজী তাকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো।
৩০শে মার্চ সন্ধ্যায় অভিভাবকদের অনুপস্থিতির সুযোগ পেয়ে ঘরে ঢুকে সজীব তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এলে সজীব পালিয়ে যায়। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে গেলে তারা ছেলের পক্ষ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে ১৩ই এপ্রিল থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ধর্ষণের পরিবর্তে ধর্ষণচেষ্টার মামলা নেয়। এমন অবস্থায় ১৫ই এপ্রিল তারা বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবিতে মামলা করেন। ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাবা জানান, ‘আমরা যৌন নিপীড়নের বিচার চেয়ে উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছি। ধর্ষকের শাস্তি চেয়েছি। এজন্য কোনো অর্থ নিতে রাজি হইনি। স্থানীয় গণ্যমান্যরা বিচার করতে পারেননি। পরে থানার দ্বারস্থ হয়েছি। পুলিশের কাছে গিয়ে আমরা আরো অবিচারের শিকার হয়েছি। আমরা করলাম ধর্ষণের মামলা।
পুলিশ সেটি ধর্ষণচেষ্টার মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে।’ সংবাদ সম্মেলনে তারা সজীব এবং তাকে বাঁচানোর চেষ্টাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। এদিকে সাংবাদিকদের কাছে ধর্ষণের বিষয়ে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম তার নিজ কার্যালয়ে ডেকে নেন কিশোরী ও তার বাবাকে। ঘটনা শুনে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সজীবকে আটকের নির্দেশ দিয়ে বলেন, স্থানীয় পুলিশের গাফিলতি থাকলে তারও কঠিন বিচার করা হবে।
৩০শে মার্চ সন্ধ্যায় অভিভাবকদের অনুপস্থিতির সুযোগ পেয়ে ঘরে ঢুকে সজীব তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এলে সজীব পালিয়ে যায়। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে গেলে তারা ছেলের পক্ষ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে ১৩ই এপ্রিল থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ধর্ষণের পরিবর্তে ধর্ষণচেষ্টার মামলা নেয়। এমন অবস্থায় ১৫ই এপ্রিল তারা বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবিতে মামলা করেন। ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাবা জানান, ‘আমরা যৌন নিপীড়নের বিচার চেয়ে উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছি। ধর্ষকের শাস্তি চেয়েছি। এজন্য কোনো অর্থ নিতে রাজি হইনি। স্থানীয় গণ্যমান্যরা বিচার করতে পারেননি। পরে থানার দ্বারস্থ হয়েছি। পুলিশের কাছে গিয়ে আমরা আরো অবিচারের শিকার হয়েছি। আমরা করলাম ধর্ষণের মামলা।
পুলিশ সেটি ধর্ষণচেষ্টার মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে।’ সংবাদ সম্মেলনে তারা সজীব এবং তাকে বাঁচানোর চেষ্টাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। এদিকে সাংবাদিকদের কাছে ধর্ষণের বিষয়ে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম তার নিজ কার্যালয়ে ডেকে নেন কিশোরী ও তার বাবাকে। ঘটনা শুনে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সজীবকে আটকের নির্দেশ দিয়ে বলেন, স্থানীয় পুলিশের গাফিলতি থাকলে তারও কঠিন বিচার করা হবে।