এক্সক্লুসিভ
ক্রাইস্টচার্চ হামলা
আট দিন পর চোখ মেললেন লিপি
আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ থেকে
২৪ মার্চ ২০১৯, রবিবার, ৮:৩০ পূর্বাহ্ন
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় বন্দুকধারী উগ্রবাদীর গুলিতে আহত হওয়া কিশোরগঞ্জের তরুণী সাজেদা আক্তার লিপি’র শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ঘটনার ৮ দিন পর শনিবার (২৩শে মার্চ) স্থানীয় সময় রাত আড়াইটায় তিনি চোখ মেলে তাকিয়েছেন। হামলার দিন ১৫ই মার্চ থেকে লিপি ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালের আইসিইউতে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে নিউজিল্যান্ডে থাকা সাজেদা আক্তার লিপি’র দেবর খোকন মিয়া জানান, এখনো আশঙ্কামুক্ত নন লিপি। তবে তারা আশার আলো দেখছেন। ধীরে ধীরে লিপি সুস্থ হয়ে ওঠবেন বলে চিকিৎসকেরা আশা করছেন।
গত ১৫ই মার্চ জুমার নামাজ আদায় করতে স্বামী মাসুদ মিয়ার সঙ্গে এক গাড়িতেই ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে গিয়েছিলেন সাজেদা আক্তার লিপি (২৫)। বন্দুক হামলার সময় অলৌকিকভাবে রক্ষা পান স্বামী মাসুদ মিয়া। কিন্তু ঘাতকের বুলেটে এফোড় ওফোড় হন লিপি। বন্দুক হামলায় আহতদের মধ্যে সবচেয়ে সংকটজনক অবস্থায় ছিলেন বাংলাদেশী এই তরুণী। সাজেদা আক্তার লিপি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের গোলাপ মিয়ার মেয়ে এবং জেলার কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের দক্ষিণ অষ্টঘড়িয়া গ্রামের নিউজিল্যান্ড প্রবাসী মাসুদ মিয়ার স্ত্রী। সেন্ট্রাল ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে বসবাস করেন এই বাংলাদেশী দম্পতি।
নিউজিল্যান্ডে থাকা মাসুদ মিয়ার ছোট ভাই খোকন মিয়া জানান, গত ১৫ই মার্চ জুমার নামাজ আদায় করতে স্বামী মাসুদ মিয়ার সাথে গাড়িতে করে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূরে গিয়েছিলেন সাজেদা আক্তার লিপি। মসজিদের সামনে লিপিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গাড়িটি ঠিকভাবে পার্ক করতে যান মাসুদ। ঠিক এই সময়টিতেই ঘটে বন্দুক হামলার ঘটনা। ভাগ্যক্রমে মাসুদ মিয়া নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে পারলেও, কোন সুযোগ পাননি লিপি।
দৌড়ে আত্মরক্ষা করতে গিয়েও পারেননি। বন্দুকধারী উগ্রবাদীর দু’টি বুলেটের মধ্যে পিঠে লাগা একটি বুলেটে এফোড় ওফোড় লিপি লুটিয়ে পড়েন মসজিদের ফ্লোরে। গুলিবৃষ্টির তাণ্ডব শেষে স্বামী মাসুদ মিয়া হন্যে হয়ে খুঁজেও পাননি লিপিকে। পরে তারা হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, লিপিকে ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। দু’দফা অস্ত্রোপচারের পর সাজেদা আক্তার লিপির শরীর থেকে একটি বুলেট বের করেন চিকিৎসকরা। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্দার্নও হাসপাতালে গিয়ে লিপি’র চিকিৎসার খোঁজ নেন।
এদিকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা লিপি’র শারীরিক অবস্থা উন্নতির খবরে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে দেশে থাকা স্বজনদের মাঝে। লিপি’র পূর্ণ সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছেন তারা। প্রাণোচ্ছ্বল এই তরুণী সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন, এমন আশায় বুক বেঁধে রয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
গত ১৫ই মার্চ জুমার নামাজ আদায় করতে স্বামী মাসুদ মিয়ার সঙ্গে এক গাড়িতেই ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে গিয়েছিলেন সাজেদা আক্তার লিপি (২৫)। বন্দুক হামলার সময় অলৌকিকভাবে রক্ষা পান স্বামী মাসুদ মিয়া। কিন্তু ঘাতকের বুলেটে এফোড় ওফোড় হন লিপি। বন্দুক হামলায় আহতদের মধ্যে সবচেয়ে সংকটজনক অবস্থায় ছিলেন বাংলাদেশী এই তরুণী। সাজেদা আক্তার লিপি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের গোলাপ মিয়ার মেয়ে এবং জেলার কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের দক্ষিণ অষ্টঘড়িয়া গ্রামের নিউজিল্যান্ড প্রবাসী মাসুদ মিয়ার স্ত্রী। সেন্ট্রাল ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে বসবাস করেন এই বাংলাদেশী দম্পতি।
নিউজিল্যান্ডে থাকা মাসুদ মিয়ার ছোট ভাই খোকন মিয়া জানান, গত ১৫ই মার্চ জুমার নামাজ আদায় করতে স্বামী মাসুদ মিয়ার সাথে গাড়িতে করে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূরে গিয়েছিলেন সাজেদা আক্তার লিপি। মসজিদের সামনে লিপিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গাড়িটি ঠিকভাবে পার্ক করতে যান মাসুদ। ঠিক এই সময়টিতেই ঘটে বন্দুক হামলার ঘটনা। ভাগ্যক্রমে মাসুদ মিয়া নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে পারলেও, কোন সুযোগ পাননি লিপি।
দৌড়ে আত্মরক্ষা করতে গিয়েও পারেননি। বন্দুকধারী উগ্রবাদীর দু’টি বুলেটের মধ্যে পিঠে লাগা একটি বুলেটে এফোড় ওফোড় লিপি লুটিয়ে পড়েন মসজিদের ফ্লোরে। গুলিবৃষ্টির তাণ্ডব শেষে স্বামী মাসুদ মিয়া হন্যে হয়ে খুঁজেও পাননি লিপিকে। পরে তারা হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, লিপিকে ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। দু’দফা অস্ত্রোপচারের পর সাজেদা আক্তার লিপির শরীর থেকে একটি বুলেট বের করেন চিকিৎসকরা। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্দার্নও হাসপাতালে গিয়ে লিপি’র চিকিৎসার খোঁজ নেন।
এদিকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা লিপি’র শারীরিক অবস্থা উন্নতির খবরে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে দেশে থাকা স্বজনদের মাঝে। লিপি’র পূর্ণ সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছেন তারা। প্রাণোচ্ছ্বল এই তরুণী সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন, এমন আশায় বুক বেঁধে রয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।