প্রথম পাতা
ফেরদৌস-নূরের পর...
পরিতোষ পাল, কলকাতা থেকে
২১ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
বড় বিষাদ তার মনে। খানিকটা ভয়ও। যশোরের হরবোলা শিল্পী ইদ্রিস আলি শেখ তাই দ্রুত দেশে ফিরে যাচ্ছেন। প্রতিবারই ভোটের সময় ইদ্রিস বেশ কয়েক মাসের জন্য এপারে চলে আসেন। তারপর নির্বাচনী প্রচারে বিভিন্ন দলের হয়ে অনুষ্ঠান করার বায়না নিয়ে বেশ ভালো অর্থ উপার্জন করে ফিরে যান দেশে। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও তিনি এসেছিলেন ভারতে। এবারো সেই আশাতেই কয়েক মাস আগে এসে উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাতের কাছে বাড়ি ভাড়া নিয়ে রয়েছেন ইদ্রিস। নির্বাচনী প্রচারের অনেক অনুষ্ঠানে তিনি নানা ধরনের আওয়াজ, সুর ও কণ্ঠ নকল করে শুনিয়ে বেশ বাহবাও পেয়েছেন। বেশ ভালোই চলছিল। বেশ কিছু বায়নাও হাতে এসেছিল। কিন্তু সেই সব বায়না ফেলেই দেশে চলে যাচ্ছেন ইদ্রিস। বাংলাদেশের অভিনেতা ফেরদৌস এবং নূরকে নিয়ে যা হয়েছে, তাতে বেশ ভয় পেয়েছেন তিনি।
এই দুই অভিনেতাকেই নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়ায় ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। তাকে সরকারিভাবে ভারত ছাড়ার কোনো নির্দেশ দেয়নি ঠিকই, তবে তিনি নিজে থেকেই ঝুটঝামেলা থেকে বাঁচতে দেশে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্থানীয় পুলিশও মৌখিকভাবে তাকে বলেছে, ভোটের প্রচারে অংশ না নিতে। স্থানীয় পরিচিত মানুষও তাকে সাবধান করে দিয়েছে। ইদ্রিস এপারের মানুষের কাছে খুবই পরিচিত নাম। ২০ বছর ধরে নিয়মিতই তিনি ভারতে আসেন, নানা জায়গায় হরবোলার অনুষ্ঠান করেন। ২০১১ সাল থেকে ভোটের প্রচার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আসছেন।
ভোটের সময় উপার্জন বেশ ভালোই হয় বলে জানিয়েছেন ইদ্রিস। তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট কোনো দলের হয়ে নয়, সব দলের হয়ে ডাক পেলেই অনুষ্ঠান করেন। মুখে মুখে কথা সাজিয়ে গান করতেও তিনি অসাধারণ পটু। সব দলের নেতাদের সঙ্গে তার পরিচয় রয়েছে। ফলে ভোটের বাজারে ইদ্রিসের চাহিদাও রয়েছে। ফেরদৌস ও নূরের ঘটনার পর নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। তার পরিচিত হ্যান্ডমাইক নিয়ে আর বেরোচ্ছেন না। আগামী দফার নির্বাচনের দিনই ফিরে যাবেন বাংলাদেশে। তবে ভোট পর্ব সাঙ্গ হলে ফের ইদ্রিস এপারে আসবেন। তখন শুধুই পথেঘাটে হ্যান্ডমাইকে নানা ধরনের যন্ত্রের আওয়াজ, পাখির ডাক, এমনকি সিনেমার পরিচিত সংলাপ বলে মাতিয়ে রাখবেন জনতাকে। ম্যাজিকও দেখাতে পারেন ইদ্রিস। ফলে স্কুলে স্কুলেও তার ডাক পড়ে। তাই এবার বিষাদের আবহে ফিরে যাচ্ছেন ঠিকই তবে নতুন করে বুক বেঁধে ফের হরবোলা ইদ্রিস এপারে আসবেন নতুন সুরে সকলকে মাতাতে।
এই দুই অভিনেতাকেই নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়ায় ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। তাকে সরকারিভাবে ভারত ছাড়ার কোনো নির্দেশ দেয়নি ঠিকই, তবে তিনি নিজে থেকেই ঝুটঝামেলা থেকে বাঁচতে দেশে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্থানীয় পুলিশও মৌখিকভাবে তাকে বলেছে, ভোটের প্রচারে অংশ না নিতে। স্থানীয় পরিচিত মানুষও তাকে সাবধান করে দিয়েছে। ইদ্রিস এপারের মানুষের কাছে খুবই পরিচিত নাম। ২০ বছর ধরে নিয়মিতই তিনি ভারতে আসেন, নানা জায়গায় হরবোলার অনুষ্ঠান করেন। ২০১১ সাল থেকে ভোটের প্রচার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আসছেন।
ভোটের সময় উপার্জন বেশ ভালোই হয় বলে জানিয়েছেন ইদ্রিস। তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট কোনো দলের হয়ে নয়, সব দলের হয়ে ডাক পেলেই অনুষ্ঠান করেন। মুখে মুখে কথা সাজিয়ে গান করতেও তিনি অসাধারণ পটু। সব দলের নেতাদের সঙ্গে তার পরিচয় রয়েছে। ফলে ভোটের বাজারে ইদ্রিসের চাহিদাও রয়েছে। ফেরদৌস ও নূরের ঘটনার পর নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। তার পরিচিত হ্যান্ডমাইক নিয়ে আর বেরোচ্ছেন না। আগামী দফার নির্বাচনের দিনই ফিরে যাবেন বাংলাদেশে। তবে ভোট পর্ব সাঙ্গ হলে ফের ইদ্রিস এপারে আসবেন। তখন শুধুই পথেঘাটে হ্যান্ডমাইকে নানা ধরনের যন্ত্রের আওয়াজ, পাখির ডাক, এমনকি সিনেমার পরিচিত সংলাপ বলে মাতিয়ে রাখবেন জনতাকে। ম্যাজিকও দেখাতে পারেন ইদ্রিস। ফলে স্কুলে স্কুলেও তার ডাক পড়ে। তাই এবার বিষাদের আবহে ফিরে যাচ্ছেন ঠিকই তবে নতুন করে বুক বেঁধে ফের হরবোলা ইদ্রিস এপারে আসবেন নতুন সুরে সকলকে মাতাতে।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]