বিশ্বজমিন
রাশিয়া কানেকশন তদন্তের রিপোর্ট জমা অবিলম্বে প্রকাশ চান আইনপ্রণেতারা
মানবজমিন ডেস্ক
২৪ মার্চ ২০১৯, রবিবার, ৮:৫০ পূর্বাহ্ন
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগে স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলারের নেতৃত্বে তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়েছে। দীর্ঘ ২২ মাসের অনুসন্ধান শেষে গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারের হাতে রিপোর্ট তুলে দেন মুয়েলার। ধারণা করা হচ্ছে, আজ বা আগামীকালের মধ্যে ওই রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। তবে মুয়েলারের তদন্ত রিপোর্ট তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করার দাবি তুলেছেন কংগ্রেস সদস্যরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল গতকাল মুয়েলারের তদন্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেন। পরে আইন প্রণেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ তিনি তদন্ত রিপোর্টের প্রধান প্রধান বিষয়গুলো প্রকাশ করতে পারেন। মার্কিন বিচার বিভাগের নিয়ম অনুসারে, তদন্ত রিপোর্টের কতটুকু প্রকাশ করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা অ্যাটর্নি জেনারেলের আছে।
তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, মুয়েলারের রিপোর্টে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কোন অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে বা রাশিয়া কানেকশনে তার সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া গেছে কি না। কেননা রবার্ট মুয়েলার এই বিষয়টিকে সামনে রেখেইে তার তদন্ত কার্যক্রম চালিয়েছেন। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মস্কোর পক্ষ থেকে কোনো অবৈধ প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে কি না এবং রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কেন রাশিয়া কানেকশন তদন্ত রুখে দেয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা করেছেন, ২২ মাসের দীর্ঘ তদন্তে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন মুয়েলার।
গতকাল তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার আগে ও পরে তিনি নতুন কোনো অভিযোগের কথা বলেন নি। বিচার বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এর অর্থ হলো- ট্রাম্প ও তার নির্বাচনী প্রচারণা শিবিরের বিরুদ্ধে রিপোর্টে নতুন কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। এর আগে, তদন্ত কার্যক্রম চালানোর সময় মুয়েলার মোট ৩৪ জন ব্যক্তি ও ৩ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেন। তার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সহযোগীর কারাদণ্ডও দিয়েছেন আদালত। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট উভয় দলের আইনপ্রণেতারাই জানিয়েছেন, তারা মুয়েলারের রিপোর্টের দ্রুত প্রকাশ চান। ডেমোক্রেটরা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ চেয়েছে। কেননা, তাদের আশঙ্কা রিপোর্ট প্রকাশে বিলম্ব হলে বা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট না প্রকাশ করলে নতুন কোনো ইস্যুর তৈরি হতে পারে।
গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসকে বরখাস্ত করেন। তার ওই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। পরে গত ফেব্রুয়ারিতে উইলিয়াম বারকে ওই পদে নিয়োগ দেন ট্রাম্প। মুয়েলারের তদন্ত রিপোর্ট গ্রহণ করার পর আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি বলেন, যতটুকু সম্ভব স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমি আপনাদেরকে আমার পর্যালোচনা জানাতে থাকবো।
এদিকে, দীর্ঘ তদন্ত শেষে অবসরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন রবার্ট মুয়েলার। তার মুখপাত্র বলেন, সামনের দিনগুলোতে ৭৪ বছর বয়সি স্পেশাল কাউন্সেল তার চাকরিজীবনের ইতি টানতে পারেন।
তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, মুয়েলারের রিপোর্টে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কোন অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে বা রাশিয়া কানেকশনে তার সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া গেছে কি না। কেননা রবার্ট মুয়েলার এই বিষয়টিকে সামনে রেখেইে তার তদন্ত কার্যক্রম চালিয়েছেন। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মস্কোর পক্ষ থেকে কোনো অবৈধ প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে কি না এবং রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কেন রাশিয়া কানেকশন তদন্ত রুখে দেয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা করেছেন, ২২ মাসের দীর্ঘ তদন্তে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন মুয়েলার।
গতকাল তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার আগে ও পরে তিনি নতুন কোনো অভিযোগের কথা বলেন নি। বিচার বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এর অর্থ হলো- ট্রাম্প ও তার নির্বাচনী প্রচারণা শিবিরের বিরুদ্ধে রিপোর্টে নতুন কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। এর আগে, তদন্ত কার্যক্রম চালানোর সময় মুয়েলার মোট ৩৪ জন ব্যক্তি ও ৩ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেন। তার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সহযোগীর কারাদণ্ডও দিয়েছেন আদালত। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট উভয় দলের আইনপ্রণেতারাই জানিয়েছেন, তারা মুয়েলারের রিপোর্টের দ্রুত প্রকাশ চান। ডেমোক্রেটরা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ চেয়েছে। কেননা, তাদের আশঙ্কা রিপোর্ট প্রকাশে বিলম্ব হলে বা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট না প্রকাশ করলে নতুন কোনো ইস্যুর তৈরি হতে পারে।
গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসকে বরখাস্ত করেন। তার ওই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। পরে গত ফেব্রুয়ারিতে উইলিয়াম বারকে ওই পদে নিয়োগ দেন ট্রাম্প। মুয়েলারের তদন্ত রিপোর্ট গ্রহণ করার পর আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি বলেন, যতটুকু সম্ভব স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমি আপনাদেরকে আমার পর্যালোচনা জানাতে থাকবো।
এদিকে, দীর্ঘ তদন্ত শেষে অবসরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন রবার্ট মুয়েলার। তার মুখপাত্র বলেন, সামনের দিনগুলোতে ৭৪ বছর বয়সি স্পেশাল কাউন্সেল তার চাকরিজীবনের ইতি টানতে পারেন।