বাংলারজমিন
আমতলীতে মাতৃত্বকালীন ভাতায় ঘুষ দিতে হয় অফিস সহকারীকে
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
২৩ মার্চ ২০১৯, শনিবার, ৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
বরগুনার আমতলীতে দরিদ্র প্রসূতি মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতায় ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাতাভোগীরা অভিযোগ করেন, মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত ও ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী সফিকুল ইসলামকে এক হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ না দিলে কাজ হয় না। অফিস সহকারী সফিকুল ইসলাম টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, যারা অভিযোগ করেছে তাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নেই আমি কীভাবে টাকা দেবো?
আমতলী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১ হাজার ৩২৪ জন দরিদ্র প্রসূতি মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতার নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি ইউনিয়নে ৯২৪ ও পৌরসভায় ৪০০ জন। প্রত্যেক প্রসূতি মা মাসে ৪০০ টাকা করে তিন বছরে ২৪ হাজার ৪০০ টাকা ভাতা পান। ছয়মাস পরপর এ ভাতা প্রদান করা হয়।
ভাতাভোগীরা অভিযোগ করেন, তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে, ব্যাংকের চেক ও টোকেন নিতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী সফিকুল ইসলামকে ১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। টাকা না দিলে ভাতার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত ব্যাংকের চেক ও টোকেন দেন না। যারা তার দাবিকৃত টাকা দিতে পারে তারা মাতৃত্বকালীন ভাতা পান।
আমতলী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কয়েকজন মাতৃত্বকালীন ভাতাপ্রাপ্ত প্রসূতি আমতলী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে আসেন। তাদের কাছে এক হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন অফিস সহকারী সফিকুল ইসলাম। ওই টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাদের কাছ থেকে ব্যাংকের টোকেন কেড়ে নেন সফিকুল। নিরুপায় হয়ে সেলিনা, ফাহিমা ও সুখী আমতলী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের কাছে অভিযোগ দেন।
ভাতাভোগী সেলিনা, ফাহিমা ও সুখী বলেন, তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলেও অফিস সহকারী সফিকুল ইসলাম প্রত্যেকের কাছে এক হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ওই টাকা না দেয়ার তারা আমাদের ভাতা দিচ্ছে না। গত একবছর ধরে ঘুরিয়ে ব্যাংকের টোকেন কেড়ে নিয়ে গেছেন তিনি।
আমতলী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিএম মুছা বলেন, ভাতার তালিকায় সেলিনা, ফাহিমা ও সুখী নামের তিন প্রসূতির নাম দেয়া হয়েছে এবং সেই মতে তাদের অগ্রণী ব্যাংকে হিসাবও খোলা হয়। কিন্তু মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী সফিকুল ইসলাম ভাতা না দিয়ে ঘুরাচ্ছেন।
আমতলী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সফিকুল ইসলাম টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, তাদের নাম তালিকায় নেই। ব্যাংকে হিসাব যে কেউ খুলতে পারে। আমতলী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ভাতার টাকা না পেয়ে তিন প্রসূতি আমার কাছে এসেছিল। আমি সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।
আমতলী মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি জানি না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে জেনে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১ হাজার ৩২৪ জন দরিদ্র প্রসূতি মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতার নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি ইউনিয়নে ৯২৪ ও পৌরসভায় ৪০০ জন। প্রত্যেক প্রসূতি মা মাসে ৪০০ টাকা করে তিন বছরে ২৪ হাজার ৪০০ টাকা ভাতা পান। ছয়মাস পরপর এ ভাতা প্রদান করা হয়।
ভাতাভোগীরা অভিযোগ করেন, তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে, ব্যাংকের চেক ও টোকেন নিতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী সফিকুল ইসলামকে ১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। টাকা না দিলে ভাতার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত ব্যাংকের চেক ও টোকেন দেন না। যারা তার দাবিকৃত টাকা দিতে পারে তারা মাতৃত্বকালীন ভাতা পান।
আমতলী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কয়েকজন মাতৃত্বকালীন ভাতাপ্রাপ্ত প্রসূতি আমতলী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে আসেন। তাদের কাছে এক হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন অফিস সহকারী সফিকুল ইসলাম। ওই টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাদের কাছ থেকে ব্যাংকের টোকেন কেড়ে নেন সফিকুল। নিরুপায় হয়ে সেলিনা, ফাহিমা ও সুখী আমতলী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের কাছে অভিযোগ দেন।
ভাতাভোগী সেলিনা, ফাহিমা ও সুখী বলেন, তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলেও অফিস সহকারী সফিকুল ইসলাম প্রত্যেকের কাছে এক হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ওই টাকা না দেয়ার তারা আমাদের ভাতা দিচ্ছে না। গত একবছর ধরে ঘুরিয়ে ব্যাংকের টোকেন কেড়ে নিয়ে গেছেন তিনি।
আমতলী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিএম মুছা বলেন, ভাতার তালিকায় সেলিনা, ফাহিমা ও সুখী নামের তিন প্রসূতির নাম দেয়া হয়েছে এবং সেই মতে তাদের অগ্রণী ব্যাংকে হিসাবও খোলা হয়। কিন্তু মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী সফিকুল ইসলাম ভাতা না দিয়ে ঘুরাচ্ছেন।
আমতলী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সফিকুল ইসলাম টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, তাদের নাম তালিকায় নেই। ব্যাংকে হিসাব যে কেউ খুলতে পারে। আমতলী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ভাতার টাকা না পেয়ে তিন প্রসূতি আমার কাছে এসেছিল। আমি সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।
আমতলী মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি জানি না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে জেনে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।