অনলাইন

হাত-পা চেপে ধরল দুলাভাই, ধর্ষণ করল শ্যালক, ভিডিও ধারণ

বরগুনা প্রতিনিধি

২২ এপ্রিল ২০১৯, সোমবার, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় মাদরাসায় যাওয়ার পথে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় শ্যালক ও দুই দুলাভাইসহ তিনজন। পরে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে করে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে ধর্ষণের শিকার ছাত্রী। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন সম্পর্কে শ্যালক ও দুলাভাই। এরা হলো, পাথরঘাটা উপজেলার চর লাঠিমারা এলাকার আবু মিয়ার ছেলে জাকারিয়া (২০), জাকারিয়ার দুলাভাই মাহবুব (৩২) ও সবুজ (২৪) এবং অজ্ঞাত আরও দু’জন।

গত ১১ই এপ্রিল সকালে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে জাকারিয়া, তার দুলাভাই মাহবুব ও সবুজ। পরে ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বিয়ে করে জাকারিয়া। পরদিন ১২ই এপ্রিল রাতে ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে জাকারিয়া। সেই সঙ্গে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে তারা।

এ ঘটনায় করা মামলার এজাহারে নির্যাতিতা উল্লেখ করেছে, ১১ই এপ্রিল সকালে  সে বরগুনার বামনা উপজেলার বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পাথরঘাটা উপজেলার চর লাঠিমারা এলাকার জাকারিয়া ও তার দুই দুলাভাই মাহবুব এবং সবুজ তাকে অপহরণ করে পাথরঘাটায় নিয়ে যায়। পরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্থানীয় একজন মৌলভীর মাধ্যমে তাকে বিয়ে করে জাকারিয়া।

বিয়ের কাজ শেষে অন্যান্যরা চলে যায়। পরের দিন ১২ই এপ্রিল রাতে ছাত্রীর সঙ্গে রাতযাপন করতে যায় জাকারিয়া। এতে বাধা দেয় ছাত্রী। এ সময় জাকারিয়া জোরপূর্বক সঙ্গে মেলামেশা করতে চাইলে নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রী চিৎকার দেয়।

তার চিৎকার শুনে জাকারিয়ার দুলাভাই মাহবুব, সবুজ ও অজ্ঞাত আরও দুই যুবক ছাত্রীর ঘরে প্রবেশ করে। পরে দুলাভাই মাহবুব এবং সবুজ ছাত্রীর হাত-পা চেপে ধরে। ওই সময় ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে জাকারিয়া। সেই সঙ্গে ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে ঘরে অবস্থান করা অজ্ঞাত এক যুবক। ধর্ষণের ভিডিও জাকারিয়ার মোবাইলে ধারণ করা হয়।

পরবর্তীতে ১৩ই এপ্রিল জাকারিয়ার বাড়ি থেকে ছাত্রীর দুলাভাই তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় পাথরঘাটা থানায় ধর্ষণ মামলা করে ছাত্রী। পাশাপাশি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি মো. হানিফ সিকদার বলেন, ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় মামলা করেছে। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status