ষোলো আনা
টানছে কল সেন্টার
আবিদুল হক সোহেল
১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৫২ পূর্বাহ্ন
শিক্ষার্থীদের পছন্দসই একটি পেশা- কল সেন্টারে চাকরি। এই চাকরির পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যেতে পারেন পড়ালেখা। ফলে এই পেশায় দিনদিন আগ্রহ বেড়েই চলছে শিক্ষার্থীদের।
বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর ছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক, ই-কমার্স সাইট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ নানা প্রতিষ্ঠানে কলসেন্টার চালু আছে। তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছে গ্রাহক বা সেবা ভোগকারীদের।
পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করাটা রীতিমতো সম্মানের ব্যাপার। এর পাশাপাশি শিক্ষা জীবনেই হয়ে যাচ্ছে চাকরির অভিজ্ঞতা।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া দিপা দে চাকরি করেন ইমপেরিয়াল সার্ভিস অ্যান্ড সল্যুশন লিমিটেডে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী হয়েও চাকরি করতে পারাটা তার জন্য খুবই আনন্দের। সাধারণত শিক্ষার্থীদের চাকরি করার সুযোগ খুবই কম থাকে। কিন্তু এই কল সেন্টারের মাধ্যমে সহজেই করতে পারছেন চাকরি। মানুষের সঙ্গে কীভাবে সুন্দর করে কথা বলতে হয়, তা এখান থেকেই শেখা। সুন্দরভাবে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলতে পারলেই এই চাকরি করা সম্ভব।
নাঈম হোসেন একজন কল সেন্টারের এজেন্ট। তিনিও শিক্ষার্থী। কর্মরত আছেন এক বছর যাবৎ। তিনি বলেন, এই পেশার কারণে পড়ালেখায় তেমন ক্ষতি হয় না। সমান গতিতে বাড়ছে কাজের অভিজ্ঞতা ও উপার্জন।
একজন মানুষের কাজের অভিজ্ঞতা যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনি কর্মজীবনেও প্রয়োজন কিছু দক্ষতা। যার যোগাযোগের দক্ষতা যত ভালো তার সফলতা ততটাই আসবে। এমনটাই মনে করছেন আইএসএসএলের আরেকজন এজেন্ট রাবেয়া নিপা।
বাসায় বসে থেকেই প্রায় তিনটি বছর কেটে গিয়েছে অনার্স পড়ুয়া তুষারের। অনার্স শেষ হওয়ার আগে চাকরি করতে পারবেন এমন ধারণা ছিলই না। সহপাঠী এক বন্ধুর মাধ্যমে যোগ দেন কল সেন্টারে। তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থীর একটু সুন্দরভাবে কথা বলা শিখলেই এই পেশায় আসতে পারেন। তার বিনিময়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বা তারও বেশি পেতে পারেন। যা একজন ছাত্র বা ছাত্রীর হাত খরচের জন্য যথেষ্ট। আর এজন্য কাজ করতে হয় দৈনিক ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত।