এক্সক্লুসিভ
নারায়ণগঞ্জে অতিরিক্ত সচিবসহ ৪ জনকে মারধর
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
২০ এপ্রিল ২০১৯, শনিবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুইগড়ে রূপায়ণ টাউনে গত বৃহস্পতিবার রাতে দু’দফা হামলা চালিয়েছে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে তার লোকজন। ওই সময় তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদসহ ৪ জনকে মারধর করে আহত করে এবং নগদ ২ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহতদের নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে নাজিম উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা। একই সঙ্গে জুমার নামাজের পর রূপায়ণ টাউনের ফ্ল্যাট মালিকরা ঘটনার প্রতিবাদে রূপায়ণ টাউনের ভেতরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। হামলায় আহত অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী ফারহানা ইসলামও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব। হামলায় আহত আবদুস সালাম আজাদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিট ইন্সপেক্টর এবং আহত অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদের আপন ছোট ভাই। আবদুস সালাম আজাদসহ দুইজন নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাম্প্রতিক সময়ে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি এবং সড়ক ও জনপথের বিশাল পরিমাণ জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে রূপায়ণ টাউনের ৪নং বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। ওই সময় ৩নং বিল্ডিংয়ের সামনে বসে থাকা ফ্ল্যাট মালিক আমিনুল বিষয়টি টের পেয়ে দৌড়ে ৪নং বিল্ডিংয়ের উপরে উঠতে গেলে নাজিম উদ্দিনের ছোট মেয়ের জামাই হিমেলের সঙ্গে আমিনুলের ধাক্কা লাগে। ওই সময় হিমেল আমিনুলের পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
কলার চেপে ধরে বলে কোথায় যাচ্ছিস। তখন আমিনুল বলে উপরে আগুন লাগছে আমি সেখানে যাচ্ছি। পরে আমিনুলকে ছেড়ে দেয় হিমেল। আগুন নেভানোর পর আমিনুল নিচে এসে হিমেলকে বলে আপনি আমার কলার ধরেছিলেন কেন? হিমেল বলে আমি মনে করেছিলাম আপনি চোর। আমিনুল বলে আমাকে কি চোরের মতো দেখতে লাগে? এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটকাটি হয়। পরে ফ্ল্যাটের অন্যান্য মালিকরা বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন লোক এসে আমিনুলকে বেধড়ক মারধর করে। তাদের রোষানল থেকে ফ্ল্যাট মালিক আবু সাঈদ পাটোয়ারীসহ অন্যরা আমিনুলকে রক্ষা করে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা ফ্ল্যাট মলিকদের নানা ধরনের হুমকি দিয়ে চলে যায়। মাগরিবের নামজের পর মসজিদ থেকে লোকজন বের হয়ে ঘটনাটি শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করে। ওই সময় রূপায়নের বাসিন্দা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিট ইন্সপেক্টর আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, এটা কি মগের মুল্লুক? বহিরাগত লোকজন ভেতরে ঢুকে যাকে তাকে মারধর করবে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে আবার ৫০ থেকে ৬০ জন সন্ত্রাসী দ্বিতীয় দফায় রূপায়ন টাউনে ঢুকে প্রথমে আবু সাঈদ পাটোয়ারীকে মারধর করে। পরে অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদের ফ্ল্যাটে ঢুকে তার ছোট ভাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিট ইন্সপেক্টর আবদুস সালাম আজাদকে মারধর করতে থাকে। ওই সময় ছোট ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে বড় ভাই আবুল কালাম আজাদও আহত হন। তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করে তার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় পুরো রূপায়ন টাউনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নাজিম উদ্দিনের লোকজন চলে যাবার সময় আবুল কালাম আজাদের কাছে আরও ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে যায়। অন্যথায় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে আহত আব্দুস সামাদ আজাদের বড় ভাই আশরাফ সিদ্দিকী ও আহত আবু সাঈদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে নাজিম উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঘটনাটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। যে আমিনুলকে মারধর করা হয়েছে বলা হচ্ছে সেই আমিনুলই আমার মেয়ের জামাই’র কলার ধরে তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিঁড়ে ফেলে। আমি বিষয়টি দেখে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেই। এরপরের ঘটনা কি ঘটেছে তা আমার জানা নেই। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে রূপায়ণ টাউনের ৪নং বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। ওই সময় ৩নং বিল্ডিংয়ের সামনে বসে থাকা ফ্ল্যাট মালিক আমিনুল বিষয়টি টের পেয়ে দৌড়ে ৪নং বিল্ডিংয়ের উপরে উঠতে গেলে নাজিম উদ্দিনের ছোট মেয়ের জামাই হিমেলের সঙ্গে আমিনুলের ধাক্কা লাগে। ওই সময় হিমেল আমিনুলের পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
কলার চেপে ধরে বলে কোথায় যাচ্ছিস। তখন আমিনুল বলে উপরে আগুন লাগছে আমি সেখানে যাচ্ছি। পরে আমিনুলকে ছেড়ে দেয় হিমেল। আগুন নেভানোর পর আমিনুল নিচে এসে হিমেলকে বলে আপনি আমার কলার ধরেছিলেন কেন? হিমেল বলে আমি মনে করেছিলাম আপনি চোর। আমিনুল বলে আমাকে কি চোরের মতো দেখতে লাগে? এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটকাটি হয়। পরে ফ্ল্যাটের অন্যান্য মালিকরা বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন লোক এসে আমিনুলকে বেধড়ক মারধর করে। তাদের রোষানল থেকে ফ্ল্যাট মালিক আবু সাঈদ পাটোয়ারীসহ অন্যরা আমিনুলকে রক্ষা করে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা ফ্ল্যাট মলিকদের নানা ধরনের হুমকি দিয়ে চলে যায়। মাগরিবের নামজের পর মসজিদ থেকে লোকজন বের হয়ে ঘটনাটি শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করে। ওই সময় রূপায়নের বাসিন্দা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিট ইন্সপেক্টর আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, এটা কি মগের মুল্লুক? বহিরাগত লোকজন ভেতরে ঢুকে যাকে তাকে মারধর করবে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে আবার ৫০ থেকে ৬০ জন সন্ত্রাসী দ্বিতীয় দফায় রূপায়ন টাউনে ঢুকে প্রথমে আবু সাঈদ পাটোয়ারীকে মারধর করে। পরে অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদের ফ্ল্যাটে ঢুকে তার ছোট ভাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিট ইন্সপেক্টর আবদুস সালাম আজাদকে মারধর করতে থাকে। ওই সময় ছোট ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে বড় ভাই আবুল কালাম আজাদও আহত হন। তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করে তার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় পুরো রূপায়ন টাউনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নাজিম উদ্দিনের লোকজন চলে যাবার সময় আবুল কালাম আজাদের কাছে আরও ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে যায়। অন্যথায় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে আহত আব্দুস সামাদ আজাদের বড় ভাই আশরাফ সিদ্দিকী ও আহত আবু সাঈদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে নাজিম উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঘটনাটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। যে আমিনুলকে মারধর করা হয়েছে বলা হচ্ছে সেই আমিনুলই আমার মেয়ের জামাই’র কলার ধরে তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিঁড়ে ফেলে। আমি বিষয়টি দেখে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেই। এরপরের ঘটনা কি ঘটেছে তা আমার জানা নেই। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।