লালমনিরহাটের অগ্নিদগ্ধ রোজিনার মৃত্যু

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে রোজিনা বেগম (২০) নামের এক গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার সকালে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী মো. আবদুল্লাহকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে পাটগ্রাম পৌরসভার নিউপূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আবদুল্লাহ উপজেলা নিউ পূর্বপাড়া এলাকার মোমিন মিয়ার ছেলে। গৃহবধূ রোজিনা বেগম পার্শ্ববর্তী জেলা নীলফামারী জেলার জলঢাকা এলাকার মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনই গৃহবধূ রোজিনাকে নির্যাতন করেন স্বামী আবদুল্লাহ। সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে রোজিনা তার স্বামীকে জানায় যে তার বাড়িতে বেশ কিছু নিকটতম আত্মীয় আসবে। এ কথা শুনে মোবাইলে রোজিনাকে গালাগালি করে। ঘণ্টাখানেক পর বাড়িতে এসেই রোজিনার চুলের মুঠি ধরে মারধর শুরু করে স্বামী আবদুল্লাহ। পরে ঘরের ভেতর থেকে কেরোসিনের বোতল এনে ঢেলে দেয় রোজিনার শরীরে। আগুন ধরিয়ে দিলে রোজিনার গলাসহ তার শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে যায়। রোজিনার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে স্বামী আবদুল্লাহ পালাতে চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশকে খরর দেয়। পরে রোজিনাকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে রোজিনা বেগমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ পাঠানো হয়। রংপুর মেডিকেল কলেজ বার্ণ ইউনিটে আজ শনিবার তার মৃত্যু হয়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী জানান ‘অগ্নিদগ্ধ রোজিনার মৃত্যু হয়েছে ৩ দিন পর। তবে গৃহবধূর স্বামী আবদুল্লাহকে আটক করা হয়েছে।