প্রথম পাতা

বনানী ট্র্যাজেডি

ফেঁসে যাচ্ছেন রাজউকের ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারী

বিশেষ প্রতিনিধি

১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, ১০:০০ পূর্বাহ্ন

আলোচিত বনানীর এফ আর টাওয়ারের অনুমোদন প্রক্রিয়ায় জড়িত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ২০ জন কর্মকর্তা- কর্মচারী ফেঁসে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে এসব কর্মকর্তা- কর্মচারীর নাম চেয়ে রাজউকের কাছে চিঠি দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এখন অনুমোদন প্রক্রিয়ায় জড়িত সাবেক ও বর্তমান  কর্মকর্তা- কর্মচারিদের নাম ও তাদের স্থায়ী/ অস্থায়ী ঠিকানা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এফ আর টাওয়ার নিয়ে ইমারত নির্মাণ শাখা ও এষ্টেট শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা থাকছেন এ তালিকায়। বিষয়টি সর্ম্পকে জানতে চাইলে রাজউকের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নাম প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছি আমরা। ওই তালিকা মন্ত্রণালয়ের চাহিদা মতো সরবরাহ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর এফ আর টাওয়ারের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদন করতে রূপায়ন হাউজিং এষ্টেটকে আমমোক্তার নিয়োগ করা হয়।

এরপরই তারা ২৩ তলা ভবনের নকশা অনুমোদনের কপি রাজউকের এষ্টেট শাখায় জমা দেয়। এর ভিত্তিতে ২০০৬ সালের ২৬শে জানুয়ারি ২০, ২১ ও ২২ নং ফ্লোর জিএসপি ফাইন্যান্স বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে বন্ধক রাখার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। ৭ই ফেব্রুয়ারি বন্ধক অনুমতির অনুমোদন দেয় রাজউক। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, জাল নকশা যাচাই না করে কিসের ভিত্তিতে বন্ধক অনুমতি দেয়া হয়েছে ওই বিষয়টি জানতে চেয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি ওই অনুমোদন প্রক্রিয়ায় সঙ্গে যেসব কর্মকর্তা- কর্মচারি জড়িত তাদের নাম ও ঠিকানা চাওয়া হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ডিলিং সহকারি, তত্ত্বাবধায়ক, সহকারি পরিচালক, উপ-পরিচালক, পরিচালক, সদস্য (এষ্টেট) ও চেয়ারম্যানের নাম ও ঠিকানা চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২০শে আগস্ট অথরাইজড অফিসারকে একটি চিঠি দেয়।

ওই চিঠিতে এফ আর টাওয়ারের নকশার কপি সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়। এর বিপরীতে অথরাইজড অফিসার জানান, এফ আর টাওয়ারের অনুমোদিত ইমারতের নকশা রেকর্ডে নেই। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে এষ্টেট ও অথরাইজ শাখা অনেকটা চুপসে যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নকশা জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণ হওয়ার পরও রাজউকের যেসব কর্মকর্তা দায়সারাভাবে ফাইল উপস্থাপন করেছেন তাদের নামও তালিকায় থাকবে। এছাড়া বন্ধক অনুমতি দিয়ে যারা বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন মর্মে ফাইলে প্রমাণ আছে তাদের নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি হবে। রাজউকের এক কর্মকর্তা জানান, তালিকা তৈরিতে আমাদের কিছু করার নেই। মন্ত্রণালয় যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছে ওইভাবেই তালিকা তৈরি করছে আমরা।     
   
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status