বাংলারজমিন
সাতছড়ি থেকে পাচারের সময় হরিণ উদ্ধার
শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৪ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার, ৭:৫৬ পূর্বাহ্ন
চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে পাচার করে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতা চুনারুঘাট বাজার থেকে একটি মায়া হরিণ উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার সকাল ৬টায়। বর্তমানে হরিণটি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের রেসকিউ সেন্টারে বনবিভাগের অধীনে চিকিৎসা চলছে। বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের একটি মায়া হরিণ পুরাতন ঢাকা সিলেট মহাসড়ক পারাপার হতে গিয়ে রাস্তার পাশে দেয়া কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে যায়। এ সময় সড়ক দিয়ে বি-বাড়িয়া থেকে বালু নিতে আসা একটি ট্রাকের চালক (পরিচয় জানা যায়নি) হরিণটি দেখতে পায়। সে সঙ্গে সঙ্গে হরিণটিকে তাড়া করে উদ্ধার করে ট্রাকে করে চুনারুঘাটের দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু কাঁটাতারের বেড়ায় আটক হরিণটি ছাড়িয়ে নিতে ট্রাকের চালক তাড়া করে হরিণের সিংগুলো ভেঙে ফেলে। হরিণের পায়ের ক্ষুরায় মারাত্মক আঘাত পায় এবং শরীরের কাটাছেঁড়ার আঘাতের যন্ত্রণায় ট্রাকের উপর থেকে হরিণ চুনারুঘাট বাজারের দিকে রওয়ানা দেয়। এ সময় মুজিবুর নামে এক ব্যক্তি যাবার সময় বিষয়টি দেখতে পেয়ে সেও তাদের পিছু নেয়। একপর্যায়ে চুনারুঘাট বাজারের টু-স্টার হোটেলের সামনে এসে হরিণটি লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যায়। এ সময় ট্রাকের চালক হরিণটি রেখেই ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় মুজিবুরসহ স্থানীয়রা হরিণটি উদ্ধার করে। ঠিক একই সময়ে সাতছড়ি রেঞ্জের তেলমা বিটের বন প্রহরী মহিতুল ইসলাম চুনারুঘাট বাজারে সদাই নিতে এসেই এ ঘটনা দেখতে পায়। বিষয়টি সে সঙ্গে সঙ্গে বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন ও বিট কর্মকর্তা রুমি সামসুদ্দিনকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে হরিণটি উদ্ধার করে। পরে হরিণটিকে চুনারুঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
হরিণটি অনুমান লম্বায় সাড়ে ৩ ফুট এবং প্রস্থে আড়াই ফুট হবে। পায়ের কুড়া ভেঙে যাওয়ায় হরিণটি উঠে দাঁড়াতে পারছে না। তাকে বর্তমানে সাতছড়ি বিটে রেসকিউ সেন্টারে রেখে বন বিভাগ চিকিৎসা দিচ্ছেন। এ বিষয়ে সাতছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন জানান, হরিণটি বর্তমানে অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সুস্থ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। বিট কর্মকর্তা রুমি সামসুদ্দিন জানান, আমরা ঘটনার পর পরই কাঁটাতারের বেড়ায় আটক স্থানটি চিহ্নিত করেছি। হরিণটি কাঁটাতারে আটকা পড়লেই ট্রাকচালক হরিণটি উদ্ধার করে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, হরিণটিকে এখানে রেখে চিকিৎসা দেয়া অনেক কঠিন। কারণ তাকে ইনজেকশন পুশ করতে হয় এবং খাওয়ার ওষুধও দেয়া হয়েছে। আমরা হরিণটির বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের সিদ্ধান্ত মতে তাকে গাজীপুর সাফারি পার্কে পাঠানো হতে পারে।
হরিণটি অনুমান লম্বায় সাড়ে ৩ ফুট এবং প্রস্থে আড়াই ফুট হবে। পায়ের কুড়া ভেঙে যাওয়ায় হরিণটি উঠে দাঁড়াতে পারছে না। তাকে বর্তমানে সাতছড়ি বিটে রেসকিউ সেন্টারে রেখে বন বিভাগ চিকিৎসা দিচ্ছেন। এ বিষয়ে সাতছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন জানান, হরিণটি বর্তমানে অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সুস্থ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। বিট কর্মকর্তা রুমি সামসুদ্দিন জানান, আমরা ঘটনার পর পরই কাঁটাতারের বেড়ায় আটক স্থানটি চিহ্নিত করেছি। হরিণটি কাঁটাতারে আটকা পড়লেই ট্রাকচালক হরিণটি উদ্ধার করে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, হরিণটিকে এখানে রেখে চিকিৎসা দেয়া অনেক কঠিন। কারণ তাকে ইনজেকশন পুশ করতে হয় এবং খাওয়ার ওষুধও দেয়া হয়েছে। আমরা হরিণটির বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের সিদ্ধান্ত মতে তাকে গাজীপুর সাফারি পার্কে পাঠানো হতে পারে।