বাংলারজমিন
দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই বাংলাদেশি খুন
ফেনী প্রতিনিধি
২৪ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার, ৮:২৯ পূর্বাহ্ন
দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফজলুল হক ওরফে কালা মিয়া (৪৫) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় গত রোববার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের কাছে রজেটেনভিল রিজেন্ট পার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কালা মিয়া ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের দক্ষিণ হরিপুর গ্রামের নুনু মিজি বাড়ির আনোয়ার হোসেন মুন্সি মিয়ার ছেলে।
নিহতের ভাই রেজাউল জানান, জীবিকার তাগিদে মাত্র দেড় বছর আগে কালা মিয়াকে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যান তার ভায়রা ভাই (স্ত্রীর বোনের জামাই) আবুল হোসেন সুমন। সেখানে তিনি জোহানেসবার্গের রিজেন্ট পার্কে তার ভায়রার সঙ্গে দোকান পরিচালনা করতেন। গত রোববার রাতে কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীরা তার দোকান লুট করার চেষ্টা চালায়। এ সময় দোকানের নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাদের পেপার স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। পরে সন্ত্রাসীরা রেজাউল করিমের দোকানের দরজা খুলতে বলে, একপর্যায়ে দরজা খোলামাত্রই সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে দোকানের মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের সহায়তায় ভায়রা সুমন তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কালা মিয়াকে মৃত ঘোষণা করে। তিনি বলেন, কালা মিয়া আফ্রিকা যাওয়ার আগে গ্রামে সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। এই আয়ে পরিবারের ভরণপোষণ না হওয়ায় তিনি প্রবাসে গিয়ে অভাব মোচনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ওখানে যাওয়ার এক বছরের মাথায় তাদের গ্রামের বসতঘরটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এখনও তার পরিবারের লোকজন ছাপরা ঘরে বসবাস করছেন। ওই দুর্ঘটনার পর ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে পরিবারে এখন শোকের মাতম চলছে। নিহত কালা মিয়ার মিনহাজুল আবেদিন (১০) ও ফহেলিকা মেহেনাজ (৫) নামে দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। সেই সন্তানকেই বুকে নিয়ে আহাজারি করছেন স্বামী হারা স্ত্রী আফরোজা। এদিকে ছেলেকে হারিয়ে বৃদ্ধ বাবা মুন্সি মিয়াও মুর্ছা যাচ্ছেন বারংবার। নিহত কালা মিয়ার মরদেহ দ্রুত দেশে আনতে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের দুতাবাস ও সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন নিহতের স্বজনেরা। প্রসঙ্গত, বিগত দুই মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে ফেনীর ছয় যুবক নিহত হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন গোলাপগঞ্জের জয়নাল আবেদীন নামের এক ব্যক্তি। তিনি উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের জাঙ্গালহাটা গ্রামের মৃত মতছির আলীর পুত্র।
জানা যায়, গত সোমবার দক্ষিণ অফ্রিকার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় জয়নাল আবেদীন ও তার এক সহযোগী নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কেপটাউন থেকে বাসায় ফেরার পথে বাসে উঠার সময় সন্ত্রাসীদের কবলে পড়েন। এসময় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীরা জয়নাল আবেদীনের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাত করে। এত গলায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এসময় তার সহকর্মী তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সংবাদটি দেশে তার পরিবার জনাতে পারলে শোকের ছায়া নেমে আসে। গতকাল দিনভর গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার মানুষ জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে ভিড় জমান। এদিকে জয়নাল আবেদীনের আপন ছোট ভাই শামীম আহমদ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে জানিয়েছেন লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে ও আফ্রিকা সরকারের সহায়তায় শিগগিরই লাশ দেশে পাঠানো হবে তিনি জানান।
নিহতের ভাই রেজাউল জানান, জীবিকার তাগিদে মাত্র দেড় বছর আগে কালা মিয়াকে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যান তার ভায়রা ভাই (স্ত্রীর বোনের জামাই) আবুল হোসেন সুমন। সেখানে তিনি জোহানেসবার্গের রিজেন্ট পার্কে তার ভায়রার সঙ্গে দোকান পরিচালনা করতেন। গত রোববার রাতে কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীরা তার দোকান লুট করার চেষ্টা চালায়। এ সময় দোকানের নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাদের পেপার স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। পরে সন্ত্রাসীরা রেজাউল করিমের দোকানের দরজা খুলতে বলে, একপর্যায়ে দরজা খোলামাত্রই সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে দোকানের মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের সহায়তায় ভায়রা সুমন তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কালা মিয়াকে মৃত ঘোষণা করে। তিনি বলেন, কালা মিয়া আফ্রিকা যাওয়ার আগে গ্রামে সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। এই আয়ে পরিবারের ভরণপোষণ না হওয়ায় তিনি প্রবাসে গিয়ে অভাব মোচনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ওখানে যাওয়ার এক বছরের মাথায় তাদের গ্রামের বসতঘরটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এখনও তার পরিবারের লোকজন ছাপরা ঘরে বসবাস করছেন। ওই দুর্ঘটনার পর ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে পরিবারে এখন শোকের মাতম চলছে। নিহত কালা মিয়ার মিনহাজুল আবেদিন (১০) ও ফহেলিকা মেহেনাজ (৫) নামে দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। সেই সন্তানকেই বুকে নিয়ে আহাজারি করছেন স্বামী হারা স্ত্রী আফরোজা। এদিকে ছেলেকে হারিয়ে বৃদ্ধ বাবা মুন্সি মিয়াও মুর্ছা যাচ্ছেন বারংবার। নিহত কালা মিয়ার মরদেহ দ্রুত দেশে আনতে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের দুতাবাস ও সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন নিহতের স্বজনেরা। প্রসঙ্গত, বিগত দুই মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে ফেনীর ছয় যুবক নিহত হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন গোলাপগঞ্জের জয়নাল আবেদীন নামের এক ব্যক্তি। তিনি উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের জাঙ্গালহাটা গ্রামের মৃত মতছির আলীর পুত্র।
জানা যায়, গত সোমবার দক্ষিণ অফ্রিকার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় জয়নাল আবেদীন ও তার এক সহযোগী নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কেপটাউন থেকে বাসায় ফেরার পথে বাসে উঠার সময় সন্ত্রাসীদের কবলে পড়েন। এসময় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীরা জয়নাল আবেদীনের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাত করে। এত গলায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এসময় তার সহকর্মী তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সংবাদটি দেশে তার পরিবার জনাতে পারলে শোকের ছায়া নেমে আসে। গতকাল দিনভর গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার মানুষ জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে ভিড় জমান। এদিকে জয়নাল আবেদীনের আপন ছোট ভাই শামীম আহমদ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে জানিয়েছেন লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে ও আফ্রিকা সরকারের সহায়তায় শিগগিরই লাশ দেশে পাঠানো হবে তিনি জানান।