ষোলো আনা
১২ দিনে মেলেনি এক ফোঁটা পানিও
আবিদুল হক সোহেল
২২ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, ৮:২৮ পূর্বাহ্ন
তীব্র গরম। নেই পানি। টানা ১২ দিন ধরে আসছে না এক ফোঁটা পানিও। করতে পারছেন না গোসল। শরীরের ঘাম শুকিয়ে যাচ্ছে শরীরে। পানির অভাবে থমকে আছে সব কাজকর্ম। ভাবতে কষ্ট হলেও পানির জন্য এমন হাহাকার করে যাচ্ছেন রাজধানীর রামপুরার ওমর আলী লেনের বাসিন্দারা। এই এলাকার বাসিন্দাদের পানির কষ্ট দীর্ঘ তিন বছরের হলেও মাসখানেক ধরে তা তীব্র আকার ধারণ করেছে।
ঘুম থেকে উঠেই নিয়মিত পানির জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয় এলাকাবাসীর। এই লাইন শুধুমাত্র খাবার পানি সংগ্রহের জন্য। গত ১২ দিন ধরে প্রায় ৪০টি বাড়িতে মিলছে না এক ফোঁটা পানি। এমনকি নেই পর্যাপ্ত খাবারের পানিও। পানির জন্য যেন থমকে আছে জীবন। অনেকেই জীবন যাপন করছেন নীল জারের পানি কিনে। তবে এর জন্য গুণতে হচ্ছে প্রতি জার ৪০ টাকা। যা কি না নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য বিষয়। এলাকাবাসী জানান, গত মাসে সুয়ারেজের লাইন ঠিক করা হয়। এর ফলে পানির লাইনের সংস্কার হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নতুন করে পানির লাইন সংস্কার করার ফলে পানির স্তর নেমে গেছে এক থেকে দেড় ফিট। ফলে লাইনের লেভেল ঠিক না হওয়ায় সুয়ারেজের লাইনের পূর্ব দিকে মিলছে পানি। আর পানি সংকট দেখা দিয়েছে পশ্চিম দিকে।
পশ্চিম দিকের বাসিন্দারা পানি সংগ্রহ করছেন পূর্ব পাশের বাড়িগুলো থেকে। স্থানীয় একজন জানান, বাড়ির মালিকেরা যদি পানি সরবরাহ না করতেন তাহলে এতদিনে পানির অভাবে অনেকেই মারাই যেতেন। শুধু তাই নয়, একবার পানি সংগ্রহ করতে লেগে যায় প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময়। আর দিনে দুবার পানি সংগ্রহ করলে চলে যায় দিনের সিংহভাগ সময়। ফলে দৈনন্দিন কাজকর্মেও ব্যাঘাত ঘটছে তাদের। আর এই সংগ্রহীত পানি দিয়ে কোনো রকম চলছে তাদের জীবন।
পূর্ব পাশের বাড়ির ট্যাংকি যখন পানিতে থৈ-থৈ। তখন পানির জন্য হাহাকার পশ্চিম পাশের বাড়ির ট্যাংকিগুলোতে। স্থানীয় বাসিন্দা মোবাশের আলম রাহাত জানান এখন পর্যন্ত এই সমস্যাটি সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেন নি। তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন করে বলেন, দ্রুত পানির এই সমস্যা দূর করা হোক।
পশ্চিম দিকের বাসিন্দারা পানি সংগ্রহ করছেন পূর্ব পাশের বাড়িগুলো থেকে। স্থানীয় একজন জানান, বাড়ির মালিকেরা যদি পানি সরবরাহ না করতেন তাহলে এতদিনে পানির অভাবে অনেকেই মারাই যেতেন। শুধু তাই নয়, একবার পানি সংগ্রহ করতে লেগে যায় প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময়। আর দিনে দুবার পানি সংগ্রহ করলে চলে যায় দিনের সিংহভাগ সময়। ফলে দৈনন্দিন কাজকর্মেও ব্যাঘাত ঘটছে তাদের। আর এই সংগ্রহীত পানি দিয়ে কোনো রকম চলছে তাদের জীবন।
পূর্ব পাশের বাড়ির ট্যাংকি যখন পানিতে থৈ-থৈ। তখন পানির জন্য হাহাকার পশ্চিম পাশের বাড়ির ট্যাংকিগুলোতে। স্থানীয় বাসিন্দা মোবাশের আলম রাহাত জানান এখন পর্যন্ত এই সমস্যাটি সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেন নি। তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন করে বলেন, দ্রুত পানির এই সমস্যা দূর করা হোক।