শেষের পাতা
নূর মসজিদে হবে জুমার যৌথ জামাত
নিউজিল্যান্ডজুড়ে দুই মিনিটের নীরবতা আজ
মানবজমিন ডেস্ক
২২ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
সীমাহীন এক বেদনা বুকে ধারণ করে আজ আবার মুসল্লিরা সমবেত হচ্ছেন ক্রাইস্টচার্চের সেই আল নূর মসজিদে। গত শুক্রবার এখানে সন্ত্রাসী হামলার পর আজ আবার খুলে দেয়া হচ্ছে মসজিদটি। এদিন কয়েক হাজার মুসল্লি সেখানে নামাজ আদায় করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সন্ত্রাসী হামলার শিকার লিনউড মসজিদের মুসল্লিরাও এদিন এই মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করবেন। ফলে তাদেরকে স্থান সংকুলান দেয়ার জন্য নামাজের জামাত মসজিদের পাশেই হেগলি পার্কে হওয়ার কথা রয়েছে। ওদিকে হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে আজ দেশজুড়ে দু’মিনিট নীরবতা পালন করা হবে।
অনলাইন গার্ডিয়ান লিখেছে, সন্ত্রাসী গত শুক্রবার প্রথমে আল নূর মসজিদে হামলা চালায়। পরে সে হামলা চালায় লিনউড মসজিদে। সব মিলে কমপক্ষে ৫০ জন মুসল্লি নিহত হন। এরপর বন্ধ ছিল মসজিদ। তারপর আজই খুলে দেয়া হচ্ছে। আল নূর মসজিদের ইমাম গামাল ফোউদা বলেছেন, আজকের জুমায় ৩০০০ থেকে ৪০০০ মুসল্লি যোগ দিতে পারেন। অনেকেই এসেছেন বিদেশ থেকে। তারাও যোগ দেবেন এই জামাতে। ১৫ই মার্চের হামলায় যে ক্ষতি হয়েছে মসজিদের তা মেরামত করা হয়েছে সার্বক্ষণিক কাজ করে। তাছাড়া যেসব কার্পেটে রক্ত লেগেছে তা মাটিতে পুঁতে ফেলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
ওদিকে মঙ্গলবার রাত থেকে পরিবারের কাছে নিহতদের লাশ হস্তান্তর শুরু হয়। গতকালও কমপক্ষে ৬টি লাশ দাফন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ দাউদ নবী। সন্ত্রাসী মসজিদে প্রবেশের সময় তিনিই দরজা খুলে দিয়েছিলেন। তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ‘হ্যালো ব্রাদার, ওয়েলকাম’। কিন্তু তাকেও হত্যা করেছে সন্ত্রাসী ব্রেনটন টেরেন্ট। দাউদ নবীর ওই স্বাগত জানানোকে অনেকেই প্রশংসা করেছেন। তার এমন আহ্বান আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। তার প্রশংসা করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডেন। তিনি বলেছেন, দরজার অপর পাশে কি ঘৃণা নিয়ে (ব্রেনটন) অপেক্ষা করছিল সে সম্পর্কে দাউদ নবীর কোনো ধারণাই ছিল না। তবু তিনি তাকে আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তার এমন স্বাগত জানানো আমাদের অনেক কিছু বলে দেয়। বলে দেয়, তিনি এমন একটি ধর্মবিশ্বাসের সদস্য যেখানে সব মানুষকে স্বাগত জানানো হয়। এ ধর্মে রয়েছে উদারতা। অন্যের বিষয়ে যত্ন নেয়া হয়।
গতকাল আরো যাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ১৪ বছর বয়সী সায়াদ আহমাদ মিলনে, তরিক রশিদ ওমর (২৪), লিন্ডা সুসান আর্মস্ট্রং (৬৪), হোসেন মোহাম্মদ খলিল মুস্তাফা (৭০) ও মতিউল্লাহ সাফি (৫৫)।
