বাংলারজমিন
শ্রীমঙ্গলে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির ছড়াছড়ি, জরিমানা
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২৩ মার্চ ২০১৯, শনিবার, ৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
শ্রীমঙ্গল শহরসহ ৯টি ইউনিয়নে ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন শতাধিক ফার্মেসি রয়েছে। ব্যাঙের ছাতার মতো গজানো এসব ফার্মেসি মালিকদের না আছে ফার্মাসিস্ট সনদ না আছে ড্রাগ সনদ। উপজেলা শহরসহ ৯টি ইউনিয়নে দুইশ’রও বেশি ফার্মেসির বৈধ ড্রাগ লাইসেন্স থাকলেও বাকিগুলো চলছে লাইসেন্স ছাড়াই। এর মধ্যে উপজেলার বাজারে ও পৌর শহরের পাড়া পাড়ায় রয়েছে শতাধিক ফার্মেসি। তারা দেদার চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা ব্যবসা। অনেক ফার্মেসিতে আবার ডাক্তারদের প্র্যাকটিসের নামে চলছে নামে-বেনামে কোম্পানির ওষুধ সরবরাহের পন্থা ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বাণিজ্য। দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্টদের নজরদারি ও লাইসেন্স তদারক কার্যক্রম না থাকায় দিন দিন বেড়েই চলেছে লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকানের সংখ্যা। এতে বৈধ লাইসেন্সধারীরা নবায়ন ও নতুনরা তা করতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এসব অবৈধ ফার্মেসির মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজন।
অধিকাংশ ফার্মেসি ঘুরে দেখা যায়, মানহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ, ড্রাগ ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ নামে-বেনামে অনুমোদনহীন বিক্রয়নিষিদ্ধ কোম্পানির ওষুধও ফার্মেসিতে বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভেটেরিনারি ও মানুষের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ফুয়াদ বলেন, ‘বাজারে বাজারে শহর ও শহরতলীয় পাড়ায় পাড়ায় যেসব ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি রয়েছে এগুলোর তথ্য আমাদের কাছে নেই। আসলে ফার্র্মেসি ব্যবসার পরিবেশটা নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকে এসব ফার্র্মেসি থেকে নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, ড্রাগ নেয়ার জন্য সিরিঞ্জ, নেশার ট্যবলেট নিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, ‘শ্রীমঙ্গল উপজেলায় এ পর্যন্ত ২৩৫টি লাইসেন্সধারী ফার্মেসি সমিতির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ১০৪টি ফার্মেসির অবস্থান শহরে। ড্রাগ লাইসেন্স এর জন্য আবেদিত রয়েছে ৫৫টি ফার্মেসির। এর মধ্যে ১৩/১৪টি বন্ধ রয়েছে। সরকার ড্রাগ লাইসেন্স দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। আগে লাইসেন্সের আবেদন করেই ব্যবসা শুরু করতে পারতো। এখন করতে হলে মডেল ফার্মেসি করতে হবে। তাহলেই লাইসেন্স পাবেন। মডেল ফার্মেসি করতে হলে অনেক ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করতে হয়। করাটাও টাপ। মডেল ফার্ম্মেসীর জন্য অনেক জায়গা লাগে। ফ্রিজ লাগে, এ সি লাগে, ইনভেস্টমেন্টও বেশি। এদিকে গত বুধবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পৃথক অভিযানে শ্রীমঙ্গল শহরের ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শহরে অভিযানকালে সাগর দিঘি রোডে অবস্থিত শাহী ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা, মৌলভীবাজার রোডে অবস্থিত শ্রীমঙ্গল ঔষধালয়কে ২ হাজার টাকা, শ্রীমঙ্গল থানার সামনে অবস্থিত সৈয়দ ফার্মেসিকে ৩ হাজার টাকাসহ মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা তা আদায় করা হয়।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তারা এখন ঔষধ ব্যবসায়ী অর্থাৎ ফার্মেসি মালিকদের সাথে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। আসলে বিষয়টি বোঝানো গেলে এ সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। অনেক জায়গাতেই মালিকরা সহায়তা করছেন। থানা ও জেলা পর্যায়ে ও কর্মকর্তাদের ব্যবসায়ী বা মালিকদের সাথে সরাসরি কাজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অধিকাংশ ফার্মেসি ঘুরে দেখা যায়, মানহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ, ড্রাগ ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ নামে-বেনামে অনুমোদনহীন বিক্রয়নিষিদ্ধ কোম্পানির ওষুধও ফার্মেসিতে বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভেটেরিনারি ও মানুষের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ফুয়াদ বলেন, ‘বাজারে বাজারে শহর ও শহরতলীয় পাড়ায় পাড়ায় যেসব ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি রয়েছে এগুলোর তথ্য আমাদের কাছে নেই। আসলে ফার্র্মেসি ব্যবসার পরিবেশটা নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকে এসব ফার্র্মেসি থেকে নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, ড্রাগ নেয়ার জন্য সিরিঞ্জ, নেশার ট্যবলেট নিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, ‘শ্রীমঙ্গল উপজেলায় এ পর্যন্ত ২৩৫টি লাইসেন্সধারী ফার্মেসি সমিতির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ১০৪টি ফার্মেসির অবস্থান শহরে। ড্রাগ লাইসেন্স এর জন্য আবেদিত রয়েছে ৫৫টি ফার্মেসির। এর মধ্যে ১৩/১৪টি বন্ধ রয়েছে। সরকার ড্রাগ লাইসেন্স দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। আগে লাইসেন্সের আবেদন করেই ব্যবসা শুরু করতে পারতো। এখন করতে হলে মডেল ফার্মেসি করতে হবে। তাহলেই লাইসেন্স পাবেন। মডেল ফার্মেসি করতে হলে অনেক ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করতে হয়। করাটাও টাপ। মডেল ফার্ম্মেসীর জন্য অনেক জায়গা লাগে। ফ্রিজ লাগে, এ সি লাগে, ইনভেস্টমেন্টও বেশি। এদিকে গত বুধবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পৃথক অভিযানে শ্রীমঙ্গল শহরের ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শহরে অভিযানকালে সাগর দিঘি রোডে অবস্থিত শাহী ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা, মৌলভীবাজার রোডে অবস্থিত শ্রীমঙ্গল ঔষধালয়কে ২ হাজার টাকা, শ্রীমঙ্গল থানার সামনে অবস্থিত সৈয়দ ফার্মেসিকে ৩ হাজার টাকাসহ মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা তা আদায় করা হয়।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তারা এখন ঔষধ ব্যবসায়ী অর্থাৎ ফার্মেসি মালিকদের সাথে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। আসলে বিষয়টি বোঝানো গেলে এ সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। অনেক জায়গাতেই মালিকরা সহায়তা করছেন। থানা ও জেলা পর্যায়ে ও কর্মকর্তাদের ব্যবসায়ী বা মালিকদের সাথে সরাসরি কাজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।