শেষের পাতা
বিচারপতির স্ত্রীর কাছে ঘুষ দাবি
এএসআই’র দুই বছরের দণ্ড
স্টাফ রিপোর্টার
২২ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
পাসপোর্টের তথ্য যাচাই করতে (ভেরিফিকেশন) হাইকোর্ট বিভাগের এক বিচারপতির স্ত্রীর কাছে ঘুষ চাওয়ার মামলায় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সহকারী উপ-পরিদর্শক এএসআই সাদেকুল ইসলামকে (সাময়িক বরখাস্ত) দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
আসামি সাদেকুল ইসলামের উপস্থিতিতে এ রায় দেয়া হয়। রায়ের পরপরই তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠান বিচারক।
রায়ে আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ডবিধির ৪১৯ ধারায় এক বছর এবং দুদক আইনের ৫ (২) ধারায় এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। উভয় দণ্ডই পৃথকভাবে কার্যকর হবে।
রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় আইনজীবী ছিলেন দুদকের কৌঁসুলি এম এ সালাহউদ্দিন ইস্কান্দার। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফজলুল হক বাবু।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৩শে আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের দুই মেয়ের পাসপোর্ট আবেদনের তথ্য যাচাই করতে সাদেকুল ইসলাম তার বাসায় যান। আসল পরিচয় আড়াল করে নিজেকে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম পরিচয় দেন। এরপর বিচারপতির স্ত্রী ডা. সাবরিনা মোনাজিলিনের কাছে দুই হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন ওই এএসআই। বিচারপতির স্ত্রী সাদেকুল ইসলামকে চা-নাস্তার জন্য পাঁচশ’ টাকা বকশিশ দিতে চাইলে তা গ্রহণ না করে সাদেকুল বলেন, প্রতিটি পাসপোর্টের জন্য ১ হাজার টাকা দিতে হবে। এই টাকা না দিলে ভেরিফিকেশন হবে না। ঘটনাটি বিচারপতিকে জানান তার স্ত্রী। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে হাজির হন সাদেকুল। তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করলে হাইকোর্ট শুনানি শেষে সাদেকুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
একই বছরের ৩১শে আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা হোসনে আরা শাহবাগ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে ২০১৭ সালের ৪ঠা মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক রাহিলা খাতুন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। চারজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ ও বিচার প্রক্রিয়া শেষে এ রায় দেয়া হলো।
এএসআই মো. সাদেকুল ইসলাম ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি থানার চড়োল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
আসামি সাদেকুল ইসলামের উপস্থিতিতে এ রায় দেয়া হয়। রায়ের পরপরই তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠান বিচারক।
রায়ে আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ডবিধির ৪১৯ ধারায় এক বছর এবং দুদক আইনের ৫ (২) ধারায় এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। উভয় দণ্ডই পৃথকভাবে কার্যকর হবে।
রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় আইনজীবী ছিলেন দুদকের কৌঁসুলি এম এ সালাহউদ্দিন ইস্কান্দার। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফজলুল হক বাবু।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৩শে আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের দুই মেয়ের পাসপোর্ট আবেদনের তথ্য যাচাই করতে সাদেকুল ইসলাম তার বাসায় যান। আসল পরিচয় আড়াল করে নিজেকে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম পরিচয় দেন। এরপর বিচারপতির স্ত্রী ডা. সাবরিনা মোনাজিলিনের কাছে দুই হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন ওই এএসআই। বিচারপতির স্ত্রী সাদেকুল ইসলামকে চা-নাস্তার জন্য পাঁচশ’ টাকা বকশিশ দিতে চাইলে তা গ্রহণ না করে সাদেকুল বলেন, প্রতিটি পাসপোর্টের জন্য ১ হাজার টাকা দিতে হবে। এই টাকা না দিলে ভেরিফিকেশন হবে না। ঘটনাটি বিচারপতিকে জানান তার স্ত্রী। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে হাজির হন সাদেকুল। তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করলে হাইকোর্ট শুনানি শেষে সাদেকুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
একই বছরের ৩১শে আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা হোসনে আরা শাহবাগ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে ২০১৭ সালের ৪ঠা মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক রাহিলা খাতুন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। চারজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ ও বিচার প্রক্রিয়া শেষে এ রায় দেয়া হলো।
এএসআই মো. সাদেকুল ইসলাম ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি থানার চড়োল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।