শেষের পাতা
সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
ঢাকা সিএমএইচ-এর আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল আইএসপিআর এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সিএমএইচের কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান জেনারেল, মেজর জেনারেল মো. আজিজুল ইসলাম, চিফ ফিজিশিয়ান ও কার্ডিওলজিস্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ আসিফ ইকবাল, কমান্ড্যান্ট সিএমএইচ ঢাকা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌফিকুল হাসান সিদ্দিকী এবং প্রফেসর সামন্তলাল সেনের উপস্থিতিতে আট সদস্য বিশিষ্ট রিভিউ মেডিকেল বোর্ড সুবীর নন্দীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।
এই মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুয়াযী তার কেন্দ্রিয় স্মায়ুতন্ত্রের অবস্থা জানার জন্য একটি এমআরআই করা হবে বলে জানানো হয়। এর আগে, গত ১৫ ও ১৬ই এপ্রিল একটি আট সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন। গত ১২ই এপ্রিল একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শ্রীমঙ্গল গিয়েছিলেন সুবীর নন্দী। অনুষ্ঠান শেষ করে ১৪ই এপ্রিল রাতে ট্রেনযোগে ঢাকায় আসার পথে কয়েকবার বমি করেন, গলায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন ও বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সিএমএইচ এ আনার কিছুক্ষণের মধ্যে তার কার্ডিয়াক এ্যারেস্ট হয়। ৩ থেকে ৪ মিনিট সর্বাত্মক চেষ্টার পর তার হার্ট চালু হয় এবং তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সুবীর নন্দী দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন। তার হার্টে বাইপাস সার্জারি হয়েছিল। কিডনির সমস্যাও রয়েছে তার। নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয় তাকে।
প্রসঙ্গত, ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আড়াই হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন সুবীর নন্দী। ১৯৫৩ সালের ১৯শে নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার নন্দীপাড়ায় তার জন্ম। বাবার চাকরি সূত্রে শৈশব কেটেছে চা বাগানে। পরিণত বয়সে গানের পাশাপাশি চাকরি করেছেন ব্যাংকে। প্রাইমারিতে পড়ার সময় মা পুতুল রানীর কাছে সংগীতের হাতেখড়ির পর ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নেন সুবীর নন্দী। সিলেট বেতারে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৬৭ সালে। এরপর ঢাকা রেডিওতে সুযোগ পান ১৯৭০ সালে। রেডিওতে তার প্রথম গান ‘যদি কেউ ধূপ জ্বেলে দেয়’। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রে গেয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান।
১৯৭৬ সালে আব্দুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্লেব্যাকে আসেন সুবীর নন্দী। ১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘অশিক্ষিত’ সিনেমাটি। সেই সিনেমায় সাবিনা ইয়াসমিন আর সুবীর নন্দীর কণ্ঠে ‘মাস্টার সাব আমি নাম দস্তখত শিখতে চাই’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ধীরে ধীরে সুবীর নন্দীর কণ্ঠের গান ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মুখে মুখে। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই শিল্পী। চারবার পেয়েছেন বাচসাস পুরস্কার। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘দিন যায় কথা থাকে’, আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘আশা ছিল মনে মনে’, ‘হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে’, ‘বন্ধু তোর বারাত নিয়া’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার’, ‘কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘পাহাড়ের কান্না দেখে’, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি’, ‘কেন ভালোবাসা হারিয়ে যায়’, একটা ছিল সোনার কন্যা’, ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’সহ অসংখ্য গান। তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ বাজারে আসে ১৯৮১ সালে। ‘প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘ভালোবাসা কখনো মরে না’, ‘সুরের ভুবনে’, ‘গানের সুরে আমায় পাবে’ ছাড়াও ‘প্রণামাঞ্জলী’ নামে একটি ভক্তিমূলক গানের অ্যালবাম রয়েছে এ শিল্পীর।
এই মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুয়াযী তার কেন্দ্রিয় স্মায়ুতন্ত্রের অবস্থা জানার জন্য একটি এমআরআই করা হবে বলে জানানো হয়। এর আগে, গত ১৫ ও ১৬ই এপ্রিল একটি আট সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন। গত ১২ই এপ্রিল একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শ্রীমঙ্গল গিয়েছিলেন সুবীর নন্দী। অনুষ্ঠান শেষ করে ১৪ই এপ্রিল রাতে ট্রেনযোগে ঢাকায় আসার পথে কয়েকবার বমি করেন, গলায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন ও বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সিএমএইচ এ আনার কিছুক্ষণের মধ্যে তার কার্ডিয়াক এ্যারেস্ট হয়। ৩ থেকে ৪ মিনিট সর্বাত্মক চেষ্টার পর তার হার্ট চালু হয় এবং তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সুবীর নন্দী দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন। তার হার্টে বাইপাস সার্জারি হয়েছিল। কিডনির সমস্যাও রয়েছে তার। নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয় তাকে।
প্রসঙ্গত, ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আড়াই হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন সুবীর নন্দী। ১৯৫৩ সালের ১৯শে নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার নন্দীপাড়ায় তার জন্ম। বাবার চাকরি সূত্রে শৈশব কেটেছে চা বাগানে। পরিণত বয়সে গানের পাশাপাশি চাকরি করেছেন ব্যাংকে। প্রাইমারিতে পড়ার সময় মা পুতুল রানীর কাছে সংগীতের হাতেখড়ির পর ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নেন সুবীর নন্দী। সিলেট বেতারে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৬৭ সালে। এরপর ঢাকা রেডিওতে সুযোগ পান ১৯৭০ সালে। রেডিওতে তার প্রথম গান ‘যদি কেউ ধূপ জ্বেলে দেয়’। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রে গেয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান।
১৯৭৬ সালে আব্দুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্লেব্যাকে আসেন সুবীর নন্দী। ১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘অশিক্ষিত’ সিনেমাটি। সেই সিনেমায় সাবিনা ইয়াসমিন আর সুবীর নন্দীর কণ্ঠে ‘মাস্টার সাব আমি নাম দস্তখত শিখতে চাই’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ধীরে ধীরে সুবীর নন্দীর কণ্ঠের গান ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মুখে মুখে। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই শিল্পী। চারবার পেয়েছেন বাচসাস পুরস্কার। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘দিন যায় কথা থাকে’, আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘আশা ছিল মনে মনে’, ‘হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে’, ‘বন্ধু তোর বারাত নিয়া’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার’, ‘কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘পাহাড়ের কান্না দেখে’, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি’, ‘কেন ভালোবাসা হারিয়ে যায়’, একটা ছিল সোনার কন্যা’, ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’সহ অসংখ্য গান। তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ বাজারে আসে ১৯৮১ সালে। ‘প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘ভালোবাসা কখনো মরে না’, ‘সুরের ভুবনে’, ‘গানের সুরে আমায় পাবে’ ছাড়াও ‘প্রণামাঞ্জলী’ নামে একটি ভক্তিমূলক গানের অ্যালবাম রয়েছে এ শিল্পীর।