ভারত

ভোট পিছাচ্ছে ত্রিপুরা ও তামিলনাড়ুতে!

কলকাতা প্রতিনিধি

১৮ এপ্রিল ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:১৮ পূর্বাহ্ন

অর্থের উৎকোচে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগে তামিলনাড়–র ভেলোর কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে রাষ্ট্রপতি মঙ্গলবার এই নির্বাচন বাতিলের সবুজ সংকেত দিয়েছেন। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বাচনের অনুকূল না হওয়ায় ত্রিপুরা পূর্ব কেন্দ্রের নির্বাচন পিছিয়ে তৃতীয় দফায় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রথম দফার ভোটে ত্রিপুরায় ব্যাপক ছাপ্পা ভোট পড়ার অভিযোগ করেছিল বিরোধী দলগুলো। এর পরেই রাজ্যের পুলিশ কর্তাকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে রাজ্য প্রশাসন অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে না পারতেই ভোট পিছিয়ে দিয়েছে।  তামিলনাড়–তে কয়েকদিন আগে ডিএমকে প্রার্থীর অফিসে তল্লাশি চালিয়ে  হিসাববহির্র্ভূত অঢেল নগদ টাকা পেয়েছে কমিশনের আয়কর শাখা। এরপরই সোমবার রাতে গোটা ঘটনা জানিয়ে তারা নির্বাচন বাতিলের সুপারিশ করে চিঠি দেয় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবন  থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর ১৮ই এপ্রিল ভেলোরের নির্বাচন বাতিলের ঘোষণা করা হয়েছে। তামিলনাড়–র ৩৯টি আসনেই দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের দিন ধার্য ছিল। তবে এই নির্দেশের ফলে বৃহস্পতিবার ৩৯টির বদলে ৩৮টি আসনে নির্বাচন হবে। জানা গেছে, ভেলোরের নির্বাচনী আধিকারিকের মাধ্যমে খবর পেয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগেই কাথিরের কাটপাডি এলাকার বাসভবনে যান কমিশনের আয়কর শাখার কর্মী-অফিসাররা। বাড়ির পাশাপাশি কাথিরের মালিকানাধীন একটি স্কুল এবং তার এক ঘনিষ্ঠ অনুগামীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মোট ১৯ লাখ রুপি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এভাবে টাকা উদ্ধারে উদ্বিগ্ন হয়ে নির্বাচন কমিশন ঐ কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে মঙ্গলবার আরেক ডিএমকে প্রার্থী কানিমোঝির বাড়ি ও অফিসে আয়কর দপ্তর তল্লাশি শুরু করেছে বলে জানা যায়। নির্বাচনে জিততে ভোটারদের টাকা ও বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে প্রভাবিত করার ঘটনা মাঝে মধ্যেই জানা যাচ্ছে। গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক হাজার কোটি রুপি নগদ ও প্রচুর সোনাদানা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে।
এদিকে, ত্রিপুরার রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক শ্রীরাম তরণীকান্ত মঙ্গলবার জানিয়েছেন, গত ১১ই এপ্রিল ত্রিপুরা-পশ্চিম আসনের ভোটগ্রহণের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে  মোটেই সন্তুষ্ট হয় নি কমিশন। তার জেরে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি রাজীব সিংহকে কমিশন সরিয়ে দিয়েছে। তরণীকান্ত আরো জানিয়েছেন, প্রিজাইডিং অফিসার রিপোর্ট দিয়েছেন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই হয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে ছাপ্পা ভোট  দেয়া হয়েছে। গত ১১ই এপ্রিল ভোটগ্রহণের পরই রাজ্যের বিরোধী দলগুলো আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছিল। তারা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিল। তাদের অভিযোগ, বহু জায়গায় ভোট যে ঠিকমতো হয়নি তা মুখ্য নির্বাচনী অফিসার এদিন স্বীকার করেছেন। এর পরেই ভোট পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status