দেশ বিদেশ
রংপুরে ওসির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানার ওসির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের এক নারী কাউন্সিলর এ অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ওসিকে কোতোয়ালি থানা থেকে ক্লোজ করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পুলিশ সুপার) শামীমা পারভীনকে প্রধান করে ২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি অপর সদস্য হলেন, রংপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স এন্ড মিডিয়া) আলতাফ হোসেন। সূত্র জানায়, গত ১৯শে এপ্রিল বিকেলে এলাকার একটি সমস্যা নিয়ে রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানায় কথা বলতে যান রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত মহিলা-১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাসিমা আমিন। কথা বলার সময় থানার ওসি রেজাউল করিম তাকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় কথা বলেন। ওই কাউন্সিলর গত রোববার যৌন হয়রানির বিষয়টি উল্লেখ করে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে মেয়র মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাঃ আবদুল আলীম মাহমুদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ পাওয়ার পর ওসি রেজাউল করিমকে ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছে মহানগর পুলিশ। এ ব্যাপারে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর যৌন হয়রানির ঘটনায় সিটি কর্পোরেশনে একটি জরুরি সভা করেছি। কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে পুলিশ কমিশনারের সাথে দেখা করে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনার ওসি বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই তাকে থানা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। রংপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স এন্ড মিডিয়া) আলতাফ হোসেন বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর ওসিকে ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছি। ভুক্তভোগী কাউন্সিলর রোববার রাতে আমাদের কাছে ঘটনার লিখিত বিবৃতি দিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। পুলিশ কমিশনার ১০ দিনের ছুটিতে চীনে যাওয়ায় এর মধ্যে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে রাখবো। কমিশনার আসলেই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী কাউন্সিলর বলেন, যৌন হয়রানিমূলক অশালীন ভাষায় বিভিন্ন কথা বলেছে ওসি রেজাউল করিম। বিষয়টি নারী হিসেবে আমি অপমানজনক বলে মনে করছি। আমি একজন জনপ্রতিনিধি, আমার শক্তি আছে, আমার সাহস আছে। আমাকে যদি এ ধরনের হয়রানির মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে সাধারণ নারীদের থানায় কি হয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ধরনের কর্মকর্তা সমাজের জন্য অভিশাপ। এ ধরনের কর্মকর্তা কোন ধরনের দায়িত্বে রাখা ঠিক না। বিষয়টি আমি সিটি মেয়রকে অভিভাবক মেনে দায়িত্ব দিয়েছি। এখন আমি ওসির অপসারণ চাই।