ওদিকে লাশ হস্তান্তর নিয়ে যে বিলম্ব করা হয়েছে তা নিয়ে হতাশা আছে। গত শুক্রবার নিহত হলেও প্রথম লাশ দাফন করা হয়েছে বুধবার। কিন্তু মুসলিম রীতি অনুযায়ী মারা যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লাশ দাফনের নিয়ম রয়েছে। ফলে বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডেন বলেছেন, হতাশাগ্রস্ত ওই মানুষগুলোর হতাশাকে তিনি ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। এর আগে পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেছেন, লাশ শনাক্তকরণে বিলম্ব হচ্ছে। কারণ, সরকারি রীতি অনুসরণ করতে হয়। একজন করোনারের উপস্থিতিতে এ কাজটি করতে হয়।
অনলাইন গার্ডিয়ান লিখেছে, সন্ত্রাসী গত শুক্রবার প্রথমে আল নূর মসজিদে হামলা চালায়। পরে সে হামলা চালায় লিনউড মসজিদে। সব মিলে কমপক্ষে ৫০ জন মুসল্লি নিহত হন। এরপর বন্ধ ছিল মসজিদ। তারপর আজই খুলে দেয়া হচ্ছে। আল নূর মসজিদের ইমাম গামাল ফোউদা বলেছেন, আজকের জুমায় ৩০০০ থেকে ৪০০০ মুসল্লি যোগ দিতে পারেন। অনেকেই এসেছেন বিদেশ থেকে। তারাও যোগ দেবেন এই জামাতে। ১৫ই মার্চের হামলায় যে ক্ষতি হয়েছে মসজিদের তা মেরামত করা হয়েছে সার্বক্ষণিক কাজ করে। তাছাড়া যেসব কার্পেটে রক্ত লেগেছে তা মাটিতে পুঁতে ফেলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
ওদিকে মঙ্গলবার রাত থেকে পরিবারের কাছে নিহতদের লাশ হস্তান্তর শুরু হয়। গতকালও কমপক্ষে ৬টি লাশ দাফন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ দাউদ নবী। সন্ত্রাসী মসজিদে প্রবেশের সময় তিনিই দরজা খুলে দিয়েছিলেন। তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ‘হ্যালো ব্রাদার, ওয়েলকাম’। কিন্তু তাকেও হত্যা করেছে সন্ত্রাসী ব্রেনটন টেরেন্ট। দাউদ নবীর ওই স্বাগত জানানোকে অনেকেই প্রশংসা করেছেন। তার এমন আহ্বান আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। তার প্রশংসা করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডেন। তিনি বলেছেন, দরজার অপর পাশে কি ঘৃণা নিয়ে (ব্রেনটন) অপেক্ষা করছিল সে সম্পর্কে দাউদ নবীর কোনো ধারণাই ছিল না। তবু তিনি তাকে আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তার এমন স্বাগত জানানো আমাদের অনেক কিছু বলে দেয়। বলে দেয়, তিনি এমন একটি ধর্মবিশ্বাসের সদস্য যেখানে সব মানুষকে স্বাগত জানানো হয়। এ ধর্মে রয়েছে উদারতা। অন্যের বিষয়ে যত্ন নেয়া হয়।
গতকাল আরো যাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ১৪ বছর বয়সী সায়াদ আহমাদ মিলনে, তরিক রশিদ ওমর (২৪), লিন্ডা সুসান আর্মস্ট্রং (৬৪), হোসেন মোহাম্মদ খলিল মুস্তাফা (৭০) ও মতিউল্লাহ সাফি (৫৫)।
ওদিকে লাশ হস্তান্তর নিয়ে যে বিলম্ব করা হয়েছে তা নিয়ে হতাশা আছে। গত শুক্রবার নিহত হলেও প্রথম লাশ দাফন করা হয়েছে বুধবার। কিন্তু মুসলিম রীতি অনুযায়ী মারা যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লাশ দাফনের নিয়ম রয়েছে। ফলে বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডেন বলেছেন, হতাশাগ্রস্ত ওই মানুষগুলোর হতাশাকে তিনি ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। এর আগে পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেছেন, লাশ শনাক্তকরণে বিলম্ব হচ্ছে। কারণ, সরকারি রীতি অনুসরণ করতে হয়। একজন করোনারের উপস্থিতিতে এ কাজটি করতে হয়।