বাংলারজমিন
চাঁদপুরে ৬৩ নৌকাসহ ১৭ জেলে আটক, ৫ মাছের আড়তে আগুন
চাঁদপুর প্রতিনিধি
২০ এপ্রিল ২০১৯, শনিবার, ৯:৩১ পূর্বাহ্ন
চাঁদপুরে মেঘনায় জেলা প্রশাসন-নৌ-পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ১৭ জেলেসহ ৬৩টি ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার নৌকা আটক করে ব্যবহারের অনুপযোগী ও ৫টি মাছের আড়ত আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় জেলেদের অতর্কিত হামলায় অভিযানে অংশ নেয়া টিমের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আত্মরক্ষার্থে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড কর্তৃক ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছোড়ে। জেলেদের ছোড়া ইটের আঘাতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান আহত হয়।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত টানা অভিযানে পদ্মা ও মেঘনা নদীর মিনি কক্সবাজার খ্যাত পর্যটন স্পট, গোয়ালিয়র চর, রাজরাজেস্বর ইউনিয়নের পদ্মা তীরবর্তী পুরো এলাকা, শরীয়তপুর সীমান্ত সংলগ্ন কাটাখালী, সাইলুরের ছাই ফ্যাক্টরি এলাকা, আনন্দবাজার, টিলাবাড়ি এলাকায় সাঁড়াশি অভিযানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান এর নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর নৌ থানার ওসি আবু তাহের, কোস্টগার্ড কমান্ডার আবদুল মালেক, ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড এবং নৌ বাহিনীর সদস্যবৃন্দ। চাঁদপুর নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু তাহের জানায়, টানা ৬ ঘণ্টার সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ৬৩ টি ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার নৌকা আটক করে ব্যবহারের অনুপযোগী করা হয়। ৫ টি মাছের আড়ৎ আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় পৌনে ৪ লাখ মিটার কারেন্ট জাল আটক করে পুড়িয়ে ফেলা হয়, আটক একমণ জাটকা গরিব দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানায়, রাজ রাজেস্বর ইউনিয়নের কাটাখালী ও সাইলুরের ছাই ফ্যাক্টরির নিকট জেলেরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে অভিযানে অংশ নেয়া টিমের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আত্মরক্ষার্থে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড কর্তৃক ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছোড়ে। জেলেদের ছোড়া ইটের আঘাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মাথায় ও তিনি গলায় সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হন। অপরদিকে, রাত ১২টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটক ১৭ জেলের মধ্যে ১৩ জনকে ১ বছর করে কারাদণ্ড ও বাকি ৪ জনকে বয়স বিবেচনায় অর্থদণ্ড প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- দিদার (১৯), দেলু সৈয়াল (২৮), জাকির (১৮), মাসুম (২৭), সাইফুল ইসলাম (৩০), তাজুল ইসলাম (২৩), শাহীন (২৫), রোমান (১৯), নাজির বেপারী (২৫), আঃ হান্নান খান (৩০), আবুল বাসার (২৫) ও সুজন হোসেন (২৮)। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত টানা অভিযানে পদ্মা ও মেঘনা নদীর মিনি কক্সবাজার খ্যাত পর্যটন স্পট, গোয়ালিয়র চর, রাজরাজেস্বর ইউনিয়নের পদ্মা তীরবর্তী পুরো এলাকা, শরীয়তপুর সীমান্ত সংলগ্ন কাটাখালী, সাইলুরের ছাই ফ্যাক্টরি এলাকা, আনন্দবাজার, টিলাবাড়ি এলাকায় সাঁড়াশি অভিযানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান এর নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর নৌ থানার ওসি আবু তাহের, কোস্টগার্ড কমান্ডার আবদুল মালেক, ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড এবং নৌ বাহিনীর সদস্যবৃন্দ। চাঁদপুর নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু তাহের জানায়, টানা ৬ ঘণ্টার সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ৬৩ টি ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার নৌকা আটক করে ব্যবহারের অনুপযোগী করা হয়। ৫ টি মাছের আড়ৎ আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় পৌনে ৪ লাখ মিটার কারেন্ট জাল আটক করে পুড়িয়ে ফেলা হয়, আটক একমণ জাটকা গরিব দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানায়, রাজ রাজেস্বর ইউনিয়নের কাটাখালী ও সাইলুরের ছাই ফ্যাক্টরির নিকট জেলেরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে অভিযানে অংশ নেয়া টিমের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আত্মরক্ষার্থে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড কর্তৃক ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছোড়ে। জেলেদের ছোড়া ইটের আঘাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মাথায় ও তিনি গলায় সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হন। অপরদিকে, রাত ১২টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটক ১৭ জেলের মধ্যে ১৩ জনকে ১ বছর করে কারাদণ্ড ও বাকি ৪ জনকে বয়স বিবেচনায় অর্থদণ্ড প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- দিদার (১৯), দেলু সৈয়াল (২৮), জাকির (১৮), মাসুম (২৭), সাইফুল ইসলাম (৩০), তাজুল ইসলাম (২৩), শাহীন (২৫), রোমান (১৯), নাজির বেপারী (২৫), আঃ হান্নান খান (৩০), আবুল বাসার (২৫) ও সুজন হোসেন (২৮)। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল ইসলাম।