ভারত
পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকপঞ্জী নিয়ে পাল্টাপাল্টি হুমকি
কলকাতা প্রতিনিধি
১৩ এপ্রিল ২০১৯, শনিবার, ৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রচারে নাগরিকপঞ্জী তথা এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ইস্যু হয়ে উঠেছে। রীতিমত শুরু হয়েছে বাগযুদ্ধ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের জনসভায় হুমকি দিয়ে বলেছেন, মমতাজি সর্বশক্তি দিয়ে বাধা দিলেও পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি ঠেকাতে পারবেন না। অসমের মতো এ রাজ্যেও নাগরিকপঞ্জী হবেই। অনুপ্রবেশকারীদের বেছে বেছে সাগরে ফেলে দেয়া হবে। তবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে যে হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ ও জৈন শরণার্থীরা এসেছেন তাদের কাউকে তাড়ানো হবে না। সেই সঙ্গে তিনি মমতার দলকে অনুপ্রবেশকারীদের তুষ্ট করার দল হিসেবে অভিহিত করেছেন। এর আগে কালিম্পংয়ে এক সভাতে অমিত শাহ বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করতে বিজেপি দায়বদ্ধ। বাঙালি শরণার্থীদের দেশের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন এবং খ্রিষ্টান ধর্মের যে-সব মানুষ অত্যাচারিত হয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা আমাদের সহোদর। তারা অনুপ্রবেশকারী নন। তাদের সবাইকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে।
তবে অমিত শাহর হুঙ্কারের পাল্টা হুঙ্কার দিয়ে দার্জিলিংয়ে এক জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলায় এনআরসি কিছুতেই হতে দেবো না। এর আগেও মমতা একাধিকবার বলেছেন, রাজ্যে তিনি এনআরসি হতে দেবেন না। চ্যালেঞ্জের সুরে গত মঙ্গলবার রায়গঞ্জে এসে তিনি বলেছেন, ক্ষমতা থাকলে এ রাজ্যে এক জনের গায়েও হাত দিয়ে দেখান। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও এদিন অমিত শাহকে কটাক্ষ করে বলেছেন, উনি যতই হুঙ্কার দিন, বাংলায় কারোর ক্ষমতা নেই এনআরসি চালু করবে। বাংলার মানুষ বিভেদের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। প্রথম থেকেই মমতা নাগরিকপঞ্জী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। তবে বিজেপি নির্বাচনী প্রচারের শেষ পর্যায়ে এনআরসিকেই ইস্যু করে প্রচারে নেমেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বৃহস্পতিবার আসামের শিলচরের জনসভায় নাগরিকত্বপঞ্জীকেই হাতিয়ার করে প্রচার করেছেন। তিনি বলেছেন, ফের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পেশ করা হবে। এবার পাসও হবে বলে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেছেন।
তবে অমিত শাহর হুঙ্কারের পাল্টা হুঙ্কার দিয়ে দার্জিলিংয়ে এক জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলায় এনআরসি কিছুতেই হতে দেবো না। এর আগেও মমতা একাধিকবার বলেছেন, রাজ্যে তিনি এনআরসি হতে দেবেন না। চ্যালেঞ্জের সুরে গত মঙ্গলবার রায়গঞ্জে এসে তিনি বলেছেন, ক্ষমতা থাকলে এ রাজ্যে এক জনের গায়েও হাত দিয়ে দেখান। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও এদিন অমিত শাহকে কটাক্ষ করে বলেছেন, উনি যতই হুঙ্কার দিন, বাংলায় কারোর ক্ষমতা নেই এনআরসি চালু করবে। বাংলার মানুষ বিভেদের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। প্রথম থেকেই মমতা নাগরিকপঞ্জী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। তবে বিজেপি নির্বাচনী প্রচারের শেষ পর্যায়ে এনআরসিকেই ইস্যু করে প্রচারে নেমেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বৃহস্পতিবার আসামের শিলচরের জনসভায় নাগরিকত্বপঞ্জীকেই হাতিয়ার করে প্রচার করেছেন। তিনি বলেছেন, ফের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পেশ করা হবে। এবার পাসও হবে বলে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেছেন।