অনলাইন
দক্ষিণ আফ্রিকায় গুলিতে ফেনীর যুবক নিহত
ফেনী প্রতিনিধি
২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, ১:১২ পূর্বাহ্ন
দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফজলুল হক ওরফে কালা মিয়া (৪৫) নামে ফেনীর ছাগলনাইয়ার এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। দেশটির স্থানীয় সময় রোববার রাতে জোহানেসবার্গের কাছে রজেটেনভিল রিজেন্ট পার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফজলুল হক ওরফে কালা মিয়া জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের দক্ষিণ হরিপুর গ্রামের নুনু মিজি বাড়ির আনোয়ার হোসেন মুন্সি মিয়ার ছেলে।
নিহতের ভাই রেজাউল জানান, জীবিকার তাগিদে মাত্র দেড় বছর আগে কালা মিয়াকে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যান তার ভায়রা ভাই (স্ত্রীর বোনের জামাই) আবুল হোসেন সুমন। সেখানে তিনি জোহানেসবার্গের রিজেন্ট পার্কে তার ভায়রার সঙ্গে দোকান পরিচালনা করতেন। রোববার রাতে কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীরা তার দোকান লুট করার চেষ্টা চালায়। এ সময় দোকানের নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাদের পেপার স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে।
পরে সন্ত্রাসীরা রেজাউল করিমের দোকানের দরজা খুলতে বলে। দরজা খোলামাত্রই সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে দোকানের মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের সহায়তায় ভায়রা সুমন তাকে উদ্ধার করে পাশবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কালা মিয়াকে মৃত ঘোষণা করে।
ভাই রেজাউল আরও জানান, কালা মিয়া আফ্রিকা যাওয়ার আগে গ্রামে সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। এই আয়ে পরিবারের ভরনপোষণ না হওয়ায় তিনি প্রবাসে গিয়ে অভাব মোচনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ওখানে যাওয়ার এক বছরের মাথায় তাদের গ্রামের বসতঘরটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এখনও তার পরিবারের লোকজন ছাপড়া ঘরে বসবাস করছেন।
এদিকে কালা মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারে শোকের মাতম চলছে। মিনহাজুল আবেদিন (১০) ও ফহেলিকা মেহেনাজ (৫) নামে তার দু’টি শিশু সন্তান রয়েছে। স্বামীকে হারিয়ে স্ত্রী আফরোজা দুই সন্তানকে বুকে নিয়ে আহাজারি করছেন। অপরদিকে সাত ছেলের মধ্যে ২য় ছেলেকে হারিয়ে বৃদ্ধ বাবা মুন্সি মিয়া বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। নিহতের স্বজনরা জানান, কালা মিয়ার লাশ দ্রুত দেশে আনতে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের দূতাবাস ও সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে পরিবার।
প্রসঙ্গত, বিগত দুই মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে ফেনীর ৬ যুবক নিহত হয়েছে।
নিহতের ভাই রেজাউল জানান, জীবিকার তাগিদে মাত্র দেড় বছর আগে কালা মিয়াকে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যান তার ভায়রা ভাই (স্ত্রীর বোনের জামাই) আবুল হোসেন সুমন। সেখানে তিনি জোহানেসবার্গের রিজেন্ট পার্কে তার ভায়রার সঙ্গে দোকান পরিচালনা করতেন। রোববার রাতে কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীরা তার দোকান লুট করার চেষ্টা চালায়। এ সময় দোকানের নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাদের পেপার স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে।
পরে সন্ত্রাসীরা রেজাউল করিমের দোকানের দরজা খুলতে বলে। দরজা খোলামাত্রই সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে দোকানের মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের সহায়তায় ভায়রা সুমন তাকে উদ্ধার করে পাশবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কালা মিয়াকে মৃত ঘোষণা করে।
ভাই রেজাউল আরও জানান, কালা মিয়া আফ্রিকা যাওয়ার আগে গ্রামে সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। এই আয়ে পরিবারের ভরনপোষণ না হওয়ায় তিনি প্রবাসে গিয়ে অভাব মোচনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ওখানে যাওয়ার এক বছরের মাথায় তাদের গ্রামের বসতঘরটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এখনও তার পরিবারের লোকজন ছাপড়া ঘরে বসবাস করছেন।
এদিকে কালা মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারে শোকের মাতম চলছে। মিনহাজুল আবেদিন (১০) ও ফহেলিকা মেহেনাজ (৫) নামে তার দু’টি শিশু সন্তান রয়েছে। স্বামীকে হারিয়ে স্ত্রী আফরোজা দুই সন্তানকে বুকে নিয়ে আহাজারি করছেন। অপরদিকে সাত ছেলের মধ্যে ২য় ছেলেকে হারিয়ে বৃদ্ধ বাবা মুন্সি মিয়া বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। নিহতের স্বজনরা জানান, কালা মিয়ার লাশ দ্রুত দেশে আনতে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের দূতাবাস ও সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে পরিবার।
প্রসঙ্গত, বিগত দুই মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে ফেনীর ৬ যুবক নিহত হয়েছে।